www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সময়ের সাথে জীবনের ভাবনা ১৪

দিন দিন আমি নিজেকে চিনতে শিখছি, মনে হলো একটু দেড়িতে শিখছি, তবু ভেবে ভালো লাগছে চিনতেতো শুরু হলো, এখন জীবনকে সহজ ভাবে নিতে পারছি, অনেকক্ষেত্রেই আমি কট্টোর মানসিকতার ছিলাম, আজ এসে মনে হচ্ছে ভালো মন্দ নিয়ে কমপ্রমাইজ করে আগাতে হয়। হারতে আমি কখনও শিখিনি, তাই এখনও কিছু সময় আমি বিচলিত হয়ে পড়ি, নিজেকে আবার বুঝাই, আমি আবার শক্ত মানসিকতা নিয়ে পথ চলতে থাকি,হোচট খাই, বারবার আমি নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি, ইদানিং এই ফিরিয়ে নেয়ার পিছনে অনেক সময় শ্রম দিতে হচ্ছে, প্রতিনিয়ত আমি নিজের এই স্থান পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি,এ বড় কঠিন যুদ্ধ, অনেক বড় আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়।
ভাব, কল্পনা আর বাস্তবতায় একটু ব্যবধান আছে। যে যত তাড়াতাড়ি এই বাস্তবতাকে বুঝতে পারবে সে তত আগেই জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েযাবে। কিন্তু মনে হচ্ছে জীবন যুদ্ধে আমি অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি, অনেক আগেই জীবনকে,নিজেকে চেনা উচিত ছিলো, সেটা যেহেতু হয়নি তাই তা নিয়ে ভেবে সময় নস্ট করতে চাইনা।
জীবনের চলার পথে আমার অভিজ্ঞতা অনেক কম, তাই হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে আমি দ্বিধা দ্বন্ধে ছিলাম। এখনও থাকি। বড় অসহায় লাগে যখন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।সমাজে চলতে হলে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়, একটা সময় ছিলো নিজের ভালোলাগা, বলা যেতে পারে নিজের একগুয়েমিকে বেশি মুল্যায়ণ করেছি, এখন একটু ভাবতে শিখছি, হয়তো এই বোধটাই আমাকে পরিপক্ব করে তুলবে, বাস্তবতা শিখাবে।
লক্ষ্য ছাড়া আগানো কঠিন, জীবনের পিছনদিকে তাকালে আমি একটু হতাশ হয়ে পড়ি, গত তিন বছর নড়বড়ে লক্ষ্য নিয়ে কেটেছে জীবনটা, তাই পিছিয়ে গেছি জীবনের চলার পথে, আর পিছিয়ে পড়তে চাই না, লক্ষ্য স্থির-তার পর পথচলা, যত কষ্টই হোক তার উপর অটল থাকা, তাহলে সাফল্য আসবেই, কিন্তু এই অটল থাকাটা নিয়ে যত সমস্যা, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে আমি অটল থাকতে পারিনি, তবে এবার হাল ছাড়ছিনা।
গত পড়শু থেকে মৃত্যু ভাবনা নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে। আগের ধারনা আমাকে স্থির করে তুলতো, পরিস্কার করে বললে জীবনটা থেমে যেতো, মরেই যাবো তাহলে এত কিছু করে কি লাভ, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মৃত্যু ভাবনাটা থাকা অনেক ভালো, তাহলে নিজের ক্ষনস্থায়ী রুপটা নিজের সামনে থাকে, তখন ভাবতে হয় সময় অনেক কম তাই যা করার তাড়াতাড়ি করো, নিজের জন্য যা করতে হবে এখনই করে ফেলো। এক সময় এই মৃত্যু ভাবনা আমাকে জড়তায় আটকে ধরতো আর এখন জীবনের গতিশীলতা বুঝাতে শিখাচ্ছে, এই দৃষ্টিভঙ্গিরপরির্তনটা আমাকে বাচতে বলছে, আমাকে ঝুকি নিতে সাহস দিচ্ছে, যুদ্ধ করে বাচার মধ্যে অনেক আনন্দ আছে, তাহলে যুদ্ধ করেই বাচতে শিখি।
জীবনকে আনন্দঘন করতে প্রয়োজন পজিটিভ চিন্তা, সবসময় এটা করতে পারলেই সাহস জন্মে, সবকিছু সহজ মনে হয়, জীবনকে উপভোগ করা যায়, লক্ষ্য পথে টিকে থাকা যায়, সময়টা খারাপ যাবে, কিন্তু পজিটিভ চিন্তা থাকলে নিজের ইচ্ছেটাকে শক্তকরা যায়, সামনে আগানো সহজ হয়ে যায়, এখানে আমার অনেক গ্যাপ আছে, নিজেকে তৈরীকরছি। একটা ধারনা আমার জন্মেছে- এই সময়ে যেটাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান মনে করছি পরবর্তীতে সেটা আমার কাছে অত জরুরী নাও হতে পারে। তাই না পেলে হতাশ হবার ভাবনাটাকে পরিত্যাগ করতে চাই, তার জন্য আফসোস, মন খারাপ করে সময়টাকে নষ্ট করতে চাইনা। নিজেকে বারবার বুঝাতে হয় সময় কম অনেক কিছু করার বাকি।
তবে এটাও বুঝতে পারি জীবনকে বয়ে বেড়াতে ধৈর্য্যের সাথে সাথে কিছু অর্জনও থাকতে হয়, যাকে পুজি করে নিজের সাহস ও আত্মবিশ্বাসকে বাড়ানো যায়, তাই ভাবছি আমার কি কোন অর্জন আছে যা নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারি, কিছু হয়তো আছে, না থাকলেও আমি হতাশ হতে চাই না, প্রথম অর্জনটা না হয় কিছু দিনের মধ্যে অর্জন করবো, এই ভাবনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাই তারপর যা হবার তা হবে। টেনশন করে কম সময়টাকে নষ্ট করতে চাই না।
আদর্শ বা বিপ্লবী চিন্তা না থাকলে এভারেজ ম্যান হয়ে বাচতে হয়, যেভাবে জীবন চলছে সেটার কোন পরিবর্তনের ইচ্ছে জন্মেনা, একগুয়ে জীবনটাই সহজ মনে হয়, পরিবর্তনকে ভয় হয়, তাই জীবনের চলার পথে আর পিছিয়ে না থাকি,আদর্শ কে বুকে ধারন করি, ঝাপিয়ে পড়ি জীবন যুদ্ধে, যতটা সহজ করে বলা যায় কাজটা তত সহজ নয়, তবুও ভয়কে আর নিজের করে নিচ্ছি না।

December 5, 2013 at 1:11am
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ১০৬১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৭/১২/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast