আজ আমি বড়ই একা
আজ আমি বড়ই একা
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
সবাই ঘুমিয়ে গেছে
রাতের প্রহর,
এক দুই গেলো কেটে-
নীরব গভীরে উঠে,
হৃদয় পাখির স্মৃতিতে মন-
বুকে তুলে ঝড়।
মনে তো সহেনা কিছু-
নেই কথা তবুও কিছু,
অনেক বলিতে কথা-
যাই কাছে নীরবতা-
তবু কথা বলি মন,
চাহে বারবার।
গল্প নহেতো সে নহে রুপকথা-
কল্প কাহিনী নহে-
নহে গদ গাঁথা।
যেন চেয়ে আছি তাঁরে-
দুটি চোখে ফিরে-
নেই শয়ন পাশেতে আমি,
তবু বাড়িয়ে হাতের ছানি-
খুঁজে মোরে সেতো নির্জীব এক-
মোর শান্ত রাতের পাখি।
রাতের আধারে যার-
একে অপরের ওরা-
ধমনীর দম।
ওদের পৃথিবীর আলো-
সবই নিশি কালো,
দেখে সবই দুজনার-
চোখে চোখে চেয়ে।
যত যায় দূরে ওরা-
এক পাখায় উড়ে,
এক পাখা বাঁধুনিতে-
হাতের বাঁধন।
আর চোখ নাহি ফিরে-
তবে যাই ধীরে ধীরে,
বসে কাছে রাখি হাত,
তপ্ত কপালে।
এক শায়িত হৃদয় কলি-
যেন যুগ পারে এসে অলি,
গুন গুন ডেকে তাঁর-
দুটি চোখ মেলে।
সেতো হিমানীর কাঁপুনিতে-
ঠোঁট দুটি কেঁপে কেঁপে,
অঙ্গুলি নেড়ে যেন-
মোরে চাহে ধরিতে।
নেই বল দেখি তাঁরে-
অশ্রু গড়িয়ে পরে,
থেমে থেমে অল্প সেই কণ্ঠ ধ্বনি।
বলে-
ছিলে একা একা-
কেন দাও নিজে দেখা,
এই কি সেই জোড়া পাখির-
দিলে প্রতিদান?
ঐ পাল উড়া তরী-
আমায় লইয়ে ধরে পাড়ি,
অকূল ঢেউয়ের সাগর-
নেই মাঝি তাঁর।
তুমি দাঁড়িয়ে রয়েছো পাড়ে-
একটু দেখোনি ঘুরে,
আমি অনেক ডেকেছি তোমায়-
তুমি আছো মুখ ফিরে।
হয়তো আমারই সেই-
নেই বেলা শেষ পাড়ে-
অন্তিমে আমিই উড়েছি একা আগে।
এইটুকু শুধু ভুলে কষ্টের দোর খুলে-
কেন পাখি আছো রাত জেগে?
আমি ধরি তাঁর হাতে-
সেতো বলেনা কিছু,
ডাকি তবে কিগো-
এতো শীতল কেনো তোমার হাত।
নেই শব্দ নেই স্পর্শের কোনো অনুভূতি-
অনেক শান্ত নিথর।
ঐ স্বপনের তরী উড়া পাল-
সেতো একটুও থেমে নেই,
শুধু তাঁর মুহূর্ত ক্ষণের অবিচ্ছেদ জীবনের-
এই কিছু মুহূর্ত একাকী সময়ের,
সেই বাঁধনহারা হৃদয়-
কষ্টের কথাগুলো,
যেন এক পবিত্র আত্মার-
অতি করুণ মিনতিরই-
সেই প্রতিফলন,
আমি যেন তাঁর মনের-
একাগ্রতা জানতে পারি।
আজ নেই আর পাখার বাঁধন,
জোড়া পাখির গেলো উড়ে-
ফেলে একজন।
জনমের বাকি আর হবে কি দেখা?
আজ আমি বড়ই একা।
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
সবাই ঘুমিয়ে গেছে
রাতের প্রহর,
এক দুই গেলো কেটে-
নীরব গভীরে উঠে,
হৃদয় পাখির স্মৃতিতে মন-
বুকে তুলে ঝড়।
মনে তো সহেনা কিছু-
নেই কথা তবুও কিছু,
অনেক বলিতে কথা-
যাই কাছে নীরবতা-
তবু কথা বলি মন,
চাহে বারবার।
গল্প নহেতো সে নহে রুপকথা-
কল্প কাহিনী নহে-
নহে গদ গাঁথা।
যেন চেয়ে আছি তাঁরে-
দুটি চোখে ফিরে-
নেই শয়ন পাশেতে আমি,
তবু বাড়িয়ে হাতের ছানি-
খুঁজে মোরে সেতো নির্জীব এক-
মোর শান্ত রাতের পাখি।
রাতের আধারে যার-
একে অপরের ওরা-
ধমনীর দম।
ওদের পৃথিবীর আলো-
সবই নিশি কালো,
দেখে সবই দুজনার-
চোখে চোখে চেয়ে।
যত যায় দূরে ওরা-
এক পাখায় উড়ে,
এক পাখা বাঁধুনিতে-
হাতের বাঁধন।
আর চোখ নাহি ফিরে-
তবে যাই ধীরে ধীরে,
বসে কাছে রাখি হাত,
তপ্ত কপালে।
এক শায়িত হৃদয় কলি-
যেন যুগ পারে এসে অলি,
গুন গুন ডেকে তাঁর-
দুটি চোখ মেলে।
সেতো হিমানীর কাঁপুনিতে-
ঠোঁট দুটি কেঁপে কেঁপে,
অঙ্গুলি নেড়ে যেন-
মোরে চাহে ধরিতে।
নেই বল দেখি তাঁরে-
অশ্রু গড়িয়ে পরে,
থেমে থেমে অল্প সেই কণ্ঠ ধ্বনি।
বলে-
ছিলে একা একা-
কেন দাও নিজে দেখা,
এই কি সেই জোড়া পাখির-
দিলে প্রতিদান?
ঐ পাল উড়া তরী-
আমায় লইয়ে ধরে পাড়ি,
অকূল ঢেউয়ের সাগর-
নেই মাঝি তাঁর।
তুমি দাঁড়িয়ে রয়েছো পাড়ে-
একটু দেখোনি ঘুরে,
আমি অনেক ডেকেছি তোমায়-
তুমি আছো মুখ ফিরে।
হয়তো আমারই সেই-
নেই বেলা শেষ পাড়ে-
অন্তিমে আমিই উড়েছি একা আগে।
এইটুকু শুধু ভুলে কষ্টের দোর খুলে-
কেন পাখি আছো রাত জেগে?
আমি ধরি তাঁর হাতে-
সেতো বলেনা কিছু,
ডাকি তবে কিগো-
এতো শীতল কেনো তোমার হাত।
নেই শব্দ নেই স্পর্শের কোনো অনুভূতি-
অনেক শান্ত নিথর।
ঐ স্বপনের তরী উড়া পাল-
সেতো একটুও থেমে নেই,
শুধু তাঁর মুহূর্ত ক্ষণের অবিচ্ছেদ জীবনের-
এই কিছু মুহূর্ত একাকী সময়ের,
সেই বাঁধনহারা হৃদয়-
কষ্টের কথাগুলো,
যেন এক পবিত্র আত্মার-
অতি করুণ মিনতিরই-
সেই প্রতিফলন,
আমি যেন তাঁর মনের-
একাগ্রতা জানতে পারি।
আজ নেই আর পাখার বাঁধন,
জোড়া পাখির গেলো উড়ে-
ফেলে একজন।
জনমের বাকি আর হবে কি দেখা?
আজ আমি বড়ই একা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নিলাদ্র নাজিম ১৮/১০/২০২১খুভ ভালো লাগল প্রিয় কবি
-
ফয়জুল মহী ০৯/১০/২০২১অসাধারণ। খুব ভালো লাগলো
-
অভিজিৎ হালদার ০৯/১০/২০২১ভালো অনুভব