তোমাদের কবিতার কিছুই বুঝি না
তোমাদের কবিতার কিছুই বুঝি না
সাইয়িদ রফিকুল হক
তোমাদের কবিতার মাথামুণ্ডু
পাচ্ছি নাতো খুঁজে!
সবখানে কেমন একটা জড়তা
আর খুব বিভ্রান্তি!
তোমরা নিজেরাও বিভ্রান্ত
আর তোমাদের কবিতারাও পথভ্রষ্ট।
তোমরা কবি নও―
কতিপয় স্লোগানধারী মাত্র!
তোমাদের আছে চাপার জোর,
আরও আছে রমণীমোহনের
আশ্চর্যরকমের প্রতিভা!
তোমরা সবাই খুব প্রতিভাবান!
আর তোমাদের কবিতারাও
খুব ভয়ানক বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিমতী!
তোমরা নিজেরা খাদে নামতে-নামতে
নেমে গেছ একেবারে দুর্গন্ধময় পাঁকে,
তোমাদের কবিতারাও ভাসে উলঙ্গ ড্রেনে!
আর তোমরা গোবরে জন্ম নেওয়া পদ্মফুল!
তোমরা আজকাল এসব কী লিখছো?
কোনো কথার আগা নেই, গোড়া নেই!
সবখানে একটা বাড়াবাড়ি!
আর যতরকমের ভ্রান্তি!
তোমাদের কবিতায় খুঁজে পাই না
হৃদয়ভরা প্রশান্তি,
গন্ধে আকুল করা আহ্বান,
সবখানে শুধু শব্দের কচকচি,
আর যত কথিত চিত্রকল্পের খচখচি!
তোমরা এখনও বোঝোনি কবিতার মানে,
হুদাই কবিতা-নামে লিখছো
যত্তসব মনগড়া আর বস্তাপচা পদ্য।
তোমাদের কেউই কবি নয়―
কবিতার মিছিলে শুধু ঝাঁড়ুদার!
অথবা তোমরা কবি-নামে অর্থলোভী
কিংবা সম্মান আর প্রতিপত্তিলোভী।
তোমাদের মুখে আসে না কবিতার ভাষা,
তোমাদের হৃদয়ে ওঠে না কবিতার সুবাস
তোমাদের বুকে জাগে না কবিতার ঢেউ।
তোমাদের মগজে ভাসে না কবিতার ছন্দ,
তোমরা শুধুই কবিতার রাজ্যে অভিনেতা।
তোমাদের কবিতার কিছুই বুঝি না!
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুই খাপছাড়াভাব,
আধখেঁচড়া চিত্রকল্পের উলঙ্গ নৃত্য!
ভাষার দরিদ্রতায় ডুবে থাকা
কতিপয় বেআদব সংকীর্তন!
তোমাদের কবিতা বোঝা যায় না,
তোমাদের কবিতার কোনো অর্থ হয় না,
তোমাদের কবিতা শুধু
দামি ফুলদানিতে রাখা নির্জীব প্লাস্টিকের ফুল!
তোমাদের কবিতারা বড় অসহায় গালগল্প মাত্র।
সাইয়িদ রফিকুল হক
তোমাদের কবিতার মাথামুণ্ডু
পাচ্ছি নাতো খুঁজে!
সবখানে কেমন একটা জড়তা
আর খুব বিভ্রান্তি!
তোমরা নিজেরাও বিভ্রান্ত
আর তোমাদের কবিতারাও পথভ্রষ্ট।
তোমরা কবি নও―
কতিপয় স্লোগানধারী মাত্র!
তোমাদের আছে চাপার জোর,
আরও আছে রমণীমোহনের
আশ্চর্যরকমের প্রতিভা!
তোমরা সবাই খুব প্রতিভাবান!
আর তোমাদের কবিতারাও
খুব ভয়ানক বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিমতী!
তোমরা নিজেরা খাদে নামতে-নামতে
নেমে গেছ একেবারে দুর্গন্ধময় পাঁকে,
তোমাদের কবিতারাও ভাসে উলঙ্গ ড্রেনে!
আর তোমরা গোবরে জন্ম নেওয়া পদ্মফুল!
তোমরা আজকাল এসব কী লিখছো?
কোনো কথার আগা নেই, গোড়া নেই!
সবখানে একটা বাড়াবাড়ি!
আর যতরকমের ভ্রান্তি!
তোমাদের কবিতায় খুঁজে পাই না
হৃদয়ভরা প্রশান্তি,
গন্ধে আকুল করা আহ্বান,
সবখানে শুধু শব্দের কচকচি,
আর যত কথিত চিত্রকল্পের খচখচি!
তোমরা এখনও বোঝোনি কবিতার মানে,
হুদাই কবিতা-নামে লিখছো
যত্তসব মনগড়া আর বস্তাপচা পদ্য।
তোমাদের কেউই কবি নয়―
কবিতার মিছিলে শুধু ঝাঁড়ুদার!
অথবা তোমরা কবি-নামে অর্থলোভী
কিংবা সম্মান আর প্রতিপত্তিলোভী।
তোমাদের মুখে আসে না কবিতার ভাষা,
তোমাদের হৃদয়ে ওঠে না কবিতার সুবাস
তোমাদের বুকে জাগে না কবিতার ঢেউ।
তোমাদের মগজে ভাসে না কবিতার ছন্দ,
তোমরা শুধুই কবিতার রাজ্যে অভিনেতা।
তোমাদের কবিতার কিছুই বুঝি না!
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুই খাপছাড়াভাব,
আধখেঁচড়া চিত্রকল্পের উলঙ্গ নৃত্য!
ভাষার দরিদ্রতায় ডুবে থাকা
কতিপয় বেআদব সংকীর্তন!
তোমাদের কবিতা বোঝা যায় না,
তোমাদের কবিতার কোনো অর্থ হয় না,
তোমাদের কবিতা শুধু
দামি ফুলদানিতে রাখা নির্জীব প্লাস্টিকের ফুল!
তোমাদের কবিতারা বড় অসহায় গালগল্প মাত্র।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০৫/০৬/২০২২সময়ের কবিতার পিরিস্তি বর্ণনা দিলেন মনের কথা গুলোর।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৪/০৬/২০২২বেশ!
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৪/০৬/২০২২বেশ চেতনামূলক
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৪/০৬/২০২২অনুপম
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৬/২০২২বাহ্ অসাধারণ মিলালেন কথার ঝংকার,
বেশ লাগলো শুভেচ্ছা রইলো -
বোরহানুল ইসলাম লিটন ০৪/০৬/২০২২বেশ বলেছেন!