www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আমার সকাল

সকালে উঠে হাল্কা শীতে মর্নিং ওয়াক করতে ভালই লাগে । বালাপোশ ছাড়তে একটু কষ্ট হলেও একবার উঠে পড়লে আর কোন অসুবিধা হয় না । আজকে তাই ট্রাক স্যুট পরেই বেরিয়ে পড়লাম । গতকাল রবিবার গেছে একটু ঢিলেমির জন্য বেরনো হয় নি ।
কিছুটা গিয়েই চ্যাটার্জী বাবুর সঙ্গে দেখা । উনি জল নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন । প্রতিদিন কর্পোরেশনের জল সাড়ে পাঁচটায় চলে আসে । প্রায় ছ’টা বাজতে গেল ...
-গুড মর্নিং , কেমন আছেন ?
-মর্নিং । আর কেমন ! দেখুন না , জল আসে নি । রান্না না হলে ...। আমাকে আবার তাড়াতাড়ি বেরুতে হবে ।
-আর বলবেন না । এই আমাদের দেশের হাল ......। বলতে বলতে এগিয়ে যাই । দাঁড়ানোর আর সময় কোথায় ।
পেছনে উনি যেন আরো কি গজ গজ করছিলেন । আমার আর শোনা হয় নি । আরো যে দু-তিন জন দাদা আমাদের সঙ্গী তাদের সঙ্গে জোরে হাঁটতে শুরু করলাম । এটা হাঁটার মাঠ নয় , মানুষ আর প্রাইভেট কার চলার রাস্তা ।
এখন এত সুগারের প্রাদুর্ভাব যে অনেকেই মর্নিং ওয়াক মাস্ট ।
-কত দিন ধরে ।
-তা প্রায় বছর পনের ষোল হল ।
-কিন্তু আপনার চেহারা দেখে তা মনে হচ্ছে না । খুব মেনে টেনে চলে বুঝি ।
-না রে ভাই । আসলে সুগার কোন রোগ না । যে সব খাওয়া দাওয়া বারণ সে গুলো তো চল্লিশ পেরলেই বারণ । বাচ্চা বুড়ো সবারই বারণ এমন খাবার খাওয়া উচিত নয় ; যার সুগার নেই সে ওগুলো খেলেও ভাবনার কিছু নেই , কিন্তু যার আছে তাকে অবশ্যই ভেবে আর মেপে খেতে হবে । এটুকুই যা তফাৎ ।
কথা বলতে বলতে প্রায় চার পাঁচ পাক হয়ে গেল । যে দাস বাবুর সঙ্গে এতক্ষণ কথা বললাম তিনি তাঁর বাড়ির কাছাকাছি এসে পড়তেই বললেন – আর না , এবার যাই ভাই ।
আমিও হাঁটি হাঁটি ঘরে ফিরে আসি । জল তুলতে হবে , দুধ আনতে হবে , তারপর বাজার । দাস বাবু বয়স তা প্রায় সত্তর পঁচাত্তর হবে । আমাকেও আরও সচেতন হতে হবে । যতই বাজার ভর্তি লোভ থাক আমার বাঁচার , সুস্থ থাকার , সমাজ সুস্থ রাখার সব চাবি কাঠি আমারই হাতে । যে করেই হোক তাকে হাতের বাইরে বেরোতে দেবোই না ।
ঘরে ঢুকেই বাইরের এক ঝলক ঠাণ্ডা বাতাসও ঘরে ঢুকিয়ে নিলাম ।
-০-০-০-
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬৪৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/১১/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

 
Quantcast