www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা উচিত সহায়ক সরকার নয়

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই। কারণ নির্বাচন তো ইসির অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। তাই বাস্তবতা বিবর্জিত এবং সংবিধান বহির্ভূত নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ফর্মুলার পরিবর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ইসি বিষয়ক আলোচনায় জোর দেয়া। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসাধারণকে পাশে নিয়ে সব রাজনৈতিক দল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলেই তো কোন কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তবে যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না, তাদেরকে কিন্তু নির্বাচনের বাইরে রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোটে ধর্মের ব্যবহার, নমিনেশন বাণিজ্য এবং লাগামবিহীন নির্বাচনী ব্যয় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় নারী প্রার্থীদের বিশেষ সুরক্ষাও দিতে হবে। অতীত পর্যালোচনায় ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়টুকু ছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য ‘একিলিস হিল’ (দুর্বল জায়গা)। আদালতের রায়েও বলা হয়েছে, এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার মালিক জনগণ, যা এক মুহূর্তের জন্যও অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশে সার্বিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা আর ব্যবসাবান্ধব বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্যও এমন একটি অর্থবহ নির্বাচন প্রয়োজন, যা প্রায় সর্বজনগ্রাহ্য হবে। কারণ পৃথিবীর কোন দেশেই শতভাগ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না, এটি সম্ভবও না। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে খুব বেশি তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে না। সব রাজনৈতিক দলই ইসির সঙ্গে আলোচনা করছে। বিএনপিও দুই-তিনবার আলোচনা করেছে। সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশে একটি ভাল নির্বাচন হোক, এটি সবারই কামনা। তাই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে মনগড়া বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার আয়োজন বন্ধ করে সংবিধান নির্ভর স্থায়ী ব্যবস্থার চর্চা করতে হবে। এজন্য সহায়ক সরকার নয়, ইসিকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকলে নির্বাচনে অংশ নিতেই হবে। ভোটের প্রচারণায় ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সহিংসতার উস্কানিদাতাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপদে ভোটদান নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে মনে হচ্ছে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার প্রতিযোগিতা চলছে। তারা অংশ নিলেই যেন গণতন্ত্র অর্জিত হয়ে যাবে। এ প্রবণতা কোনভাবেই ঠিক নয়। বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে তবে তারা অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির নেতারা অন্য কোন নামে নির্বাচনে অংশ নিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা- সেটাও ভেবে দেখতে হবে। গণতান্ত্রিক চেতনায় রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ সবার জন্যই উন্মুক্ত। কিন্তু তাই বলে  এ দেশে গণতন্ত্রের নামে ধর্ম ব্যবসায়ী আর যুদ্ধাপরাধীদেরকে তো রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া যাবে না। গণতন্ত্রকে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে জাতীয় নির্বাচনকে সকল দলের অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, তবে তার থেকেও জরুরী কোন রাজনৈতিক দল যেন নির্বাচন ইস্যুতে নতুন কোন সহিংসতায় না জড়ায়। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়টি দেখতে হবে। আসুন সহায়ক সরকার নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি না করে নির্বাচন কমিশনকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় সেই ব্যপারে আলোচনা শুরু করি।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৫৯৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/০৭/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

 
Quantcast