www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

শফিকের ড্রাম বাদ্য (মজার স্মৃতি)

বিভা ছাত্রাবাস;মির্জাপুর, রাজশাহী। ২০০৩। সেপ্টেম্বরের এক রাত। ১০টার মত বাজে। কেউ আছে টিভি রুমে রিমোর্ট হাতে নিয়ে, কেউ পড়ার টেবিলে, কেউ ওয়াকম্যান বা রেডিওতে গান শোনায়। কেউ হয়তো শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়।

আমার পাশের রুম থেকে গিটারের টুং টাং শব্দ আসছে। শাকিলের কাজ। কোথা থেকে যেন রেডিওর আওয়াজ আসছে। টিভি রুম থেকে হৈ হুল্লোড় আর গল্পের মত শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ যেন মাথায় বাজ পড়ল! কে যেন স্টিলের দরজায় হাতুড়ি পিটাচ্ছে।

সবাই চিৎকার শোরগোলে বাইরে এসে দাঁড়ায়। আমি বাইরে এসে দেখি আমার পাশের রুমের পরের রুমের শফিক (পপুলেশন্স সাইন্স এন্ড হিউমেন রুসোর্সের ছাত্র ) তার রুমের দরজা ধরে ঝাকাচ্ছে। ব্যাপার কী জানতে চাইলে সে উত্তেজিত স্বরে (কিছুটা বোধগম্যের সীমার বাইরে ) যা বলল, তার সারমর্ম হল-
কারেন্ট চলে যাওয়াতে গরমে এমনিতে কাহিল। তার উপর আগামীকাল তার টিউটোরিয়াল পরীক্ষা। তার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু সবাই যেভাবে গান গাইছে, গিটার বাজাচ্ছে (শুধু একজন; এবং ভাল বাজায় ), রেডিও শুনছে, হৈ হুল্লোড় করছে, এতে তার পড়ার Disturb হচ্ছে। তাই সেও বাদ্য বাজাচ্ছে। তার ভাষায় সে ড্রাম পিটাচ্চে। সুতরাং কারো তো আপত্তি থাকার কথা নয়। সবাই তো অবাক হয়ে শফিকের দিকে তাকিয়ে আছে, কে কী বলবে?
হঠাৎ একজন আযান দিতে লাগল। পাগলা মিযান! সে বলল, আমি গান বাদ্যে বিশ্বাসী নই; তাই আমি আযান দেব।
শফিকের এই আজব কান্ড আমার স্মৃতিতে আজীবন থাকবে। শফিক এখন কোথায় আছে জানি না। ভাল আছে নিশ্চয়ই। ভাল থাকুক এটাই চাই।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৭৩৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৫/১০/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • আরজু নাসরিন পনি ২৭/১০/২০১৩
    হাহাহাহা
    শেষে এসেতো হাসতেই আছি...শোধ নেবার প্রক্রিয়াটা জটিল উপভোগ্য ।

    আর আযান দেবার কথা পড়ে হাসি থামছেই না ।

    অনেক ধন্যবাদ সাজিদ, এমন মজার স্মৃতি শেয়ার করার জন্যে ।।
  • খুবই মজার স্মৃতি।
    • আহমাদ সাজিদ ২৬/১০/২০১৩
      ধন্যবাদ।
  • কবীর হুমায়ূন ২৬/১০/২০১৩
    শফিক ভাল আছে নিশ্চয়।
    ভালোই হাসালে ।
 
Quantcast