অভিশপ্ত প্রজ্ঞানাশ্রয় নৈঃশব্দ্য
আমি পথচ্যুত এক অনস্তিত্ব-নির্ভর নৈঃশব্দ্যের বিভাজক,
প্রেম যেখানে পরিণত হয়েছে স্বনিগূঢ় ধ্বংসমূলক নৈর্ব্যক্তিক প্রবঞ্চক।
বিরহের ক্রান্তি থেকে উত্থিত আমার ছায়া,
যেখানে প্রত্যাশা কেবল পরাবাস্তব নির্জীবতায় অন্ধ অনুপম দায়া।
তোমার অনুপস্থিতি—নির্ণিমেষ প্রতিসংহারের প্রতীকমূল,
তার মধ্যেই লুকায় গর্ভগত লিপিহীন ব্যথার অনুকূল।
প্রতিটি হৃদস্পন্দন একেকটি বিকলাঙ্গ বহুস্মৃতি-অণু,
জন্ম দেয় আত্মমোচনজাত প্রলয়স্পর্শী শব্দহীন কণু।
আমাদের ভবিষ্যৎ এক প্রজ্ঞাহীন অপারগ সময়ধ্বংস,
যেখানে আত্মপরিচয় নিজেই নিজের প্রতিরোধে এক আত্মঘাতী সংশ্লেষ।
তোমার অস্তিত্ব অনুরণন নয়—
তা এক অজর, অবিচল, অথচ আত্মাপারিত অনিচ্ছাস্নানীয় অহৈতুক অনুশোচনার ছায়াগন্ধ।
ঢের বেশি ভয়ঙ্কর—এই বহুস্বরবর্জিত নিস্তারশূন্য রসায়ন,
যেখানে ভাষা অবচেতন অনুধ্যানভিত্তিক এক বিকারতাত্ত্বিক প্রমাণ।
গাছেরা অন্তত জেগে থাকে মৌন দর্শনে,
আমরা নিঃস্বরতায় পর্যবসিত আত্মহননপ্রবণ ব্যাকরণহীন সৃষ্টিচ্যুতি।
হৃদয়ের অন্তর্গত কুঠুরিতে শোক জমে থাকে প্রতিসংবেদে,
যেখানে কান্না নয়, বরং অনুক্তির অগ্নিস্নানে আমি ভস্মীভূত হই প্রতিক্ষণে।
প্রেম নয়—প্রেমের অনুপস্থিতির আর্কিটেকচার বয়ে চলে,
আর আমি তাতে রচনা করি নিঃসঙ্গ বোধ-প্রত্নতাত্ত্বিক সমাধিসংবলিত ছলনাকাব্য।
শব্দেরা আজ অনার্ত, অলুপ্ত, এবং প্রতিক্রিয়াহীন,
তারা নিজস্ব ধ্বনিবৃত্তে আবর্তিত অপার্থিব সংলাপহীন।
ভবঘুরে স্মৃতিসমূহ ছিন্নমূল, প্রতীতিহীন ব্যঞ্জনার স্তূপ,
আমি এক দিগভ্রান্ত ব্যাখ্যাতীত গূঢ়তাময় চেতনাশব।
তুমি নেই—এ সত্য আজকাল পরিণত হয়েছে এক বহুমাত্রিক অনিবার্যতা,
যার দহনশক্তি ছুঁয়ে ফেলে আত্মার অবিনাশী মৌলসূত্র।
আমার ভিতরে আর কিছু নেই—
আছে কেবল প্রজ্ঞানাশ্রয় নৈঃশব্দ্য, আর
একটি প্রেম-পরিত্যক্ত ঈশ্বরশূন্য অনস্তিত্বচিহ্ন।।
প্রেম যেখানে পরিণত হয়েছে স্বনিগূঢ় ধ্বংসমূলক নৈর্ব্যক্তিক প্রবঞ্চক।
বিরহের ক্রান্তি থেকে উত্থিত আমার ছায়া,
যেখানে প্রত্যাশা কেবল পরাবাস্তব নির্জীবতায় অন্ধ অনুপম দায়া।
তোমার অনুপস্থিতি—নির্ণিমেষ প্রতিসংহারের প্রতীকমূল,
তার মধ্যেই লুকায় গর্ভগত লিপিহীন ব্যথার অনুকূল।
প্রতিটি হৃদস্পন্দন একেকটি বিকলাঙ্গ বহুস্মৃতি-অণু,
জন্ম দেয় আত্মমোচনজাত প্রলয়স্পর্শী শব্দহীন কণু।
আমাদের ভবিষ্যৎ এক প্রজ্ঞাহীন অপারগ সময়ধ্বংস,
যেখানে আত্মপরিচয় নিজেই নিজের প্রতিরোধে এক আত্মঘাতী সংশ্লেষ।
তোমার অস্তিত্ব অনুরণন নয়—
তা এক অজর, অবিচল, অথচ আত্মাপারিত অনিচ্ছাস্নানীয় অহৈতুক অনুশোচনার ছায়াগন্ধ।
ঢের বেশি ভয়ঙ্কর—এই বহুস্বরবর্জিত নিস্তারশূন্য রসায়ন,
যেখানে ভাষা অবচেতন অনুধ্যানভিত্তিক এক বিকারতাত্ত্বিক প্রমাণ।
গাছেরা অন্তত জেগে থাকে মৌন দর্শনে,
আমরা নিঃস্বরতায় পর্যবসিত আত্মহননপ্রবণ ব্যাকরণহীন সৃষ্টিচ্যুতি।
হৃদয়ের অন্তর্গত কুঠুরিতে শোক জমে থাকে প্রতিসংবেদে,
যেখানে কান্না নয়, বরং অনুক্তির অগ্নিস্নানে আমি ভস্মীভূত হই প্রতিক্ষণে।
প্রেম নয়—প্রেমের অনুপস্থিতির আর্কিটেকচার বয়ে চলে,
আর আমি তাতে রচনা করি নিঃসঙ্গ বোধ-প্রত্নতাত্ত্বিক সমাধিসংবলিত ছলনাকাব্য।
শব্দেরা আজ অনার্ত, অলুপ্ত, এবং প্রতিক্রিয়াহীন,
তারা নিজস্ব ধ্বনিবৃত্তে আবর্তিত অপার্থিব সংলাপহীন।
ভবঘুরে স্মৃতিসমূহ ছিন্নমূল, প্রতীতিহীন ব্যঞ্জনার স্তূপ,
আমি এক দিগভ্রান্ত ব্যাখ্যাতীত গূঢ়তাময় চেতনাশব।
তুমি নেই—এ সত্য আজকাল পরিণত হয়েছে এক বহুমাত্রিক অনিবার্যতা,
যার দহনশক্তি ছুঁয়ে ফেলে আত্মার অবিনাশী মৌলসূত্র।
আমার ভিতরে আর কিছু নেই—
আছে কেবল প্রজ্ঞানাশ্রয় নৈঃশব্দ্য, আর
একটি প্রেম-পরিত্যক্ত ঈশ্বরশূন্য অনস্তিত্বচিহ্ন।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৩/০৭/২০২৫বেশ দুর্লভ কাব্যিক কবি দা
-
ফয়জুল মহী ০২/০৭/২০২৫চমৎকার উপলব্ধি। গভীর অনুভূতির আবেগিক প্রকাশ।