স্বর্গ নরকের কথোপকথন
স্বর্গ নরকের কথোপকথন
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
নরক যবে শুধালো স্বর্গ,
আছো কি বেশ না মন্দ?
স্বর্গ কহে শ্রবণে কি লভ্য নরক,
তুমি যে হৃদয়হীনা অন্ধ।
প্রিয়া প্রেমা শক্তিতে জপিয়া,
অধীর যে সখা সখা করি।
যুগান্তের মোর কাঙ্ক্ষিত সেই স্বপ্নের ধন,
তুমি গ্রাস করিবে কাড়ি।
নরক তবে কহিনু,
স্বর্গ এ হেন কৃত নশ্বর খর্ব।
যেবা করে নরাধম।
সাধ্য কি মোর সহিতে যাতনা,
তেমনি হরনে তুমি কি জ্ঞাত না?
যাহারি তাপের প্রখরে ডরি,
কাপিয়া শত মিনতি করি।
হেন অন্যায় জুব্বুল হোযন মোর স্বামী-
যেবা করিলো সৃজন,
দহনে তাহারি ভস্ম করিতে মোরে,
কভু কি তাহারে করিবে বারন?
যে সখা তোমায় করিলো গড়ন-
তাহারই সখা করিতে বরন।
পুষ্প কানন দানিয়া আরও,
রত্ন সিংহাসন যেথা রইবে শুধু,
সুখ আর সুখ,
চির দুঃখ বিসর্জন।
সে তোমারই সখা মোর যে স্বামী,
দুজনাই মোরা তার সেবনী।
দশ পূরণে সাতের একে,
পিপীলিকার খাদ্য ভাগে-
তাহারই হিসাব নিকাশে মোরা,
তাহারই সখা সেব যে তুমি,
আর আমি পুড়নি।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখাঃ-
========
জ্বলন্ত নরক ও মায়াময়ী স্বর্গের আলাপ আলোচনায় এই প্রতীয়মান হয় যে মহান প্রভুর আদেশ ছাড়া তাহারা নিজ ইচ্ছার উপর কাউকেই সুখ ও দুঃখ কিছুই দিতে পারেনা। বরং তাঁরা নিজ নিজ কর্মের প্রতি এমনি যত্নবান ও সাবধান যে মহান প্রভুর বিন্দু পরিমাণ অমান্যতায় সেই নরকের নরক জুব্বুল হোযন নামক মহা নরকের ভয়ে ওরা সকল নরক প্রতিদিনই প্রভুর নিকট একশত বার ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে।লেখক এখানে সেই কথাই বলেছেন।
আব্দুল কাদির মিয়া
==============
নরক যবে শুধালো স্বর্গ,
আছো কি বেশ না মন্দ?
স্বর্গ কহে শ্রবণে কি লভ্য নরক,
তুমি যে হৃদয়হীনা অন্ধ।
প্রিয়া প্রেমা শক্তিতে জপিয়া,
অধীর যে সখা সখা করি।
যুগান্তের মোর কাঙ্ক্ষিত সেই স্বপ্নের ধন,
তুমি গ্রাস করিবে কাড়ি।
নরক তবে কহিনু,
স্বর্গ এ হেন কৃত নশ্বর খর্ব।
যেবা করে নরাধম।
সাধ্য কি মোর সহিতে যাতনা,
তেমনি হরনে তুমি কি জ্ঞাত না?
যাহারি তাপের প্রখরে ডরি,
কাপিয়া শত মিনতি করি।
হেন অন্যায় জুব্বুল হোযন মোর স্বামী-
যেবা করিলো সৃজন,
দহনে তাহারি ভস্ম করিতে মোরে,
কভু কি তাহারে করিবে বারন?
যে সখা তোমায় করিলো গড়ন-
তাহারই সখা করিতে বরন।
পুষ্প কানন দানিয়া আরও,
রত্ন সিংহাসন যেথা রইবে শুধু,
সুখ আর সুখ,
চির দুঃখ বিসর্জন।
সে তোমারই সখা মোর যে স্বামী,
দুজনাই মোরা তার সেবনী।
দশ পূরণে সাতের একে,
পিপীলিকার খাদ্য ভাগে-
তাহারই হিসাব নিকাশে মোরা,
তাহারই সখা সেব যে তুমি,
আর আমি পুড়নি।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখাঃ-
========
জ্বলন্ত নরক ও মায়াময়ী স্বর্গের আলাপ আলোচনায় এই প্রতীয়মান হয় যে মহান প্রভুর আদেশ ছাড়া তাহারা নিজ ইচ্ছার উপর কাউকেই সুখ ও দুঃখ কিছুই দিতে পারেনা। বরং তাঁরা নিজ নিজ কর্মের প্রতি এমনি যত্নবান ও সাবধান যে মহান প্রভুর বিন্দু পরিমাণ অমান্যতায় সেই নরকের নরক জুব্বুল হোযন নামক মহা নরকের ভয়ে ওরা সকল নরক প্রতিদিনই প্রভুর নিকট একশত বার ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে।লেখক এখানে সেই কথাই বলেছেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০৯/০২/২০২১এক কথায় অসাধারণ লিখেছেন
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ০৯/০২/২০২১অসাধারণ