তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ
মানুষ মাত্রই লোভী। টাকার লোভ কমবেশি সকলেরই আছে। সৎ পথে কামিয়ে যে ট্যাক্স দেয়, তার সাত খুন মাফ। কিন্তু ক্ষমতার লোভ কখনোই মাফ করা যায় না। ক্ষমতার লোভে আজ রাশিয়া যুদ্ধ করছে। রাশিয়ার নৃশংসতায় ইউক্রেনের কিয়েভ শহর প্রায় ধ্বংসের মুখে। খবরের কাগজে ছাপা যুদ্ধের টুকরো টুকরো ছবি গুলো দেখছি আর আতঙ্কে শিউরে উঠছি।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ দেখার দুর্ভাগ্য আমার হয়নি। শুনেছি যে দেশ গুলো যুদ্ধ করেছিল, কেবল তাদের ক্ষতি হয়নি- সারা বিশ্বে সবকটা দেশে দুর্ভিক্ষ লেগেছিল। গরীব মানুষ জীবনের প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করতে করতে হাঁফিয়ে ওঠে, সে অন্য মানুষের সাথে যুদ্ধ করবে কীভাবে! যারা খেতেই পায় না, তাদের খাওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেল। যারা যুদ্ধ চায়, তাদের ভাতের ফ্যান খেয়েই বেঁচে থাকতো গরীবের দল। বেঁচে থাকাই যখন দায়, তখন পরিপুষ্ট হওয়ার কোনও প্রশ্নই জাগে না। বহু গরীবের জীবনে ভাতই জোটে নি!
এবার হু হু করে দাম বাড়বে জিনিসপত্রের। বাড়বে আলুর দাম। বাড়বে ওষুধের দাম। বাড়বে তেলের দাম। কেবল কমবে জীবনের দাম। একে তো প্রয়োজনীয় বস্তুর দাম বেড়েই আছে, তার ওপর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে মরবে ভারতের মানুষ, যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেই!
আমেরিকা ও ব্রিটেন সহ ছাব্বিশটা দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছে। এই ছাব্বিশটা দেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে রাশিয়া ম্যাপ থেকে একেবারে মুছে যাবে! দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার আমরা চিরকাল সকলেই দেখেছি। আবার এও দেখেছি, অসহায় দুর্বলের পাশে সবল মানুষদের দাঁড়াতে। যে দেশ এক সময় স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কথা বলেছিল, সেই দেশ আজ হিটলারের জার্মানি হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনও ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। যখন রাশিয়ার কিয়েভের চারদিক ঘিরে ফেলার খবর এল, তখন আরো একটা তাক লাগানো খবর গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিল- ইউক্রেনের এক তরুণ সৈনিক আত্মঘাতী হামলায় একটা ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছে, যাতে রাশিয়ার সৈন্যদের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।
একটা বিরাট সমস্যা সামনে এসেছে। ভারত থেকে বহু ছাত্রছাত্রী ইউক্রেনে পড়তে গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশে ফিরে আসতে পেরেছে, কিন্তু বেশিভাগই আটকে আছে ধ্বংস স্তূপের ভিড়ে। তাদের মা বাবার কী অবস্থা! তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
আমি চাইলেই তো আর যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবো না। ভয় হচ্ছে, এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আরেকটা বড় যুদ্ধ না লড়তে হয়। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে আর চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধ করার জন্য কোনও মানুষই হয়ত বেঁচে থাকবে না।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ দেখার দুর্ভাগ্য আমার হয়নি। শুনেছি যে দেশ গুলো যুদ্ধ করেছিল, কেবল তাদের ক্ষতি হয়নি- সারা বিশ্বে সবকটা দেশে দুর্ভিক্ষ লেগেছিল। গরীব মানুষ জীবনের প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করতে করতে হাঁফিয়ে ওঠে, সে অন্য মানুষের সাথে যুদ্ধ করবে কীভাবে! যারা খেতেই পায় না, তাদের খাওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেল। যারা যুদ্ধ চায়, তাদের ভাতের ফ্যান খেয়েই বেঁচে থাকতো গরীবের দল। বেঁচে থাকাই যখন দায়, তখন পরিপুষ্ট হওয়ার কোনও প্রশ্নই জাগে না। বহু গরীবের জীবনে ভাতই জোটে নি!
এবার হু হু করে দাম বাড়বে জিনিসপত্রের। বাড়বে আলুর দাম। বাড়বে ওষুধের দাম। বাড়বে তেলের দাম। কেবল কমবে জীবনের দাম। একে তো প্রয়োজনীয় বস্তুর দাম বেড়েই আছে, তার ওপর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে মরবে ভারতের মানুষ, যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেই!
আমেরিকা ও ব্রিটেন সহ ছাব্বিশটা দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছে। এই ছাব্বিশটা দেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে রাশিয়া ম্যাপ থেকে একেবারে মুছে যাবে! দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার আমরা চিরকাল সকলেই দেখেছি। আবার এও দেখেছি, অসহায় দুর্বলের পাশে সবল মানুষদের দাঁড়াতে। যে দেশ এক সময় স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কথা বলেছিল, সেই দেশ আজ হিটলারের জার্মানি হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনও ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। যখন রাশিয়ার কিয়েভের চারদিক ঘিরে ফেলার খবর এল, তখন আরো একটা তাক লাগানো খবর গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিল- ইউক্রেনের এক তরুণ সৈনিক আত্মঘাতী হামলায় একটা ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছে, যাতে রাশিয়ার সৈন্যদের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।
একটা বিরাট সমস্যা সামনে এসেছে। ভারত থেকে বহু ছাত্রছাত্রী ইউক্রেনে পড়তে গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশে ফিরে আসতে পেরেছে, কিন্তু বেশিভাগই আটকে আছে ধ্বংস স্তূপের ভিড়ে। তাদের মা বাবার কী অবস্থা! তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
আমি চাইলেই তো আর যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবো না। ভয় হচ্ছে, এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আরেকটা বড় যুদ্ধ না লড়তে হয়। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে আর চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধ করার জন্য কোনও মানুষই হয়ত বেঁচে থাকবে না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৯/০৭/২০২৩যুদ্ধ নয় শান্তিই হোক আআহ্বান
-
কে এন এন লিংকু ২৮/০৪/২০২২A
-
এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য ০৪/০৩/২০২২আধুনিক যুগেও এসে যে, যুদ্ধের সন্মুখীন হতে হব; তা মানব জীবনের জন্য সত্যি রোমহর্ষক ব্যপার।
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৭/০২/২০২২বড়ই দুঃখজনক এখন যুদ্ধ হয় ভাবতেই পারি না
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৭/০২/২০২২আবেগময় লেখা