গভীর রাতের মেঘ
গভীর রাতের মেঘ
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
গভীর রাতের মেঘ
হেমন্তের কালো আকাশ,
বিজলীর ছটা ধরা জানালার-
প্রান্তেই যেন তাঁর আঘাতের ছোঁয়া।
ঘুম নেই চোখে-
গুরগুরে ডাকছে দেয়া-
টিনের চালাতে পড়ছে ঝরঝরে-
এক মিষ্টি মধুর সুর তান।
উঠে বসি তবে-
খাটের এক কিনারায়,
মন যেন কিছু কি বলতে চায়,
অনেক সুন্দর করে বলবে-
কি সে ভাবনায় নাহি খুঁজে পাই।
তবুও কি যেন সে মনে করছে-
এইতো এসেই গেছে মগজের স্মৃতিপটে,
ওরাই করছে তাড়া-
আর একটুও নেই নড়চড়।
কলমের খোঁজে টেবিলেই যেন-
কেটে যাচ্ছে সময়,
অনেক টুকরো কাগজের মাঝে।
মন সইছেনা আর-
তবে বিরবির করে নিজেকেই যেন,
এক বেখেয়ালি কর্মহীন অলস,
ধিক্কারে সময়ের মূল্যহীন এক,
অভাগার বকুনিতে-
আধভাঙ্গা হাতলের চশমাটা,
চোখে তুলি,
আর পেয়ে যাই কলম খানি।
ঝোড়ো বাতাসের ঝাপটাতে তখনো,
একটুও দমেনি ঐ মেঘের ধেয়ে আসা-
সেই উলঙ নিশুতির খেল।
কর্ণকুহরে মোর হৃদয়ে সুন্দরের জব নিকা-
তাঁর উচ্ছ্বাসের তরঙ্গ খেয়ালেই যেন-
সবই শুনতে পায়।
সেথা তিল ধরা নেই বিরতির কোনো চিহ্ন।
পাশেই যাই পেয়ে লিখনের-
এক টুকরো কাগজ।
ঘড়ির কাঁটাতে উঠে ঘন্টার ধ্বনি-
এক দুই তিন- ঢং ঢং ঢং
তাতেই বা কি।
জীবনের এই মুহূর্ত কালের-
এক চির রঞ্জিত লিখনের ইতিহাস,
কখনো যাবে কি মুছে?
পাতার বদলে পাতা-
তবু সেতো রবে গাঁথা,
অন্তর অন্তরে নাহি পাবে ক্ষয়।
এক দুই যাবে চলে-
তিন কালে দলবলে,
নবীনের হাতে নব হবে পরিচয়।
ঐ যতনে রতন ধরা-
পুরনো সেই রাত ঝরা,
সময়ের তিল তিলে-
চির শায়িত জীবন।
সেতো নতুন উঠিলে ফিরে-
শত সাজ নব দোরে,
হাজার ফুলেল ওরাই-
করিবে বরণ।
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
গভীর রাতের মেঘ
হেমন্তের কালো আকাশ,
বিজলীর ছটা ধরা জানালার-
প্রান্তেই যেন তাঁর আঘাতের ছোঁয়া।
ঘুম নেই চোখে-
গুরগুরে ডাকছে দেয়া-
টিনের চালাতে পড়ছে ঝরঝরে-
এক মিষ্টি মধুর সুর তান।
উঠে বসি তবে-
খাটের এক কিনারায়,
মন যেন কিছু কি বলতে চায়,
অনেক সুন্দর করে বলবে-
কি সে ভাবনায় নাহি খুঁজে পাই।
তবুও কি যেন সে মনে করছে-
এইতো এসেই গেছে মগজের স্মৃতিপটে,
ওরাই করছে তাড়া-
আর একটুও নেই নড়চড়।
কলমের খোঁজে টেবিলেই যেন-
কেটে যাচ্ছে সময়,
অনেক টুকরো কাগজের মাঝে।
মন সইছেনা আর-
তবে বিরবির করে নিজেকেই যেন,
এক বেখেয়ালি কর্মহীন অলস,
ধিক্কারে সময়ের মূল্যহীন এক,
অভাগার বকুনিতে-
আধভাঙ্গা হাতলের চশমাটা,
চোখে তুলি,
আর পেয়ে যাই কলম খানি।
ঝোড়ো বাতাসের ঝাপটাতে তখনো,
একটুও দমেনি ঐ মেঘের ধেয়ে আসা-
সেই উলঙ নিশুতির খেল।
কর্ণকুহরে মোর হৃদয়ে সুন্দরের জব নিকা-
তাঁর উচ্ছ্বাসের তরঙ্গ খেয়ালেই যেন-
সবই শুনতে পায়।
সেথা তিল ধরা নেই বিরতির কোনো চিহ্ন।
পাশেই যাই পেয়ে লিখনের-
এক টুকরো কাগজ।
ঘড়ির কাঁটাতে উঠে ঘন্টার ধ্বনি-
এক দুই তিন- ঢং ঢং ঢং
তাতেই বা কি।
জীবনের এই মুহূর্ত কালের-
এক চির রঞ্জিত লিখনের ইতিহাস,
কখনো যাবে কি মুছে?
পাতার বদলে পাতা-
তবু সেতো রবে গাঁথা,
অন্তর অন্তরে নাহি পাবে ক্ষয়।
এক দুই যাবে চলে-
তিন কালে দলবলে,
নবীনের হাতে নব হবে পরিচয়।
ঐ যতনে রতন ধরা-
পুরনো সেই রাত ঝরা,
সময়ের তিল তিলে-
চির শায়িত জীবন।
সেতো নতুন উঠিলে ফিরে-
শত সাজ নব দোরে,
হাজার ফুলেল ওরাই-
করিবে বরণ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২১/১০/২০২১অসাধারণ লেখনী
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২১/১০/২০২১ভাল।
-
অভিজিৎ হালদার ২১/১০/২০২১সুন্দর ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কবিতার মাধ্যমে।
-
আনাস খান ২১/১০/২০২১অসাধারণ লিখেছেন