www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

তৈয়ার রাখনা

দুটো আধপোড়া রুটি আর একটা ডিম ওমলেট খেয়ে শিলচর গোহাটি এক্সপ্রেসে উঠলাম, সময় রাত দশটা চৌদ্দ মিনিট ।ট্রেনের কামরায় আমার বিপরীত সিটে দুই অল্প বয়সী মেয়ে বসে গল্প করছে।আর লম্বালম্বি সিটে প্রমিলা নামে এক সুন্দরী মহিলা মোবাইল ঘেঁটে চলছে। ট্রেন গৌহাটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে- যাত্রীরা সবাই নিজেদের বার্থ লাগিয়ে শোবার ব্যবস্থা করলো। আমার দুচোখে তখনো ঘুমের ছিটেফোঁটা নেই- দুই রমণী তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে কথাবার্তা বলেই যাচ্ছে। কোম্পানিতে বেশিদিন নয় মাত্র ছয় মাস চাকুরী করার পর স্যালারি কম করেও কুড়ি হাজার টাকা হবে।জীবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিজেদের বাড়িতেও দু-চার টাকা পাঠাতে পারবে। তাদের গল্প শুনতে শুনতে কখন শুয়ে পড়েছি বলতে পারিনা। সাধারনত আমি ভোর ছয়টার মধ্যে উঠে লেখালেখি করি। পর দিন ছয়টা বাজতেই ঘুম ভেঙে গেল; তবুও পড়ে রইলাম। লামডিং স্টেশন ট্রেন থামতে না থামতেই দুজন আর. পি.এফ জওয়ান একটি কালো কুকুর নিয়ে আমাদের কামরায় উঠলো। তাদের দেখা মাত্র প্রমিলা দেবী হঠাৎ ট্রেন থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ইতিমধ্যে এক মহিলা যাত্রী প্রমিলাকে ধরে ফেললেন। আর. পি.এফ জওয়ানরাও প্রমীলার কাছে গিয়ে উপস্থিত । রেল জওয়ানরা প্রমিলার দৌড়ানোর কারন বার বার জানতে চাইলেও - কোন উত্তর দিল না। জোয়ানরা মহিলার মোবাইলে হোয়াট্‌সঅ্যাপ খুলতেই এস.রাজা নামে এক ব্যক্তির সাথে তার লেখা বেরিয়ে আসে। কনস্টেবল জুড়ে জুড়ে পড়লেন- “ভাইযান! ম্যারি পঁচাশ হাজার লেকে তৈয়ার রেহেনা। ইসবার এক রুপ্যায়াভি কম নেহি হোগা! ম্যানে দু খুবসুরত ছুকরিয়োকো লেকে লমডিং পৌছ চুকাহু !”
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৩৩২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/১০/২০২২

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast