www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ই-কমার্সের খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিন

চারদিকে ই-কমার্সের ছড়াছড়ি কোথায় কি ভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন তাই ভেবে পাচ্ছেন না, আবার একেক জনের কাছে একেক রকম তথ্য পাচ্ছেন। এই পোস্টটি পড়ে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন আপনি কি করবেন। লেখার ভুল ত্রুটি হলে প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

**ই-কমার্স কি?**
ই-কমার্স ওয়েবসাইট (eCommerce Website) -এ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বাণিজ্য পরিচালনা করে। এছাড়াও মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ও অন্যান্য আরো কিছু মাধ্যম ব্যবহৃত হয়।

**ই-কমার্সের প্রকারভেদ**
***ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (B2B): ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা ই-কমার্স সম্পাদিত হয় একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। ৮০ শতাংশের (৮০%) মত ইলেকট্রনিক কমার্স ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা প্রকার এর অন্তর্ভুক্ত।

***ব্যবসা-থেকে-গ্রাহকঃ ব্যবসা-থেকে-গ্রাহক ইলেকট্রনিক কমার্স সম্পাদিত হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকের মধ্যে। এই প্রকারে দ্বিতীয় সর্বাপেক্ষা বেশি ইলেকট্রনিক বাণিজ্য সম্পাদন হয়ে থাকে।

***ব্যবসা-থেকে-সরকার (B2G): ব্যবসা-থেকে-সরকার ইলেকট্রনিক কমার্স সম্পাদিত হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় খাতের মধ্যে। এটি সাধারনত ব্যবহৃত হয়ে থাকে রাষ্ট্রীয় কেনা/বেচা, লাইসেন্স সংক্রান্ত কার্যাবলী, কর প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

***গ্রাহক-থেকে-গ্রাহক (C2C): গ্রাহক-থেকে-গ্রাহক ইলেকট্রনিক কমার্স সম্পাদিত হয় একাধিক ব্যক্তি ও গ্রাহকের মধ্যে। ইলেকট্রনিক বাজার ও অনলাইন নিলাম এর মাধ্যমে সাধারণত এই ধরনের বাণিজ্য সম্পাদিত হয়।

***মোবাইল কমার্স (m-commerce): মোবাইল কমার্স ইলেকট্রনিক কমার্স সম্পাদিত হয় তারবিহীন প্রযুক্তি যেমন মোবাইল হ্যান্ডসেট বা পারসোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্টেন্ট (PDA) এর মাধ্যমে। তারবিহীন যন্ত্রের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের গতি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই ধরনের বাণিজ্য জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

কেনাকাটার ক্ষেত্রে eCommerce Website-এর সুবিধাগুলো কি কি?
১. ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পন্য অর্ডার করা যায়।
২. অনলাইনের মাধ্যমেই মূল্য পরিশোধের সুযোগ পাওয়া যায়।
৩. মূল্য পরিশোধের জন্য ক্রেডিট কার্ড, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ডসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা যায়।
৪. পন্যের দ্রুত ডেলিভারি পাওয়া যায়।
৫. পন্য হাতে পেয়েও মূল্য পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
৬. পন্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিশ্রম কম হয় এবং প্রচুর সময় বাঁচানো যায়।

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে eCommerce Website-এর সুবিধাগুলো কি কি?
১. অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
২. অনলাইনের মাধ্যমেই মার্কেটিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।
৩. সহজেই গ্রাহকদের কাছে পন্য সেবা পৌঁছানো যায়।
৪. বড় ধরনের কোন অফিসের প্রয়োজন হয় না।
৫. অনেক কর্মচারী রাখার প্রয়োজন হয় না।
৬. ব্যবসা পরিচালনা করা সহজ এবং লভ্যাংশের পরিমান বেশি।

Ref: http://sunshine.com.bd/ecommerce-website/
বিষয়শ্রেণী: তথ্যপ্রযুক্তি
ব্লগটি ৮৪২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩১/১০/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast