www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মানুষের চৈতন্য হোক

সমুদ্রে ঢেউ ওঠে। পাড়ে এসে ভেঙেও যায়। ভাঙা গড়ার কোনও শেষ নেই। ভাঙার আগে ঢেউ গুলো পাড়ে এসে আছড়ে পড়ে সর্ব শক্তি দিয়ে। মরার আগে জানান দিয়ে যায় নিজের ক্ষমতা। পাড়ে দাঁড়ানো মানুষ একটু অন্যমনস্ক হলে আর রক্ষা নেই।

করোনার ঢেউ সমুদ্রের ঢেউ-এর মতোই দুর্দান্ত। একের পর এক এসেই চলেছে। এসে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জনপদ। মানুষের অবস্থা এখন বেহাল। জীবন ও জীবিকা দুজনেই দড়ি টানাটানির খেলাটা খেলছে। বিচারক মানুষ নিজেই কারণ মানুষই হচ্ছে আসল অপরাধী!

মানুষ নিজের মতে চলে। কারো কথা কানে নেয় না। কেউ যদি ভালো কথা বলে, তাহলে মানুষ ভাবে যে তাকে অকারণে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। কারো জ্ঞান শোনার জন্য সে কখনোই প্রস্তুত নয়। যিনি যত বেশি শিক্ষিত, তিনি তত কম মানেন। অশিক্ষিতকে কেন দোষ দিতে যাব! আর অর্ধশিক্ষিত মানুষ শিক্ষিত ও অশিক্ষিত দুজনকেই জব্দ করে। কিন্তু সময় ও পরিস্থিতি এই অর্ধশিক্ষিত মানুষদেরই জব্দ করে সব থেকে বেশি।

প্রত্যেক মুখই মুখোশ। আলাদা করে মুখোশ পড়ার কী আর কোনও প্রয়োজন আছে! মুখ ঢাকলেই লেটা চুকে যায়। যেমন রবি ঠাকুরের 'জুতা আবিস্কার' কবিতায় মহারাজ ওনার পা দুটো চামড়া দিয়ে ঢাকতেই, ধুলো বালির কারণে পায়ে ময়লা লাগা একেবারে বন্ধ হয়ে গেল। লক্ষ ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিয়ে ধুলো পরিষ্কার করতে হল না আর তারপর জল কামান দিয়ে উড়ন্ত ধুলো মাটিতে বসাতেও হল না। মুখোশ পড়ুন ও ভ্যাকসিন নিন। দুরত্ব বজায় রাখুন। হাত স্যানিটাইজ করুন বারবার। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। কী সহজ কথা! কী সহজ কাজ! বলে বলে, লিখে লিখে সুস্থ মানুষ হয়রান।

বার বার বলেও হয় না, বার বার লিখেও হয় না, যতক্ষণ না মানুষের বিবেক জাগছে। 'স্বাধীনতা' শব্দটা ততক্ষণই খাটে, যতক্ষণ না অন্যের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যের ক্ষতি হলে সেটা স্বাধীনতা নয়, সেটা স্বেচ্ছাচারিতা। বাঁচার তাগিদ সকল মানুষই অনুভব করে থাকে। বাঁচার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। তাহলে কী মানুষ বাঁচার তাগিদ এখনও অনুভব করেনি? মানুষ বুঝুক মানুষের জীবন মরণের সমস্যা। মানুষ যত তাড়াতাড়ি বুঝবে, ততই মঙ্গল। মানুষের চৈতন্য হোক।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ২৮৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৮/০৭/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast