www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য বাঁশখালী ইকো পার্ক

প্রকৃতির সৌন্দর্য অবলোকন করতে ভালোবাসেনা এমন লোক খুজেও পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে এমন এমন সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা আছে যা হয়তো অনেকের অজানা। আজ আমি এমন একটা জায়গার নাম বলব যেখানে গেলে সবারই ভালো লাগবে। জায়গাটি হল বাঁশখালী ইকো পার্ক।ইতোমধ্যে ইকোপার্ক সড়ক, পাহাড়ের ভিতর ছাতা নির্মাণ ও পাকা সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে ইকোপার্কের প্রধান অংশ বামের ছড়ার বাঁধ ও স্লুইস গেটের নির্মাণ কাজ। মাসখানেকের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের দীর্ঘতম ৪০০ ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১২ হাজার হেক্টর বনভূমি নিয়ে চুনতি অভয়ারণ্য। এই অভয়ারণ্যের অংশ বাঁশখালী ইকোপার্ক। বাংলাদেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু ছাড়াও এখানে আছে ২টি সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্ট হাউস, পিকনিক শেড, পাহাড়ের ভেতর পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য ২২টি বিশাল কংক্রিটের ছাতা। আছে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত নয়নাভিরাম একটি হ্রদ। বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি, জলজ উদ্ভিদ, হ্রদের বিশাল জলরাশি, কাশফুলের দৃশ্য, বন্যপ্রাণীর কোলাহল, সারি সারি পাহাড় চূড়ায় নানা প্রজাতির বৃক্ষের সমাহার-সব মিলিয়ে এখানে এক মোহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ছয়টি ঋতুতে যা ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। সু-উচ্চ পাহাড়ের শীর্ষদেশ থেকে দেখা যায় অদূরে বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলরাশি। বিকালে উপভোগ করা যায় সূর্যাস্তের দৃশ্য। এখানে প্রায়ই হয় বিভিন্ন ছবির শুটিং। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ইকোপার্কে আসে গবেষণার কাজে। নির্মিতব্য বাঁধটি আগামী একমাসের মধ্যে শেষ হলে বাঁশখালী ইকোপার্ক স্বরূপ ফিরে পাবে। তখন আগের মতোই পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠবে ইকোপার্ক এলাকা এমনটাই আশা সবার। হাজারও কর্ম ব্যস্ততার মাঝে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু বিনোদনের জন্য জায়গাটা নিতান্ত মন্দ নয়।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৭৯৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৬/০১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast