www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধনে সহযোগিতা

বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করেছে। করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও রোগী শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল আটটা থেকে আজ ২৬ জুলাই, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ১৯২ জন। আজ দেশে প্রথমবারের মতো একদিনে ১৫ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ৫০ হাজারের ওপরে।
বাংলাদেশ সরকারের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গেল ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চালু হয়েছিলো এই ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান কার্যক্রম। প্রথম অবস্থায় ৪০ বছরের উর্ধ্বে নাগরিকগণ ভ্যাকসিন (টিকা) এর আওতায় এসেছিলো। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় সরকারের ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন ৩০ বছরের উর্ধ্বে নাগরিকগণ এই ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান কার্যক্রমের আওতায় এসেছে। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে অচিরেই তা ১৮ বছর বয়স সীমায় নামিয়ে আনবে। সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন (টিকা) এর নিবন্ধনের জন্য ‘সুরক্ষা’ এ্যাপে নিবন্ধন করতে হয়। নিবন্ধন করার সময় ভোটার আইডি বাধ্যতামূলক এবং সাথে লাগে ফোন নম্বর। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইন্টারনেট সুবিধা ছাড়া নিবন্ধন করা যায় না। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রকৃত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হলেই হবে না, নিবন্ধনের জন্য চাই একটি স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার এবং টিকা কার্ড প্রিন্ট দেয়ার জন্য দরকার একটি প্রিন্টার। এই এতো কিছুর সংস্থান করে গ্রামের একজন মানুষের পক্ষে ভ্যাকসিন (টিকা) এর জন্য নিবন্ধন করা সম্ভব নয়। আর আগে একটি ধারনা ছিলো, গ্রামের মানুষদের করোনা হয় না । ফলে গ্রামের অনেক মানুষই ভ্যাকসিন (টিকা) নেয় নি বা প্রযুক্তির অভাবে নিতে পারে নি। ফলশ্রুতিতে এখন গ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এখন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যার প্রায় ৭৫% ঢাকার বাইরের (গ্রামের) রোগী।
এখন ভ্যাক্সিন (টিকা) নিবন্ধন প্রক্রিয়া প্রান্তিক (গ্রাম-গঞ্জে) পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের উচিত যারা প্রান্তিক পর্যায়ে আছেন তাদের দোরগোড়ায় গিয়ে এই ভ্যাক্সিন বা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা। সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনেরও রয়েছে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা। সামাজিক সংগঠন গণমানুষকে ভ্যাক্সিন বা টিকা প্রদানের লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রমে কার্যকরীভাবে সহযোগিতা করতে পারে। এই কঠিন সময়ে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোকে অবশ্যই মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সকলে মিলে এই মহামারি করোনাকে মোকাবেলা করতে হবে।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ঢাকা, ২৬ জুলাই, ২০২১ খ্রীষ্টাব্দ।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ২২১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৬/০৭/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast