সরল চোখের হাসি
সরল চোখের হাসি
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
ঐ সুশান্ত
নীড় অরুণ চলা-
বন হিজলের ধারে,
যার দিঘলে খোয়াই নদী-
নাগর ঘাটা পাড়ে।
মনা-মধু-মতিন দাদু-
তিন জীবনের বাড়ি,
সব গেলো ঐ খোয়াই পেটে-
শুধুই সে আজ নীড়ে।
শিশুর ডগায় খড়কুটো তে-
কুড়ি বছর পর,
আজও চিল শকুনের বাসাই যেন-
তাঁর নিজেরই সেই ঘর।
শৈশবে যে বিদ্যালয়ে-
সাথীর পাশে বসে,
নেয় পড়ে সব সন্ধ্যে হলে-
গুরুর চরণ চষে।
অনাথ চরণ নিঃস্ব রথে-
আধার মনের অন্ধ ক্ষতে-
শুধু আশার বাণে শর তেজিয়া-
অনল ছোবল মেরে।
যেন মৃর্ত্যু রণে জঙ্গা বনে-
শূন্য দুহাত নিজেরই সনে-
ঢাল করে তাঁর হালের পরে-
দীপ জ্বলে আজ খেপন ধরে,
ঐ বিদ্যা কিরণ জ্ঞানের ঝোলা-
বুকের পাজর নীড়ে।
তাই বলে কি পান্তা বাসির-
বিদায় ক্ষণের বাজলো কাঁসি?
নুন পেঁয়াজ সেই শুকনো বোটা-
লংকা ছেঁকা ঝাঁজে?
দিন বদলের পালা জুড়ে-
পুরোনো স্বাদ যশের ঘোরে,
একটুখানি আনলো বদল?
নিত্যি সকাল সাজের?
নানা জীবন টা যার উদয় অরুণ-
শোষণ তীরে দৃশ্য করুণ,
তিল ধরা ঠাঁই অথৈ পাতল-
ঝরা কালো মেঘে।
ঐ কূল সাধনে সাধক মনে-
পল অসারের রঙবেরঙে,
যায় কি তাঁরে বিন্দু নড়া-
সিন্ধু সত্য ত্যাগে?
আজ ঐ শঙ্খ ধ্বনি-
এই ভুবন মেলে -
যায় কি চেনা কাল বদলে?
শত সাধুর পাল উড়ানো-
অচিন ঘাটের তরী?
কোন পথে কার চলার গতি-
জ্বলবে যে কারো সন্ধ্যে বাতি-
চির ভুবন পারে আধার ঘরে,
সেতো সেই-
চিনবো কেমন করি।
শিলা ঘর্ষণে যার জীবন পিষে-
সেতো পরের মুখে হাসি-
ফুটিয়ে তোলে মন আনন্দে,
জিহ্ব রসেতে সুস্বাদু গন্ধে-
ঐ আগুন পোড়া অন্তর জ্বালে-
রন্ধন পরিবেশে।
ঐ জীবনের মানুষগুলো-
পরের চষণ চষি,
তাঁর ঈষ জনমের-
তিল তিলে ক্ষয়-
তবু একটু বদল-
নেই কোনো ভয়,
নিঃশ্বাসের শেষ ডুবন্তেও-
রহে সরল চোখের হাসি।
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
ঐ সুশান্ত
নীড় অরুণ চলা-
বন হিজলের ধারে,
যার দিঘলে খোয়াই নদী-
নাগর ঘাটা পাড়ে।
মনা-মধু-মতিন দাদু-
তিন জীবনের বাড়ি,
সব গেলো ঐ খোয়াই পেটে-
শুধুই সে আজ নীড়ে।
শিশুর ডগায় খড়কুটো তে-
কুড়ি বছর পর,
আজও চিল শকুনের বাসাই যেন-
তাঁর নিজেরই সেই ঘর।
শৈশবে যে বিদ্যালয়ে-
সাথীর পাশে বসে,
নেয় পড়ে সব সন্ধ্যে হলে-
গুরুর চরণ চষে।
অনাথ চরণ নিঃস্ব রথে-
আধার মনের অন্ধ ক্ষতে-
শুধু আশার বাণে শর তেজিয়া-
অনল ছোবল মেরে।
যেন মৃর্ত্যু রণে জঙ্গা বনে-
শূন্য দুহাত নিজেরই সনে-
ঢাল করে তাঁর হালের পরে-
দীপ জ্বলে আজ খেপন ধরে,
ঐ বিদ্যা কিরণ জ্ঞানের ঝোলা-
বুকের পাজর নীড়ে।
তাই বলে কি পান্তা বাসির-
বিদায় ক্ষণের বাজলো কাঁসি?
নুন পেঁয়াজ সেই শুকনো বোটা-
লংকা ছেঁকা ঝাঁজে?
দিন বদলের পালা জুড়ে-
পুরোনো স্বাদ যশের ঘোরে,
একটুখানি আনলো বদল?
নিত্যি সকাল সাজের?
নানা জীবন টা যার উদয় অরুণ-
শোষণ তীরে দৃশ্য করুণ,
তিল ধরা ঠাঁই অথৈ পাতল-
ঝরা কালো মেঘে।
ঐ কূল সাধনে সাধক মনে-
পল অসারের রঙবেরঙে,
যায় কি তাঁরে বিন্দু নড়া-
সিন্ধু সত্য ত্যাগে?
আজ ঐ শঙ্খ ধ্বনি-
এই ভুবন মেলে -
যায় কি চেনা কাল বদলে?
শত সাধুর পাল উড়ানো-
অচিন ঘাটের তরী?
কোন পথে কার চলার গতি-
জ্বলবে যে কারো সন্ধ্যে বাতি-
চির ভুবন পারে আধার ঘরে,
সেতো সেই-
চিনবো কেমন করি।
শিলা ঘর্ষণে যার জীবন পিষে-
সেতো পরের মুখে হাসি-
ফুটিয়ে তোলে মন আনন্দে,
জিহ্ব রসেতে সুস্বাদু গন্ধে-
ঐ আগুন পোড়া অন্তর জ্বালে-
রন্ধন পরিবেশে।
ঐ জীবনের মানুষগুলো-
পরের চষণ চষি,
তাঁর ঈষ জনমের-
তিল তিলে ক্ষয়-
তবু একটু বদল-
নেই কোনো ভয়,
নিঃশ্বাসের শেষ ডুবন্তেও-
রহে সরল চোখের হাসি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৯/২০২১চমৎকার শব্দ চয়নে মুগ্ধ হলাম ।
-
অভিজিৎ হালদার ০২/০৯/২০২১সুন্দর ভাবনার অবতারণা করেছেন কবিতাই
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০৯/২০২১ভাল।
-
আলমগীর সরকার লিটন ০২/০৯/২০২১পাঠে অন্যরকম লাগল কবি দা
-
জামাল উদ্দিন জীবন ০২/০৯/২০২১বেশ।