www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বিচ্ছেদ সমাধান নয়

শরীরে ক্যান্সার হলে তা কেটে ফেলা অনেক ক্ষেত্রেই কল্যাণকর। কিন্তু সামান্য ব্যথাতে কেউ যদি অঙ্গ হানির সিদ্ধান্ত নেন; তবে তা নির্বুদ্ধিতার সামিল। বর্তমানে আমরা এক ভয়ঙ্কর সময় পার করছি। সামাজিক মূল্যবোধ তলানীতে পৌঁছে গেছে। পারিবারিক দৃঢ়তা নেই। কমে গেছে সম্মানবোধের জায়গাটুকু। এমন পরিস্থিতিতে মহামারি রূপ ধারণ করেছে বিচ্ছেদ নামক “গোড়ামি রোগ” । সামান্য ইস্যুতেই বন্ধন ছিঁড়ে যাচ্ছে। অনেকেতো জীবনের বেশিরভাগ সময় একই ছাঁদের নিচে বসবাস করেও ক্লান্তি লগ্নে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। অথচ ঐ সময়টাতেই একে অপরকে সবচেয়ে বেশি অনুভব করবেন।
একটা সময় পর মানুষ পারিপাশ্বিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন তারা পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে উঠে। এই সময় যদি আপনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন; তাহলে উভয়েই হতাশায় ভুগতে হয়। পাশাপাশি আপনার সন্তানদের মধ্যে এক ধরনের আস্থার সংকট তৈরী হয়। সন্তানরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে নৈতিকতার এক চরম লংঘন হয়। ঐ শিশুরা সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার সবচেয়ে বেশি।
সুতরাং একটি বিচ্ছেদ শুধু দুজনকে আলাদা থাকা নয়; বরং একটি পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রকে হুমকির সন্মুখীন করা।
হ্যাঁ যদি এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে ক্যান্সারের মতো জীবানু আক্রমণ করে ফেলে; যা কেটে না ফেললে সমস্ত শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। তেমন পরিস্থিতিতে বরং বিচ্ছেদই সর্বোত্তম পন্থা।
পরিশেষে, ব্যক্তি স্বার্থে অথবা সুবিধা নেওয়ার জন্য বিচ্ছেদকে না বলি!
পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করি।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/০৩/২০২৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast