www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আপনার নিয়তি আপনিই

মানুষের ভবিষ্যৎ তার নিজের হাতেই। সে যদি নিষ্ঠার সাথে একাগ্র চিত্তে কাজ করে যায়, ফল একদিন পাবেই পাবে। নিষ্ঠার মধ্যে কোনও ঘাটতি যেন না থাকে, আর একাগ্রতার মধ্যে যেন কোনও চাঞ্চল্য না থাকে। ধৈর্য সহকারে লেগে থাকতে হবে। সময় সকল অসময়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসবে তোমার কাছে। ধৈর্যশীল মানুষ সময়ের সব থেকে প্রিয় বন্ধু। সময় তার বন্ধুর অপেক্ষাকে মর্য়াদা দিতে জানে। হাতের রেখা আমাদের হাতের মুঠোয়। ভ্রুণ অবস্থায় মাতৃ জঠোরে থাকাকালীন আমরা হাত মুঠো করে রাখি, ফলে হাতে হিজিবিজি দাগের সৃষ্টি হয়। কোনও মহাকাল এসে হাতে রেখা এঁকে দিয়ে যান না। মহাকাশে যে সব গ্রহ সূর্যের চার পাশে প্রদক্ষিণ করে তাদের রশ্মি কোনও মতেই পৃথিবীতে এসে পৌঁছয় না। তারা অত দূর থেকে কীভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পান, তা আমার একেবারেই জানা নেই! তাদের প্রভাব কীভাবে পৃথিবীর মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তার উত্তর বিজ্ঞানের কাছে আজও অজানা। বিজ্ঞার কখনোই ভবিষ্যৎ বলতে পারে না।

এবার একটু ভেবে দেখি চেষ্টা করা সত্ত্বেও মানুষ কেন সফল হতে পারে না। সবার আগে বলে রাখি- রাজার ঘরে রাজা জন্মায় ও ভিখারীর ঘরে জন্মায় ভিখারী। তাই ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে কোটি কোটি টাকা কামানোর স্বপ্ন যারা দেখে, তারা পাগল ছাড়া আর কিছুই নয়। ভিখারী রাজা হতে পারে যদি সে খুঁজে পায় গুপ্তধন। না, ভাগ্যের জোরে কখনোই ভাগ্যের চাকা ঘোরে না। একবার এক অলস ছেলেকে তার বাবা বললেন, 'ওই মাঠের নীচে আছে গুপ্তধন, আজ থেকে মাটি খুঁড়তে শুরু কর, দেখবি গুপ্তধন ঠিক উদ্ধার করতে পারবি'। ছেলে তার বাবার কথা মতো মাটি খুঁড়তে শুরু করলো। মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে বিরাট গর্ত তৈরি করে ফেলল কিন্তু কোথায় গুপ্তধন! বাবাকে জিজ্ঞেস করলে, বাবা জবাব দিলেন, 'এবার ফসল খুব ভাল ফলবে'। ভিখারীর ঘরে না জন্মেও, বহু ভিখারী এই ভাবে রাজা হয়েছে। রাজা ভিখারী হয়ে যেতে পারেন যদি তিনি মদ, মাংস ও মহিলাদের পিছনে বেশি সময় দেন। আরেকজনও পতন ঘটায়, অহংকার।

বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মানুষ নিজে নিজেই কাজ কর্ম করছে। একা একা কাজ করলে সঠিক পথ চিনতেই সারা জীবন লেগে যায়, আর সেই পথে এগিয়ে সফলতা আনার কোনও অবকাশই থাকে না। এই জন্য কথায় বলে, গুরু ধরতে হয়। গুরু দেখিয়ে দেন কোন পথে যেতে হবে। কীভাবে যেতে হবে তাও বলে দেন। অনেকে আবার শিষ্যকে এগিয়েও দিয়ে আসেন। এতে সফলতা খুব তাড়াতাড়ি আসে। যারা তেলা মাথায় তেল দিতে পারে, তারাই জীবনে সফল হয়। মুখচোরা মানুষেরা তলিয়ে যায় চরাবালির অতল তলে। এতে ভাগ্যের দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। দোষটা স্বভাবের। কেউ সহজেই মিশে গিয়ে অপরের মন জয় করে ফেলে আর কেউ মিশতেই পারে না, তাই অপরের চোখে সে পড়ে না। কেউ অতি চালাক, মিষ্টি কথায় নয়, সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করে গুরুর চোখে পড়ে যায়। গুরু সেই সব কর্মী মানুষদের কখনোই বঞ্চিত করেন না। মোটা মাথা নিয়ে খেটে কোনও লাভ নেই। খাটতে হবে শিল্পীর মতো, বলদের মতো নয়। তাই বলছি, চোখ কান খোলা রেখে খেটে যান। কারোকে তেলাবেন না, ভাল কাজ করে মানুষের মন জয় করুন আর একটু সহ্য করতে শিখুন। দেখবেন, জীবনে সফল হবেন। আমি কোনও জ্যোতিষী বলছি না, আপনার পথের সাথী বলছি। মনে রাখবেন, যার হাত পা নেই ভাগ্য কেবল তারই আছে!

সাধনা করার পরে সফলতা না এলে নিজেকে বারবার জিজ্ঞেস করুন। দেখবেন, আপনার ভিতরকার মানুষটি আপনার প্রশ্নের সঠিক জবাব দিচ্ছে। তার কথা মতো কাজ করে যান। আবার তাকে জিজ্ঞেস করুন, আবার কাজ করুন... আবার আবার। সময় সফলতাকে হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে এসে হাজির করবে আপনার সামনে!
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ২৬৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩১/১০/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast