এই আমি আসছি
এই আমি আসছি
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
আর একটু বসোনা গো সোনা
এই আমি আসছি।
চিত্রা পূর্ণিও কেটেছে বাসিতে-
চৈত্রী সংক্রান্তি আজ,
ভিটিতে পরেনি মাটি গোবরের লেপন-
ননদ খোটাতে ধরে লাজ।
কিহে সোনা একটু যাবে কি-
ঐ তাল ডাঙা পাড়ে?
কলসিতে ভরে দিবো জল-
আমি সাঁতরে কমল-
ভেজা পাড়া ফোঁটা ঝরায়,
ঢাল বেয়ে কাঙ্ক্ষে মোর-
নাহি সহে বল।
ভুখনে তোমায় মিনতি বচন-
হায় দুচোখে অলস দেখা পাচ্ছি,
না না...আর একটু বসগো সোনা-
এই আমি আসছি।
পাড়া গাঁয়ে কাল-
সেই হলুদের খেলা,
বৈশাখী লাল পেড়ে-
ছুঁড়ি অবলা,
নতুনের সাজে হৈ রৈ।
দিব্যি আমার আমি কিছু নাহি চাহি-
এবার সাজাবো তোমায় আমি-
ধব ধবে মাহি,
শোভনের যেন প্রীতিময়।
কিগো কান্ত-
তোমার মুখে তবে দেখছি কেন-
ঐ বিমূঢ়ের হাসি?
ক্ষুধার জ্বালা বুঝি-
আর সহেনা?
না না...আর একটু বসো সোনা-
এই আমি আসছি।
নিঃশব্দ নিথরে আজই-
যেন পৃথিবী,
কথাগুলোর সেই শেষ প্রান্তে।
ডাকে বারে বারে-
তিল নাহি সরে,
নহে বিদূরিত-
শুধু ডাকে আরোও ডাকে,
তাঁরই মূর্ছনায় মূর্ছিত-
হৃদয় অশ্রু নহরে ক্ষত,
হে প্রিয়া মোর-
ধমনীর আঁখি নীলাঞ্জন।
আজ আমিই সাজাবো তোমায়-
সেই ধবধবে মিহি শুভ্র-
ভূষণে মোর,
চির নববধূ-
সুরমা আতর গোলাপ আর-
কাফুরে মুড়িয়ে।
হে মোর আত্মার দীপ দীপিকা-
এইতো দেখো তোমার বিদেহী চোখে,
আমিই এসেছি ঐ তাল ডাঙা পাড়ে-
সেই কমলের জলে।
যে পাষাণ তালের ঝরা আঘাতে-
তুমি চির নিদ্রায়,
এইতো আমিই রেখেছি-
তোমায় বুকে জড়িয়ে,
হে আমার তনুশ্রী উজ্জীবিত নাসিকার দম।
তুমি ভয় করোনা-
ঐ আধার ঝিমিত নিশি নির্জন।
সেথা আমিই ধরিবো তোমার-
বেণীতে বাঁধন,
তুলিবো সাতরং বিনে সুতোর মালা-
সেতো আমিই দেখছি।
না না...আর করোনা দেরি-
যাও মোর সোনা,
একটু ঘুমিয়ে থাকো-
এই আমি আসছি।
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
আর একটু বসোনা গো সোনা
এই আমি আসছি।
চিত্রা পূর্ণিও কেটেছে বাসিতে-
চৈত্রী সংক্রান্তি আজ,
ভিটিতে পরেনি মাটি গোবরের লেপন-
ননদ খোটাতে ধরে লাজ।
কিহে সোনা একটু যাবে কি-
ঐ তাল ডাঙা পাড়ে?
কলসিতে ভরে দিবো জল-
আমি সাঁতরে কমল-
ভেজা পাড়া ফোঁটা ঝরায়,
ঢাল বেয়ে কাঙ্ক্ষে মোর-
নাহি সহে বল।
ভুখনে তোমায় মিনতি বচন-
হায় দুচোখে অলস দেখা পাচ্ছি,
না না...আর একটু বসগো সোনা-
এই আমি আসছি।
পাড়া গাঁয়ে কাল-
সেই হলুদের খেলা,
বৈশাখী লাল পেড়ে-
ছুঁড়ি অবলা,
নতুনের সাজে হৈ রৈ।
দিব্যি আমার আমি কিছু নাহি চাহি-
এবার সাজাবো তোমায় আমি-
ধব ধবে মাহি,
শোভনের যেন প্রীতিময়।
কিগো কান্ত-
তোমার মুখে তবে দেখছি কেন-
ঐ বিমূঢ়ের হাসি?
ক্ষুধার জ্বালা বুঝি-
আর সহেনা?
না না...আর একটু বসো সোনা-
এই আমি আসছি।
নিঃশব্দ নিথরে আজই-
যেন পৃথিবী,
কথাগুলোর সেই শেষ প্রান্তে।
ডাকে বারে বারে-
তিল নাহি সরে,
নহে বিদূরিত-
শুধু ডাকে আরোও ডাকে,
তাঁরই মূর্ছনায় মূর্ছিত-
হৃদয় অশ্রু নহরে ক্ষত,
হে প্রিয়া মোর-
ধমনীর আঁখি নীলাঞ্জন।
আজ আমিই সাজাবো তোমায়-
সেই ধবধবে মিহি শুভ্র-
ভূষণে মোর,
চির নববধূ-
সুরমা আতর গোলাপ আর-
কাফুরে মুড়িয়ে।
হে মোর আত্মার দীপ দীপিকা-
এইতো দেখো তোমার বিদেহী চোখে,
আমিই এসেছি ঐ তাল ডাঙা পাড়ে-
সেই কমলের জলে।
যে পাষাণ তালের ঝরা আঘাতে-
তুমি চির নিদ্রায়,
এইতো আমিই রেখেছি-
তোমায় বুকে জড়িয়ে,
হে আমার তনুশ্রী উজ্জীবিত নাসিকার দম।
তুমি ভয় করোনা-
ঐ আধার ঝিমিত নিশি নির্জন।
সেথা আমিই ধরিবো তোমার-
বেণীতে বাঁধন,
তুলিবো সাতরং বিনে সুতোর মালা-
সেতো আমিই দেখছি।
না না...আর করোনা দেরি-
যাও মোর সোনা,
একটু ঘুমিয়ে থাকো-
এই আমি আসছি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ১৪/০৯/২০২১চমৎকার
-
আলমগীর সরকার লিটন ১২/০৯/২০২১বাহ খুব সুন্দর গীতি কবিতা
-
ফয়জুল মহী ১১/০৯/২০২১অপুর্ব প্রকাশ।
-
আমিনুল ইসলাম (রিয়াজ) ১১/০৯/২০২১অসাধারণ, অনেক দিন পর একটা ভালো বাংলা কবিতা পড়লাম। শুরুতে একটু নাক সিঁটকানো ভাব থাকলেও যতই পড়ছি ততই তন্ময় হইয়েছি। ধন্যবাদ কবি
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/০৯/২০২১ভাল।
-
বিধান চন্দ্র ধর ১১/০৯/২০২১পাঠে মুগ্ধ