শকুন রাজার সত্তা

শকুন রাজার সত্তা
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
শকুন তলার শকুনগুলো
কাব্যালয়েই রয়ে গেলো।
গিয়েছিনু দেখতে হেথা,
স্মৃতির হিমেল আবেগে।

দেখিনু হেথা গাঙচিলের হাট,
বৃক্ষে দোলে লালচে বানর।
নেই সে শিমুল কদম আর-
এক তারা বাউলের আসরের ঘাট।

জিজ্ঞাসিনু হে চিলপতি-
রদবদলের এ কোন রীতি,
তোমার জাতে ও আছে কি হটাও,
যাহা আছে মোর স্ব নিজ জাতির?

বুঝিতে নারি কিছুই যে তাঁর,
সুধাও তড়িৎ সহেনা না আর।
হারানো ঐ স্মৃতির ব্যথা-
হারিয়েছি যে নিজেও তাহা।

ধুক ধুকে বইছে যে মোর,
কান্না উদাস হৃদয়ে।
শুনিয়া ঐ ত্রাস কাকুতি-
ধিক্কার দিয়ে চিলপতি,
চিৎ করিয়া উঠলো বলে।

বলেতো হে সেরা জাতি,
কোন সে জন হয় আত্মঘাতী।
আমার জাতের গোশত কভু-
খেয়েছে কি আমার জাতি?

তোমার জাতের ভ্রান্ত চলন-
শকুন স্বত্ব করলো দূষণ,
তাইতো শকুন রাজা বলে,
ডাক দিয়ে সব প্রজাকূলে-
মোদের ক্ষুধা মিটায় যাহা,
নাই দাবি আর শুদ্ধ তাহা।

আজ ন্যায়হীনা ঘিণ দাবীর অন্ন,
বলহীন মেরে সবল ধন্য।

নীতির অন্ন করে তন্ন-
কভু মোদের হয় যদি ভুল।
তাহলে মোরা চিরতরে-
হারাবো মোদের জাত মান কূল।

তাইতো ক্ষুণ্ণ শকুন রাজা,
পাড়ি জমালো নিয়ে প্রজা।
বিদায় ক্ষণে আমারই সনে,
রাখেনু দাবি ঐ দুঃখ বদনে।

ওহে ভাই চিলপতি,
সচল ভক্ষণ তোমারই রীতি।

মোদের তলা সপিনু তোমায়,
দানিবে আঁখি যে হটালো আমায়।
তাইতো আমি আকাশ ছুঁয়ে,
বাঁধিনু ঘর সেই দিশারি হয়ে।

শোক রইবে যে মোর চিরবিদায় কালে,
ভাইয়ের দাবি শোধ না হলে।

হটাও জনে গুড়ুম মেরে,
আমায় যদি বধ করে।