নিম তেতো নয়
নিম গাছকে 'একুশ শতকের বৃক্ষ' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে । নিমের উপকারিতা প্রচুর । এটিকে 'ঔষুধি বৃক্ষ' বলা হয়ে থাকে।নিমের রস, পাতা ও ডাল সবই উপকারে আসে । ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় নিম গাছ পাওয়া যায়। পশ্চিম আফ্রিকাতেও এই গাছ মেলে। উষ্ণ আবহাওয়া নিম গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন । এই গাছ বহু বছর বাঁচে এবং চিরসবুজ থাকে ।
নিম পাতার রস ঈষৎ উষ্ণ জলে মিশিয়ে পান করলে কফজনিত বুকের ব্যথা কমে যায় । অজীর্ণ রোগেও নিম পাতার রস উপকারী । নিম পাতার নির্যাস কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনে, রক্ত তরল রাখে ও হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সেদ্ধ নিম পাতা জলে মিশিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া সেরে যায়। এটি বসন্ত রোগের মহাঔষধ । নিম ফুল বা পাতা বেটে গায়ে লাগালে চুলকানি রোগ কমে । এই গাছের মূলের ছাল গুঁড়ো করে সামান্য গরম জলের সাথে মিশিয়ে খেলে কৃমিনাশ করে । যাদের মধুমেহ রোগ আছে, তাদের রোজ সকালে নিম পাতা চিবিয়ে খাওয়া উচিত ।নিমের ডাল দিয়ে রোজ দাঁত মাজলে, দন্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । জন্ম নিয়ন্ত্রণে নিম তেল ব্যবহৃত হয় । নিম তেল শুক্রাণুনাশক । বিজ্ঞানীদের মতামত, নিম তেল গর্ভনিরোধকেরও কাজ করে । নিম তেল মাথা ব্যথায় আরাম দেয় । নিম পাতা বা মূলের ছাল বাটা পোকা কামড়ানো ক্ষত স্থানে লাগালে জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায় । নিম ফুল বা পাতা বাটা মাথার চুলে মাখলে উকুনের বংশ ধ্বংস হয় । নিম শরীরের রোগ প্রতিশোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে । শুনেছি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোজ সকালে নিমের শরবত পান করতেন।
নিমের কাঠ দারুণ শক্ত । এই কাঠে পোকা বাসা বাঁধতে পারে না। উইপোকা নিম কাঠ খেতে পারে না। এই কারণে এখন নিম কাঠের আসবাবপত্র বানানো হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য ঔষধি গাছ কাটা উচিত নয় । ফাইবার বা রড আয়রনের আসবাবপত্র তৈরি করা উচিত। মানুষের বাঁচার জন্য নিম গাছও বাঁচিয়ে রাখতে হবে ।
তাই বলছিলাম, ঘরে মানি প্লান্ট না রেখে, সামনের ফাঁকা জায়গায় নিম গাছ লাগান । এ যুগের নতুন স্লোগান: 'একটি নিম গাছ, একটি মানুষের প্রাণ' । নিমের হওয়ার প্রাণ জুড়ায়, স্বাস্থ্য ভালো থাকে । নিম কখনোই তেতো নয়। তেতো যদি কিছু হয়ে থাকে, সেটা হল মানুষের স্বার্থপর মন, যে উপকারীর উপকার স্বীকার না করে তার ক্ষতি সাধনে সচেষ্ট হয়।
নিম পাতার রস ঈষৎ উষ্ণ জলে মিশিয়ে পান করলে কফজনিত বুকের ব্যথা কমে যায় । অজীর্ণ রোগেও নিম পাতার রস উপকারী । নিম পাতার নির্যাস কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনে, রক্ত তরল রাখে ও হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সেদ্ধ নিম পাতা জলে মিশিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া সেরে যায়। এটি বসন্ত রোগের মহাঔষধ । নিম ফুল বা পাতা বেটে গায়ে লাগালে চুলকানি রোগ কমে । এই গাছের মূলের ছাল গুঁড়ো করে সামান্য গরম জলের সাথে মিশিয়ে খেলে কৃমিনাশ করে । যাদের মধুমেহ রোগ আছে, তাদের রোজ সকালে নিম পাতা চিবিয়ে খাওয়া উচিত ।নিমের ডাল দিয়ে রোজ দাঁত মাজলে, দন্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । জন্ম নিয়ন্ত্রণে নিম তেল ব্যবহৃত হয় । নিম তেল শুক্রাণুনাশক । বিজ্ঞানীদের মতামত, নিম তেল গর্ভনিরোধকেরও কাজ করে । নিম তেল মাথা ব্যথায় আরাম দেয় । নিম পাতা বা মূলের ছাল বাটা পোকা কামড়ানো ক্ষত স্থানে লাগালে জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায় । নিম ফুল বা পাতা বাটা মাথার চুলে মাখলে উকুনের বংশ ধ্বংস হয় । নিম শরীরের রোগ প্রতিশোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে । শুনেছি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোজ সকালে নিমের শরবত পান করতেন।
নিমের কাঠ দারুণ শক্ত । এই কাঠে পোকা বাসা বাঁধতে পারে না। উইপোকা নিম কাঠ খেতে পারে না। এই কারণে এখন নিম কাঠের আসবাবপত্র বানানো হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য ঔষধি গাছ কাটা উচিত নয় । ফাইবার বা রড আয়রনের আসবাবপত্র তৈরি করা উচিত। মানুষের বাঁচার জন্য নিম গাছও বাঁচিয়ে রাখতে হবে ।
তাই বলছিলাম, ঘরে মানি প্লান্ট না রেখে, সামনের ফাঁকা জায়গায় নিম গাছ লাগান । এ যুগের নতুন স্লোগান: 'একটি নিম গাছ, একটি মানুষের প্রাণ' । নিমের হওয়ার প্রাণ জুড়ায়, স্বাস্থ্য ভালো থাকে । নিম কখনোই তেতো নয়। তেতো যদি কিছু হয়ে থাকে, সেটা হল মানুষের স্বার্থপর মন, যে উপকারীর উপকার স্বীকার না করে তার ক্ষতি সাধনে সচেষ্ট হয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সেলিম রেজা সাগর ০৮/১০/২০১৯তথ্যবহুল
-
আব্দুল হক ২৮/০৯/২০১৯বেশ ,,
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৮/০৯/২০১৯উপকারি
-
সঞ্জীব মল্লিক ২৭/০৯/২০১৯সুন্দর