হীরক ধরা ঘিন
হীরক ধরা ঘিন
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
সত্য নদীর ভাসলো তরী
স্বর্ন বোঝা লইয়ে-
নেই কোন তাঁর মাঝি মাল্লা-
উড়ছে বাদাম ছইয়ে।
নেই জনকূল আজব দেশে-
নেই সুরুজের আলো।
সেথা সত্যই শুধু চলার গতি-
পথ চিনে লয় ভালো।
ইয়াকুৎ মারুয়ারিদ মর্মর-
সেতো স্বর্গ মণির জলে,
আজই ত্রি মোহনায় ভাসলে তরী-
তাঁরে হীরক ডেকে বলে।
কিহে স্বর্ন এলে কি তুমি-
আমারই খবর নিতে?
এই কাটলো আমার হাজার বছর-
ভাগ্য ধিকে নেই সুখকর,
লাজ বাঁধনে নিন্দা চলন-
আর পারিনি যেতে।
ঐ স্বর্গ মণির জলগুলো সব-
আসল নকল চিনে,
আমার ছোঁয়া নরক নরের-
হাত বলে সেই ঘিনে।
আমায় পুঁতলো আধা মাটির তলায়-
রাখলো আধা পরে,
আমি-
ছিলাম বলে দুষ্ট রাজা-
কারন কোষাগারে।
এবার স্বর্ন বোঝা বড়ই লাজুক-
ভাবলো নিজের একই সেই দুঃখ,
এই সত্য মিথ্যা জনম ঘরে-
নেই মুখে তাঁর স্বর।
তবে সত্য নদীর জল ব্যাকুলে-
আর নাহি চল গতির পালে,
গর্জনে তাঁর তরীর তলায়-
উঠলো আজব ঝড়।
সেতো বলছে ওহে হীরার খনি-
তুমিও স্বর্ন বড়ই ধনী,
নেই কোনো সৎ-
ও অসৎ সেবায়-
আছো- সুরুজ উদয় দেশে।
শক্তি আমার এই ধরাতে-
থাকতো যদি তেমনি হাতে,
আমি- সব দেমাগের চূর্ণ নিপাত-
এই জমিন সাগর ঘিরে।
আমার পালের উড়ায় ধরে-
ধূলোর ধূলি তন্য করে-
লইতো ভরে- আমার তরীর উদর,
সেতো- ফেলতো চির নাশে।
এই বলে সেই সত্য নদী-
তরীর বোঝা খানি,
ফেললো হোচট-
বাতাস বেগে-
সেই হীরক ধরা ঘিনে।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
সত্য নদীর ভাসলো তরী
স্বর্ন বোঝা লইয়ে-
নেই কোন তাঁর মাঝি মাল্লা-
উড়ছে বাদাম ছইয়ে।
নেই জনকূল আজব দেশে-
নেই সুরুজের আলো।
সেথা সত্যই শুধু চলার গতি-
পথ চিনে লয় ভালো।
ইয়াকুৎ মারুয়ারিদ মর্মর-
সেতো স্বর্গ মণির জলে,
আজই ত্রি মোহনায় ভাসলে তরী-
তাঁরে হীরক ডেকে বলে।
কিহে স্বর্ন এলে কি তুমি-
আমারই খবর নিতে?
এই কাটলো আমার হাজার বছর-
ভাগ্য ধিকে নেই সুখকর,
লাজ বাঁধনে নিন্দা চলন-
আর পারিনি যেতে।
ঐ স্বর্গ মণির জলগুলো সব-
আসল নকল চিনে,
আমার ছোঁয়া নরক নরের-
হাত বলে সেই ঘিনে।
আমায় পুঁতলো আধা মাটির তলায়-
রাখলো আধা পরে,
আমি-
ছিলাম বলে দুষ্ট রাজা-
কারন কোষাগারে।
এবার স্বর্ন বোঝা বড়ই লাজুক-
ভাবলো নিজের একই সেই দুঃখ,
এই সত্য মিথ্যা জনম ঘরে-
নেই মুখে তাঁর স্বর।
তবে সত্য নদীর জল ব্যাকুলে-
আর নাহি চল গতির পালে,
গর্জনে তাঁর তরীর তলায়-
উঠলো আজব ঝড়।
সেতো বলছে ওহে হীরার খনি-
তুমিও স্বর্ন বড়ই ধনী,
নেই কোনো সৎ-
ও অসৎ সেবায়-
আছো- সুরুজ উদয় দেশে।
শক্তি আমার এই ধরাতে-
থাকতো যদি তেমনি হাতে,
আমি- সব দেমাগের চূর্ণ নিপাত-
এই জমিন সাগর ঘিরে।
আমার পালের উড়ায় ধরে-
ধূলোর ধূলি তন্য করে-
লইতো ভরে- আমার তরীর উদর,
সেতো- ফেলতো চির নাশে।
এই বলে সেই সত্য নদী-
তরীর বোঝা খানি,
ফেললো হোচট-
বাতাস বেগে-
সেই হীরক ধরা ঘিনে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ১৩/০৮/২০২১ভালো হয়েছে
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/০৮/২০২১ভালো।
-
ফয়জুল মহী ১২/০৮/২০২১চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ প্রিয় ।
-
অভিজিৎ হালদার ১২/০৮/২০২১সুন্দর ভাবনার অবতারণা করার চেষ্টা করেছেন, জীবনের অনুভূতিগুলো একে একে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে।