www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গোপলার কথা - ৬৯

বিতর্ক - ফেসবুকের লাইক কমেন্ট সাহিত্যের গুণমান নির্ধারণ করে না
বিপক্ষে
--------
কোন লেখা কিংবা ভাবনা অথবা ছবি আমরা কেন ফেসবুকে পোস্ট করি? লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্য।
তাহলে লাইক কমেন্ট লেখার গুণমান নির্ধারণ করবে না কিভাবে? ছবির মর্যাদা বাড়াবে না কিভাবে?
যে লাইক কমেন্টের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকি, লেখাটি পোস্ট করে একটু পরে পরে ফেসবুক খুলছি আর বন্ধ করছি শুধু লাইক কমেন্ট দেখার জন্য, ধন্যবাদ জানানোর জন্য সেখানে লেখার গুণমান কিভাবে নির্ধারিত নয়?
যে লেখে সেইই জানে তার লেখা কেমন। পোস্ট করার সাথে সাথে তার লেখায় লাইক কমেন্টের উপর সে আন্দাজ করতে পারে লেখাটি কেমন। নেট খরচ করে না পড়ে লেখায় কমেন্ট বা লাইক দেয় দু চার শতাংশ। তাও মুখ চেনা কিংবা পরিচিতির জন্য। বাদ বাকী অনেকেই না পড়ে লাইক দিলেও কমেন্ট করে না।
তাছাড়া কমেন্টের মধ্যে কিছু কমেন্ট অসাধারণ দারুণ খুব ভালো ইত্যাদির বাইরেও কিছু বিরূপ কমেন্ট থাকে। যা দেখে লেখক ঠিক বুঝে নেয় তার কী করা উচিত। বেশির ভাগ লেখক নিজেদের ইয়ে ভাবে। তারা যা লেখে তাই ঠিক এবং সেরা। সেসব হাতে অবশ্য গোনা। যারা সবে শিখছে লিখছে আর ভালো লিখতে চায় তাদের জন্য এই ফেসবুকের লাইক কমেন্ট আশীর্বাদের মত। চেনা নেই জানা নেই শুধু লেখা পড়ে নেট খরচ করে যে একটা লাইক দিল একটা ছোট্ট কমেন্ট 'দারুণ' লিখল সে আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।
আর একটু বিরূপ কমেন্ট করলে আরও বেশি আনন্দ হয় যে তিনি লেখাটি পুরো পড়েছেন তাই আমাকে লেখক হিসেবে গ্রাহ্য করেন না। বা আমার লেখাটি সাহিত্য নয়। কিংবা লেখাটিতে কোন লাইক কমেন্ট নেই তার মানে আমি আমার লেখাটি সাহিত্যের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি নি। তাহলে গুণমানের হিসেবে লাইক কমেন্ট একশত ভাগ এগিয়ে।
আর যারা সুখ্যাত বিখ্যাত লেখক সাহিত্যের ধারণ বাহক মনে করেন তারা লাইক কমেন্টের আশা যেমন করেন না, তেমনি তাদের বই বিক্রি নিয়েও তারা ভাবেন না। তারা লিখতেই থাকেন। আর ফেসবুকে পোস্ট করেন অথবা করেন না।



বিতর্ক - ফেসবুকের সাহিত্য গ্রুপ গুলি বাংলা সাহিত্যের ক্ষতি করছে

পক্ষে
____
হ্যাঁ ক্ষতি করছে। প্রচুর লেখক। প্রচুর লেখা। ফেসবুকের সাহিত্য গ্রুপ কি করছে? লেখা জমা পড়ছে আর সবাই দারুণ অসাধারণ অনবদ্য খুব সুন্দর বলছে। যেই দু একজন উল্টো সুর ধরছে অমনি তাকে চেপে ধরছে - আপনি সাহিত্যের কিছু বোঝেন না।
আবার সাহিত্য গ্রুপ কিন্তু সেখানে যেসব লেখা জমা পড়ছে তার থেকে বাছাই করে একটাও লেখা সেই গ্রুপের ছাপা পত্রিকার জন্য নেওয়া হয় না।
কি করা হয়? লেখা চাওয়া হয়। আবার এও বলে দেওয়া হয় লেখা যেন অপ্রকাশিত হয়। ভাবুন। তাহলে এই সাহিত্য গ্রুপে যে এতদিন লেখা দিলাম তা কি পণ্ডশ্রম। হ্যাঁ পণ্ডশ্রম। একথা আমি বলছি না। বলছে ওই সাহিত্য গ্রুপ। তবে ঘুরিয়ে।
তবে দু একটা গ্রুপ জানি যেখানে পত্রিকার জন্য লেখা সেই গ্রুপ থেকে নেওয়া হয়। তার মানে গ্রুপে আপনি যে লেখা লিখছেন তা আরও উন্নত হলে অবশ্যই ছাপার যোগ্য। কিন্তু গ্রুপ থেকে যদি লেখা না নেওয়া হয় বা অপ্রকাশিত লেখা চাওয়া হয় তার মানে সাহিত্য গ্রুপের সব লেখাই খসড়া। ছাপার অযোগ্য। কিংবা অগ্রবর্তী সাহিত্য নয়। কেন না চিরকালীন লেখা বার বার পড়া যায়।
ফেসবুক বাদ দিয়ে যে সব সাহিত্য চর্চা তাতে লেখকের নিজস্ব নিমগ্নতা বার বার ধরা পড়েছে। লেখকের মনন কখনই অন্যের মন্তব্যের মুখাপেক্ষী নয়।
একবার আমার ক্ষুদ্র এক সামান্য লেখা ছাপার জন্য নির্বাচিত কিন্তু প্রকাশিত তাই বাদ। সেই গ্রুপ এবং তার অজস্র লেখা পুরোটাই অনলাইন। তবে ফেসবুক সাহিত্য গ্রুপে থাকলে লিখলে আপনাকে চিনবে জানবে অনুষ্ঠানে গেলে আপনার লেখাটিতে ভাল ভাল মন্তব্য পড়বে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাঠ হবে। কিংবা এই পরিচিতির জন্য আপনি নিজের যদি বই করেন তা একটু বেশি বিক্রি হবে। সবাই তো আর না বলতে পারবে না। না হলে সাহিত্যের প্রসার কি করে হবে?
তবে ভাল মন্দে একটা দিক লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু ভাল লেখা পড়তে পাচ্ছি। ভাল ভাবনা ভাল দিশা। তবে তা সাহিত্য গ্রুপ হলেও সাহিত্য কি না বলা মুশকিল। কিন্তু সাহিত্য চর্চা বাড়ছে বলে মনে হলেও কোথাও যেন থমকে আছে। মনে রাখার মত লেখা নেই লেখক আছে। অন্য বাজে কিছু না করে লেখক হয়েছে এটাও একটা দিক।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৫০৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২১/০৩/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast