জানা ভুলের নেই ক্ষমা
জানা ভুলের নেই ক্ষমা
আব্দুল কাদির মিয়া
============
পুষিয়াছি যারে বুকেতে করিয়া,
বুকের মানিক বলে।
নিজ বোখের খাদ্য তাহার,
মুখে দিয়াছি তুলে।
শয়নে তাহার প্রক্ষালনে,
মাদুর পাতানু ভিজিলো জেনে।
থর থরে শীত কাঁপানো ক্ষনেও,
স্থান বদলের ত্যাগীনী মনে।
গ্রীষ্মে যাহার চরন ধূলি,
আম বাগিচার তলে।
ধমকা হাওয়া থমকে তাহা,
বিত্ত বস্ত্র পরনে যাহা।
ন্যাশ করিল সবইতো মোর,
তাঁরই কুমির খেলার ছলে।
তবু মনে জেদ ধরিনি,
সেতো শখের খেলা খেলে।
উড়ানো তাহার চরণ ধূলী,
দেখিয়াছি মমতার নয়ন খুলি।
তাকে চোখের সুরমা বলে।
গাঁয়ের ধারে বর্ষাতে যে,
মরা গাঙের বাঁকে।
রোজ বিকেলে ভেলায় চড়িয়ে,
দেখিয়াছি তাঁকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।
বন্য ফুলের তোড়া বানিয়ে,
দিয়েছি হাতে তুলে।
শত দুঃখ তাড়নার মাঝেও যখন,
আসিতো খুশির দিন।
তাহারই খুশির আড়ং যোগাতে,
দিশেহারা উম্মাদ হয়ে,
লাজুক মুখের আঁচল ছেড়ে-
করিয়াছি কতনা ঋন।
যাহারই পীড়ায় পীড়িত হয়ে,
অশ্রুসিক্ত নয়নে।
অন্ন জলে করিনি স্পর্শ,
কতনা দিন কেটেছে এমনি,
কত যে রজনী পোহালো বসিয়া,
যাইনি যে মোর শয়নে।
তাহারই পাঠের যোগান যোগাতে,
চড়েনি উনুনে হাঁড়ি।
ক্ষুধার জ্বালা মিটিয়েছি জলে,
ঋনের তাড়না শুধিবো বলে।
সবই যে স্বপ্ন ছিলো তাঁরই।
সাফল্যে তাহার গর্বে আমার,
কত যে বাসনায় ঘিরে।
কত যে যন্ত্রনা সয়েছি তাঁরই,
বেদনার যাতনা কত চাপানু পাজরে।
চলেছি তবুও উন্নত শিরে,
সেতো আমারই অহংকার।
আশার প্রদীপ জ্বালিবে তো সে,
আজ নয় কাল দুর্বার।
শ্রম জীবনের রাত পেড়িয়ে,
হাসির সূর্য উদয়ের ধারে,
কেন সে ফুঁড়িলো মোর হৃদয় মেরে,
সবই আশা মোর চূর্ণ করে।
স্বজন পড়শী গাঁয়ের ধারে,
কলঙ্কের ছাপ মুখে মেরে?
হে জগ্যতী বলে দাও ওকে,
এত করে পুষিলাম যাকে।
সেতো ভুল নহে লাজে মৃত্যু কারী,
কভু কি মোচন পেতে পারে?
আব্দুল কাদির মিয়া
============
পুষিয়াছি যারে বুকেতে করিয়া,
বুকের মানিক বলে।
নিজ বোখের খাদ্য তাহার,
মুখে দিয়াছি তুলে।
শয়নে তাহার প্রক্ষালনে,
মাদুর পাতানু ভিজিলো জেনে।
থর থরে শীত কাঁপানো ক্ষনেও,
স্থান বদলের ত্যাগীনী মনে।
গ্রীষ্মে যাহার চরন ধূলি,
আম বাগিচার তলে।
ধমকা হাওয়া থমকে তাহা,
বিত্ত বস্ত্র পরনে যাহা।
ন্যাশ করিল সবইতো মোর,
তাঁরই কুমির খেলার ছলে।
তবু মনে জেদ ধরিনি,
সেতো শখের খেলা খেলে।
উড়ানো তাহার চরণ ধূলী,
দেখিয়াছি মমতার নয়ন খুলি।
তাকে চোখের সুরমা বলে।
গাঁয়ের ধারে বর্ষাতে যে,
মরা গাঙের বাঁকে।
রোজ বিকেলে ভেলায় চড়িয়ে,
দেখিয়াছি তাঁকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।
বন্য ফুলের তোড়া বানিয়ে,
দিয়েছি হাতে তুলে।
শত দুঃখ তাড়নার মাঝেও যখন,
আসিতো খুশির দিন।
তাহারই খুশির আড়ং যোগাতে,
দিশেহারা উম্মাদ হয়ে,
লাজুক মুখের আঁচল ছেড়ে-
করিয়াছি কতনা ঋন।
যাহারই পীড়ায় পীড়িত হয়ে,
অশ্রুসিক্ত নয়নে।
অন্ন জলে করিনি স্পর্শ,
কতনা দিন কেটেছে এমনি,
কত যে রজনী পোহালো বসিয়া,
যাইনি যে মোর শয়নে।
তাহারই পাঠের যোগান যোগাতে,
চড়েনি উনুনে হাঁড়ি।
ক্ষুধার জ্বালা মিটিয়েছি জলে,
ঋনের তাড়না শুধিবো বলে।
সবই যে স্বপ্ন ছিলো তাঁরই।
সাফল্যে তাহার গর্বে আমার,
কত যে বাসনায় ঘিরে।
কত যে যন্ত্রনা সয়েছি তাঁরই,
বেদনার যাতনা কত চাপানু পাজরে।
চলেছি তবুও উন্নত শিরে,
সেতো আমারই অহংকার।
আশার প্রদীপ জ্বালিবে তো সে,
আজ নয় কাল দুর্বার।
শ্রম জীবনের রাত পেড়িয়ে,
হাসির সূর্য উদয়ের ধারে,
কেন সে ফুঁড়িলো মোর হৃদয় মেরে,
সবই আশা মোর চূর্ণ করে।
স্বজন পড়শী গাঁয়ের ধারে,
কলঙ্কের ছাপ মুখে মেরে?
হে জগ্যতী বলে দাও ওকে,
এত করে পুষিলাম যাকে।
সেতো ভুল নহে লাজে মৃত্যু কারী,
কভু কি মোচন পেতে পারে?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ২৩/০১/২০২১চমৎকার লেখনী
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২১/০১/২০২১সুন্দর চিত্র।
-
ফয়জুল মহী ২১/০১/২০২১খুব সুন্দর কথা