দেশের মানুষ বিদেশে
ছোট থেকে আমাদের শিখিয়ে দেওয়া হয়- কেবল নিজেরটা বোঝো, পাশের লোকের কথা একদম ভেবো না। এই কথাটা নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মানে একটা টাকা কামাবার যন্ত্র তৈরী হওয়া নয়- একজন সামাজিক জীব হয়ে ওঠা।
এই কলি যুগে সামাজিক জীব হাতে গোণা। বিদেশে ছেলে মেয়েরা ঘর বাড়ি করে, মা বাবাকে দেশের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়ে। এই সব মা বাবাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, 'ছেলে মেয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরী করবে নাকি আমাদের কোলে বসে থেকে তাদের জীবন নষ্ট করবে'। ক্যারিয়ার তৈরী করা মানে ডলার কামানো। অধিকাংশ ভারতীয় ডলারের লোভে কিংবা ইউরো-র লোভে বিদেশ যায়। হ্যাঁ এ কথা সত্য যে যারা প্রকৃত মেধাবী, তারা বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী নিতে চায়, ডিগ্রী নিয়ে সেখানেই গবেষণা করতে চায়- এতে তাদের সুনাম হয়, যা দেশে থাকলে হয়তো হবে না কারণ এই পোড়া দেশে গবেষণার জন্য যত টাকা খরচ করা হয়, মতদানের জন্য তার থেকে বেশি টাকা খরচ করা হয়।
আরো একটা সত্য কথা আছে- দেশ ছেড়ে চিরকালের জন্য বিদেশে থাকতে গেলে স্বার্থপর হতে হয়। যেন সব কিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে নেওয়া। নিজের সাথে কেবল নিজে বাঁচা। যারা পারে না, তারা বিদেশ থেকে পালিয়ে আসে দেশে, পালিয়ে এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। আর যারা পালিয়ে আসে না, তারা পিছন দিকে কখনো ফিরে তাকায় না। অভাগা দেশ প্রথমজনের কাছে ঋণী কিন্তু দ্বিতীয়জনের কাছে লাঞ্চিত।
কেবল মা বাবা অথবা দেশ কেন, নিজের কথা ভাবতে ভাবতে পরিবারের প্রতিও উদাসীন হয়ে পড়ে প্রবাসীরা। ওপর ওপর মিল কিন্তু ভিতর ভিতর গরমিল। যত বেশি গরমিল, তত বেশি পোস্ট ফেসবুক-এ। যেমন দেশের মধ্যে দেশ থাকে, তেমন পরিবারের মধ্যে থাকে পরিবার। এদের ছেলে মেয়েরাও একলা বাঁচতে শেখে, যেখানে জঙ্গলের জন্তুরাও দল বেঁধে থাকে। বিদেশে ভারতীয় বংশের মানুষেরা ক্যারিয়ার-এ বড় হয়, কিন্তু মানুষ কতটা বড় হয়, তা নিয়ে সন্দেহ।
এদের মধ্যে কিছু মানুষ এখনো উদার, তারা দেশের গরীবদের জন্য দান ধ্যান করেন। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের মধ্যে আবার আরো উদার মানুষ আছেন, যারা দানের নামে নাম কেনেন আর ধ্যানের নামে ধান, তাদের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ! নন রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান হয়েও এরা ইন্ডিয়া থেকে আলাদা!
এই কলি যুগে সামাজিক জীব হাতে গোণা। বিদেশে ছেলে মেয়েরা ঘর বাড়ি করে, মা বাবাকে দেশের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়ে। এই সব মা বাবাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, 'ছেলে মেয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরী করবে নাকি আমাদের কোলে বসে থেকে তাদের জীবন নষ্ট করবে'। ক্যারিয়ার তৈরী করা মানে ডলার কামানো। অধিকাংশ ভারতীয় ডলারের লোভে কিংবা ইউরো-র লোভে বিদেশ যায়। হ্যাঁ এ কথা সত্য যে যারা প্রকৃত মেধাবী, তারা বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী নিতে চায়, ডিগ্রী নিয়ে সেখানেই গবেষণা করতে চায়- এতে তাদের সুনাম হয়, যা দেশে থাকলে হয়তো হবে না কারণ এই পোড়া দেশে গবেষণার জন্য যত টাকা খরচ করা হয়, মতদানের জন্য তার থেকে বেশি টাকা খরচ করা হয়।
আরো একটা সত্য কথা আছে- দেশ ছেড়ে চিরকালের জন্য বিদেশে থাকতে গেলে স্বার্থপর হতে হয়। যেন সব কিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে নেওয়া। নিজের সাথে কেবল নিজে বাঁচা। যারা পারে না, তারা বিদেশ থেকে পালিয়ে আসে দেশে, পালিয়ে এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। আর যারা পালিয়ে আসে না, তারা পিছন দিকে কখনো ফিরে তাকায় না। অভাগা দেশ প্রথমজনের কাছে ঋণী কিন্তু দ্বিতীয়জনের কাছে লাঞ্চিত।
কেবল মা বাবা অথবা দেশ কেন, নিজের কথা ভাবতে ভাবতে পরিবারের প্রতিও উদাসীন হয়ে পড়ে প্রবাসীরা। ওপর ওপর মিল কিন্তু ভিতর ভিতর গরমিল। যত বেশি গরমিল, তত বেশি পোস্ট ফেসবুক-এ। যেমন দেশের মধ্যে দেশ থাকে, তেমন পরিবারের মধ্যে থাকে পরিবার। এদের ছেলে মেয়েরাও একলা বাঁচতে শেখে, যেখানে জঙ্গলের জন্তুরাও দল বেঁধে থাকে। বিদেশে ভারতীয় বংশের মানুষেরা ক্যারিয়ার-এ বড় হয়, কিন্তু মানুষ কতটা বড় হয়, তা নিয়ে সন্দেহ।
এদের মধ্যে কিছু মানুষ এখনো উদার, তারা দেশের গরীবদের জন্য দান ধ্যান করেন। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের মধ্যে আবার আরো উদার মানুষ আছেন, যারা দানের নামে নাম কেনেন আর ধ্যানের নামে ধান, তাদের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ! নন রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান হয়েও এরা ইন্ডিয়া থেকে আলাদা!