www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সত্যের সন্ধানে সত্যের মুখোমুখি

মনোযোগী পাঠকদের একটু মনোযোগ কামনা করছি। শান্তি বর্ষিত হোক সত্যের পথিকদের প্রতি। আশা করছি ভাল আছেন নিজেদের মত করে। যারা এই লেখা পড়ছেন নেটে বসে অথবা পত্রিকায় পাতায় (অবশ্যই আশা করতে পারি) তারা নিশ্চয়ই চিন্তাশীল ও স্বাধীন মতের অধিকারী। বিজ্ঞানের এই যুগে নিশ্চয়ই আমি ভুল কিছু আপনাদের অন্তরে ঢুকাতে পারব না। আমার আজকের লেখাটা একটু মনোযোগের সাথে পড়ার অনুরোধ রইল। আমি যা জানি তাই সব সত্য নয়, তবে আমি সত্যের সাথে থাকতে চাই। সবাই আসলে সত্যের সন্ধানী-

সত্য কী? খুবই সাধারণ একটা প্রশ্ন। কিন্তু উত্তরটা দেয়া একটু চিন্তার প্রয়োজন। সত্য হলো- আপনার পরিচয়! আপনি এখন একটা পরিচয়ের ধারক ও বাহক। একটা সময় ছিল যখন আপনার কোনো অস্তিত্ব ছিল না, আপনার আলোচনা হত না। তারপর এক সময় আপনার অস্তিত্ব এই পৃথিবী টের পেল। একটু সময় আপনার জন্ম পদ্ধতি ও বেড়ে ওঠা নিয়ে ভেবেছেন কী? দয়া করে একটু ভাবুন।
আরেকটি বড় সত্য হলো- আপনি এখন শ্বাস ছাড়া বাঁচতে পারেন না। বিজ্ঞানের এই যুগেও শ্বাসের বিকল্প অথবা অক্সিজেন বানাতে পারে না কেউ। সত্য হলো- আপনি যেমন অস্তিত্বহীন অবস্থায় এসেছিলেন, তেমনি একদিন অস্তিত্বহীন হয়ে যাবেন। দেহ থেকে প্রাণটা একবার বের হয়ে গেলে কখনো আর  কেউ তা ঢুকাতে পারে না। এবার আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আসল সত্য হলো- আপনি আসলে খুবই দূর্বল আর অসহায়! মানতে পারছেন না? তাহলে আরকটু ভাবুন!

সত্য কী? সত্য হলো- আপনি আপনার চারপাশে যা কিছু দেখছেন সবকিছুই ধ্বংসশীল। এই পৃথিবী আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই ধ্বংসের দিকে ছুটে চলছে। আমি, আপনি কিংবা এই পৃথিবী যখন ধ্বংসশীল, তাহলে থাকবে কী বাকি? বাকি থাকবে.... নিশ্চয়ই বাকি থাকবে! পাঠক একটু ভাবুন....
আবারো ভাবুন।

আপনার মাথার উপরে সুনীল আকাশ, গ্রহ-নক্ষত্র , চাঁদ-সুর্যের কথা ভাবুন। সূর্য ছাড়া তো পৃথিবীর অস্তিত্ব কখনো সম্ভব নয়। কোনো বিজ্ঞানী কি পারবে সূর্যের মত কোনো নক্ষত্র বানাতে? অথবা চোখ ছাড়া আমাদের দৃষ্টি শক্তি! একটু মনোযোগের সাথে, সময় নিয়ে ধ্যান করুন আর ভাবুন। আপনার সৃষ্টি প্রক্রিয়া নিয়ে, আপনার দৈহিক কাঠামো আর বিবেকের সীমাবদ্ধতায়। ভাবুন আপনি আপনার চারপাশ আর এই পৃথিবী নিয়ে। কী পেলেন মনের ভিতর? কিছুই না?

আগে তো আপনার মনটা খালি করুন। বিবেককে করুন স্বাধীন, অন্তরকে করুন প্রসারিত। পেয়ে যাবেন সেখানে এক শক্তিমানের বাস অথবা কোনো অদৃশ্য শক্তির ভয়!
ঠিক। সত্য হলো একজন সর্ব শক্তিমান স্রষ্টার অস্তিত্ব! যিনি আপনার মালিক, এই জাহানের মালিক।
আপনি মানতে পারছেন না? স্রষ্টার অস্তিত্ব নেই? আরে ভাই! এটাকেই চরম সত্য ভাবছেন কেন? আপনার কাছে যা আছে তার সবই সত্য, তাতো নাও হতে পারে বরং এই ভাবে ভাবুন- যা কিছু সত্য তা আমার। আমি সত্যের সাথে আছি। বিষয়টা আরেকটু ভাবার জন্য বলছি।

একজন সর্বশক্তিমানের অস্তিত্বের পর আমাদের ভাবিয়ে তুলে, মৃত্যুর পর আমাদের কী হবে? কী হয় মৃতদের সাথে! পৃথিবী যখন ধ্বংস হয়ে যাবে তখন কী হবে তারপর?????????????????????????
???????????????????????????????
তাই আমি আপনাদের একটু ভাবতে বলছি। কারণ আমাদের এই জগতের জীবনটা সীমিত! কখন না জানি শেষ হয়ে যায় শ্বাসক্রিয়ার খেলা। তারপর কী হবে আমার? তাই এখনি ভাবার দরকার। আমি আপনাদের করজোড়ে নিবেদন করছি স্রষ্টাকে নিয়ে ভাবতে, তার দেয়া জীবন বিধানকে নিয়ে ভাবতে (তা যে কোনো ধর্মের হোক না কেন)। আমি আপনাদের ভাবতে বলছি আপনাদের বর্তমান ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে। ভাবতে বলছি, কী করছেন ধর্মের নামে?
কী আচার পালন করছেন, চলছেন কোন পথে ধর্মের নামে? আপনি যদি এক শক্তিমানের কাছে প্রার্থনা ছাড়া অন্য কিছু করেন তাহলে আপনার কাছে আমার করুণ আকুতি- একটু ভাবুন আপনার ধর্মীয় রীতি নিয়ে ( যে কোনো ধর্মের হোক না কেন), আপনার বিশ্বাস নিয়ে। দেখুন জোড়ালো কীনা, যদি জোড়ালো না হয় তাহলে আপনি ভুলের উপর আছেন। ভাল করে ভাবুন- কোথায় আছে এক শক্তিমানের পথ? কোনটা সত্য?
আমি আপনার কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে বলছি একটু বিবেকের কাছে যান। এক সত্তার কাছে প্রার্থনা করুন, যেনো আপনাকে তিনি সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করান।  আমি আপনাকে সেই সত্যের মুখোমুখি হতে বলছি। আমাদের একজন স্রষ্টা, তিনি একক সত্তা, অদ্বিতীয়, তার সমকক্ষ কেউ নয়, তিনিই সর্বশক্তিমান। তিনি আমাদের মালিক ও প্রভু। আমরা শুধু তারই কাছে প্রার্থনা করবো আর তার গোলামি করবো।

যদি আপনি আমার এই সত্যের বিরোধী হোন তাহলেও ক্ষতি নেই। একটুর জন্য আমার কথাটা মেনে নিয়ে একটু ভাবতে তো কোনো আপনার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আধাঁর কখনো আলোকে গ্রাস করে না বরং আলো এসে আঁধারকে দূর করে।

আমি আপনাকে এক সত্তার অস্তিত্বের বিশ্বাসী হতে বলছি এই কারণে যে, আমি এক সত্তায় বিশ্বাসী। আমি জানি মৃত্যুর পর আমাদের সবাইকে এই সত্তার মুখোমুখি হতে হবে বিচারের কাঠগড়ায়। আমাদের পাপ-পূণ্যের হিসেব হবে। পূণ্যের জন্য রয়েছে অভাবনীয় স্বর্গের পুরষ্কার আর পাপের জন্য রয়েছে তেমনি অকল্পনীয় শাস্তির নরকের স্থান।

আপনি মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাসী নন? কোনো সমস্যা নেই। একবার ভাবুন তো, যদি সত্য হয়ে যায় তাহলে আপনার কী অবস্থা হবে? (একটু সময়ের জন্য আপনার যুক্তিতে ধরে নিলাম, মৃত্যুর পর কিছু নেই)যারা বিশ্বাসী, তারাতো মৃত্যুর পরের জীবন থাকলেও সমস্যা নেই না থাকলেতো আরো নেই!

আমার কথা আপনার মানার কোনো দরকার নেই, আপনি একজন যুক্তবাদী মানুষ! আপনি শুধু আমার কথায় উৎসাহী হয়ে এক স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী ধর্মীয় বই পড়ুন। নিজেকে জানুন, আপনার স্রষ্টাকে জানুন। জানতে কোনো দোষ নেই।

আমি আপনাকে এখন আমার জানা সত্যের কথা বলছি, আমার স্রষ্টা একক সত্তা! তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আমি শুধু তারই গোলামি করি (দুনিয়ার আর কারো নয়)। আমি আরো বিশ্বাস করি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তারই গোলাম ও প্রেরিত দূত এবং আমার অনুসরণীয় আদর্শ।
আমার কথায় আপনি দূঃখ পেলে কিংবা মতের ভিন্নতায় থাকলে তর্ক না করে ভাবতে বলব, একটু ভাবুন, সময় নিয়ে ভাবুন। আরেকটু পড়াশোনা করুন। আমার লেখাটা আরেকবার মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সকাল সন্ধায় ইয়া হাদি, ইয়া রাহিম, ইয়া রহমান চোখ বন্ধ করে পড়ুন।

যদি একমত না হতে পারেন, ভুলে যান বিষয়টা। আমি আন্তরিকভাবে আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থি! আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য। দয়া করে তবুও লেখাটা নিয়ে বিতর্ক করবেন না। আপনার সর্বাজ্ঞীন কল্যাণ আর মঙ্গল কামনা করছি দুই জগতের জন্য। ভাল থাকুন।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ১৭৬৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৮/০৫/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অমর কাব্য ২৭/০৫/২০১৪
    onk gucano likoni
  • এস,বি, (পিটুল) ০৮/০৫/২০১৪
    ধস্যবাদ
  • http://www.tarunyo.com/kobi/blog/sotter-shondhane/
  • ধন্যবাদ।
  • কবি মোঃ ইকবাল ০৮/০৫/২০১৪
    খুব ভালো লাগলো দাদা।
    • ধন্যবাদ! নিশ্চয়ই মনোযোগ দিয়েই পড়েছেন? ভাল থাকুন
 
Quantcast