www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্কগুলো এখন টাকার উপর নির্ভর

আত্মার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে আত্মীয় বলা হয়। সাধারণত রক্ত, বংশ কিংবা বৈবাহিক সূত্র থেকে আত্মীয়তার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
শরয়ী বিধান অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা হক বা অধিকার রয়েছে। তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ওয়াজিব।
কিন্তু আমরা আজ এমন একটা পয্যায়ে চলে এসেছি যেখানে আত্মীয়ের সম্পর্কগুলো পুরোপুরি টাকা আর শিক্ষার উপর নির্ভর হয়ে গেছে। ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষত এই নিয়েতো মানব সমাজ। প্রত্যেক মানুষের আত্মীয়-স্বজন আছে আর সব আত্মীয়-স্বজন সমান নয়, কেউ খুব বেশি ধনী, কেউ একটু কম আবার কেউ গরীব, আবার কেউ উচ্চ শিক্ষত, কেউ কম শিক্ষিত আর কেউ অশিক্ষিত। আর তার মানে এইনইযে সবার সাথে সুসম্পর্ক রাখা যাবেনা, সবাই কে পরিচয় দেওয়া যাবেনা। অতি দুঃখের হলেও সত্যি যে আজকাল দেখা যায় আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যাদের যাদের টাকা বেশি, যারা যারা শিক্ষিত তাদের সাথে তাদের পরিচয় থাকে, আর অন্য আত্মীয়-স্বজনদের সাথে তাদের পরিচয় থাকেনা, তাদের খবর নেওয়া বা তাদের সাথে  সম্পর্ক রাখা ওইসব ধনী আর শিক্ষিত আত্মীয়-স্বজনরা কখনো কল্পনা করতে পারেনা। তারা গরীব আর কম শিক্ষত আত্মীয়-স্বজনদের  পরিচয় দেয়না। অনেক ক্ষেত্র দেখা যায় বাবার আপন ভাই গরীব বলে তাকে চাচা বলতে পারেনা, ওর বাড়িতে যেতে পারেনা আর পাশের বাসার ধনী ব্যাক্তিটিকে সবার কাছে চাচা বলে পরিচয় দেয়, তাদের আপন করে নেই, তাদের জন্য যা যা করার তা তা করে। ঠিক চাচার মত অন্য দরিদ্র অর অশিক্ষিত আত্মীয়-স্বজনের প্রতিও এমন আচরণ করা হয়।
সাধারণত দেখা যায় দরিদ্র আর অশিক্ষিত আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে যখন কেউ মারা যায় কিংবা কারো বিয়ে হয়, তখন ওইসব ধনী আর শিক্ষিত আত্মীয়-স্বজনরা  ক্ষণিকের জন্য উনাদের বাড়িতে যায় আর ওইখানে গিয়ে তাদের ব্যাবসা, তাদের বিলাসবহুল জীবনের গল্প, তাদের জায়গা জমি কিনা, তাদের সন্তানদের লেখা-পড়ার গল্প করবে এবং রাজনিতীবিদদের মত কিছু বড় বড় কথা বলবে আর কিছু টাকা দিয়ে চলে যায়। এরপর আর যোগাযোগ রাখেনা, আবার কখনো যদি কারও বিয়ে কিংবা মৃত্যু হয় ক্ষনিকের জন্য আবার এসে আগের মত করবে তারপর চলে যাবে।
টাকা আর শিক্ষা দিয়ে যদি আত্মীয়-স্বজনের সমর্পক  সৃস্টি করা যেত তাহলে মা-বাবা, ভাই-বোন এইসবকিছুর দরকার ছিলনা।

আমরা মানবজাতি আর কতটা নিচু হব তা জানিনা, তবে এইটা জানি শিক্ষা আর টাকা আমাদের বিবেক কে অন্ধ বানিয়ে ফেলেছে, শিক্ষা আর টাকা আমাদের মানবতা ধংস করে ফেলছে।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ১১৪৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৮/০৩/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • একদম ঠিক
  • ইউসুফ তরুন ১৯/০৩/২০১৭
    ঠিক বলেছেন
  • আবার মামা "কাকা ছারা কিছু হয় ও না।।
    আজব দুনিয়া।।
  • ক্ষমতাশীল মামার যে দাম বেশি ।।চাকরি দিতে
    কাজে লাগে।।চাকরি না দিলে বোন মুখ ফেরায়।ভাগ্নে মুখ
    ফেরায় মুখ করে ভার।।।।দুলাভাই সব।।।হাহহা
  • রাবেয়া মৌসুমী ১৮/০৩/২০১৭
    কথা সত‌্য,তবে যে শিক্ষা আপনকে পর করে সে শিক্ষা ,শিক্ষা নয়,সােটিফকেটের মহড়া।সুশিক্ষা মানুষকে আপন করতে শিখায়,পর নয়।আর টাকা সেখানেও অঞ্চতায় কাজ করে...বন্ধু। ধন্যবাদ।
    • আসলে আজকাল সুশিক্ষাটা কমে গেছে, আজ বাস্তবতা খুব কঠিন হয়ে গেছে হয়তো মানতে খুব কষ্ট হবে এরপরেও মানতে হবে, আমাদের দেশে আজ এমন সন্তান আছে যাদের পিতা-মাতা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সন্তানকে উচ্চ শিক্ষা অরজন করান আর সে সন্তান শিক্ষত হয়ে গরীব পিতা-মাতা কে সবার সামনে পরিচয় দিতে লজ্জা পাই।
  • আসলে মনুষ্যত্ব কমে যাচ্ছে।
  • তাবেরী ১৮/০৩/২০১৭
    হুম এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে।
  • চমৎকার অর্জন, সত্যিই সমসাময়িক বাস্তব অভিজ্ঞতা।

    টাকাই যেন এখন সব।।

    অথচ এক সময়ে আমরা স্কালারদের কাছ থেকে জানতাম যে - 'বিদ্যাই অমূল্য ধন ; কিন্তু এখন দেখি টাকাই অমূল্য ধন।।

    আসলে দিন দিনই যেন সবকিছুরই সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসছে।।।।
    • hmm akhn takai sob.
      amr mamara tader apon sejo boner koyjn cele-meye ache setao janena nd kokhn j tader boner mukh dekhche setao janena karn amr sejo aunty arthikvabe durbol...
      • আল্লাহ্ মাফ করুক। আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারীরা জান্নাতের মুখ দেখতে পাবেনা। আবার যেই টাকার জন্য আপনজনদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় কিংবা অংহকার বোধ হয় আমাদের সেই টাকাও আমরা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারব না।।।

        অাপন বোনের সাথে এরকম দুর্ব‌্যবহার/ সম্পর্ক এটা মেনে নেয়া যায় না, কারণ মৃত্যুর পরে যদি ভাইয়ের জন্য খোদার দরবারে কেউ হাত তোলে তার মধ্যে অন্যতম একজন হল - বোন।
 
Quantcast