www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

জীবনে চলার পথে

জীবনে চলার পথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা যাক। কথা গুলো অজানা নয়, জানা কথাই ব্যাখ্যা করছি।

বহু মানুষের মনে শান্তি নেই। যাদের মন অশান্ত, তারা কী কথা বলে? 'সমাজ পুরো গোল্লায় গেছে...একটা সৎ মানুষ দেখাতে পারবে...ও এই করেছে, ও এই বলেছে...ও অসৎ পথে বড় হয়েছে...ওর এই দোষ...', আরো কত কিছু। শাস্ত্রে বলে- যদি মনকে শান্ত করতে চাও, তাহলে নিজের দোষ দেখো। নিজেকে বদলালেই গোটা দুনিয়া বদলে যাবে। নিজের কাছে নিজে সৎ থাকো। কজন মানুষ শাস্ত্র মানে? শাস্ত্রের কথা বললে বলে, 'জ্ঞান দিও না' বা 'তোমার জ্ঞান শোনার আমার কোনও সময় নেই'। মনে রাখবেন,গণতন্ত্র মানুষকে নিজের দোষ দেখার স্বাধীনতা দেয় কিন্তু ওপরকে দোষী করার স্বেচ্ছাচারিতা দেয় না। গণতন্ত্রে কেবল মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে, কারো নিন্দা করার দুঃসাহস দেখাবার কোনও অধিকার নেই। কারোকে ছোট না করেই নিজের মত প্রকাশ করা যায়। কারোকে ছোট করে নিজের মত প্রকাশ করা মানে, নিজেকেই ছোট করা।

বহু মানুষের অভিযোগ, 'আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, ও এগিয়ে গেল। আমি পিছিয়ে পড়ে থাকলাম'। সব ক্ষেত্রে এই কথাটা সত্য নয়। যে এগিয়ে যায়, তার মধ্যে প্রতিভা আছে বলেই সে এগিয়ে যায়। প্রতিভাকে কেউ কোনও দিনও চেপে রাখতে পারে না। নিষ্ঠা, সততা, উপস্থিত বুদ্ধি ও ব্যবহার- এই চারটে শব্দ সফলতা নিয়ে আসে। শিল্পী তো প্রচুর আছে। সকলেই মহান। কিন্তু মানুষের মন জয় করতে কজন পারে। যে মানুষের মন জয় করবে, সেইই এগিয়ে যাবে। প্রতিভা না থাকলে মানুষের মন জয় করা যায় না। জীবন এবং জীবিকা দুটোই শিল্প। আরেকটা কথা জেনে রাখবেন, মানুষের মন পেতে গেলে, তার মন জয় করেই তা পেতে হয়, মানুষের মন বিষিয়ে দিয়ে তা কখনোই পাওয়া যায় না।

কেউ বিলাপ করে, 'আমি ভালো শিক্ষক পাইনি, তাই বেশিদূর লেখাপড়া শিখতে পারিনি'। যে নিজে শিখতে চায়, তার কোনও শিক্ষকের প্রয়োজন হয় না। নিজে শিখতে সময় লাগে ঠিকই, কিন্তু নিজে যা শিখি, তা অমর হয়ে গেঁথে থাকে মনের গভীরে, কখনো কখনো হৃদয়ের অন্তস্থলে- যা কখনোই ভোলার নয়। শিক্ষক যাদের গুলে খাওয়ায়, তারা নিজে নিজে চিন্তা করার শক্তি হারিয়ে ফেলে- ফলে কলের পুতুল তৈরী হয়।

টাকার মূল্য আমাদের সকলের বোঝা উচিত। কামাতে সময় লাগে কিন্তু খরচ করি এক পলকে। যে কষ্ট করে কামায়, সে বোঝে টাকার মূল্য- তাই সে প্রচুর ভেবে চিন্তে বুঝে শুনে খরচ করে। সে কিন্তু কৃপণ নয়, সমাজ তাকে কিপ্টে বললেও। যে কষ্ট করে মানুষ, সে বোঝে- কষ্ট করলেই কেষ্ট মেলে। যে অতি প্রাচুর্যে মানুষ, সে টাকা ওড়াবেই। তবে পালে বাঘ পড়লে, সে বুঝবে টাকার মর্ম। কারো জন্ম থেকেই পালে বাঘ পড়ে বসে আছে, কারো তা প্রথম জীবনে পড়ে, কারো মাঝ বয়সে ও কারো শেষ বয়সে। এই দুনিয়ায় এমন লোক দেখা যায় না, যার পালে বাঘ পড়েনি। বড় লোকেদের কথা আলাদা। আবার বহু বড় লোকের ভিখারি হওয়ার নিদর্শনও আছে।

অন্যের পাপের বোঝা আমি ভোগ করবো কেন? তাই অন্যায় দেখলে পালিয়ে বাঁচা যায় না, নিজেকে বাঁচিয়ে রুখে দাঁড়াতে হয়। নিজেকে বাঁচিয়ে মানে? সামনে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে, জনগণকে বা আইনের রক্ষককে দেখিয়ে দেওয়া উচিত যে এই ব্যক্তি অন্যায়কারী। অন্যায়কে রুখতে আরেকটা অন্যায়ের জন্ম দেওয়াটা ঘোর অপরাধ। আর নিজের পাপের বোঝা তো নিজেকেই বইতে হবে, নিজের থেকে পালিয়ে বাঁচা যায় কী?

জ্ঞানের ডালা আমি বন্ধ করলাম। জানি না এতে কজনের উপকার হবে!
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ২২৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/০৬/২০২২

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast