আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৬০)
বিয়ে বাড়ীর খাবার-দাবার
বিয়ে বাড়ীতে নানা ধরনের খাবার চলে। অফিসিয়ালী কমপক্ষে ৩ দিন। আর আনঅফিসিয়ালী ৭ দিন তো হবেই। হ্যাঁ, আমি আশি বা নব্বই-এর দশকের বিয়ে বাড়ীর কথা বলছি। বিয়ে বাড়ীর অফিসিয়ালী ১ম খাবার গায়ে হলুদের দিন রাতে দেয়া হত। এখানে সাধারণত: ২ টা আইটেম দেয়া হত। সাদা ভাতের সাথে একটা মাংসের তরকারি এবং একটা ডাল। যাকে বলে আমিলা ডাল! আগে বিয়ে বাড়ীতে ডাল দেয়া একটি রেওয়াজে পরিনত হয়ে গিয়েছিলো। কথায় বলে না- ডাল ভাতে বাঙ্গালী আর কি! আগে আমাদের এলাকায় বেশী ডাল চাষ হত। এই জন্য হয়তো সব অনুষ্ঠানে ডালের সরব উপস্থিতি ছিলো। ইদানিং গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মুরগীর গিলা-কলিজা দিয়ে রান্না করা খিচুরী দিয়ে মানুষকে আপ্যায়ণ করা হয়। গায়ে হলুদের খাবারের পরে বিয়ের দিন সকালে একটা আমিলা-ভাত (ডাল-ভাত) দেয়া হত। বর-কনে বাড়ীতে আসতে দেরী হওয়ার কারণে এই ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করা হত। এবার চলে আসা যাক বিয়ের মূল খাবার পর্বে। আগে বিয়ে বাড়ীতে ভাতের সাথে খাবারের ৩ টা তরকারী আইটেম ছিলো। সাথে থাকতো দুধ-ভাত (মিষ্টান্ন)। একটা আলু দিয়ে মাংসের তরকারী, একটা মাসকলাই ডাল (মাংস দিয়ে) এবং একটা ডাল (আমিলা ডাল)। তাহলে মোট আইটেম হয়ে যায় ৪টি। প্রতিটা আইটেম অতিথিদের ২বার করে পরিবেশন করতে হত। একবার দেয়া কম পড়লে সাইদাররা ফাইনের পর্যায়ে পড়ে যেতেন। আর তখনকার রান্না খুবই সুস্বাদু ছিলো। গ্রামের মহিলারা মনের মাধুরী মিশিয়ে এই খাবার রান্না করতো। আহা! কি স্বাদ! যেন হাতে লেগে আছে আর কি! যারা বিয়েতে নানা দায়িত্ব পালন করতো তাদের বিয়ের পরের দিন দাওয়াত করে খাওয়ানো হত। এই গেল ৩ দিনের খাবার। তবে এর আগে পরে ও খাওয়া-দাওয়া হত যা এই লেখায় উল্লেখ করলাম না।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১২.৪.২১
বিয়ে বাড়ীতে নানা ধরনের খাবার চলে। অফিসিয়ালী কমপক্ষে ৩ দিন। আর আনঅফিসিয়ালী ৭ দিন তো হবেই। হ্যাঁ, আমি আশি বা নব্বই-এর দশকের বিয়ে বাড়ীর কথা বলছি। বিয়ে বাড়ীর অফিসিয়ালী ১ম খাবার গায়ে হলুদের দিন রাতে দেয়া হত। এখানে সাধারণত: ২ টা আইটেম দেয়া হত। সাদা ভাতের সাথে একটা মাংসের তরকারি এবং একটা ডাল। যাকে বলে আমিলা ডাল! আগে বিয়ে বাড়ীতে ডাল দেয়া একটি রেওয়াজে পরিনত হয়ে গিয়েছিলো। কথায় বলে না- ডাল ভাতে বাঙ্গালী আর কি! আগে আমাদের এলাকায় বেশী ডাল চাষ হত। এই জন্য হয়তো সব অনুষ্ঠানে ডালের সরব উপস্থিতি ছিলো। ইদানিং গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মুরগীর গিলা-কলিজা দিয়ে রান্না করা খিচুরী দিয়ে মানুষকে আপ্যায়ণ করা হয়। গায়ে হলুদের খাবারের পরে বিয়ের দিন সকালে একটা আমিলা-ভাত (ডাল-ভাত) দেয়া হত। বর-কনে বাড়ীতে আসতে দেরী হওয়ার কারণে এই ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করা হত। এবার চলে আসা যাক বিয়ের মূল খাবার পর্বে। আগে বিয়ে বাড়ীতে ভাতের সাথে খাবারের ৩ টা তরকারী আইটেম ছিলো। সাথে থাকতো দুধ-ভাত (মিষ্টান্ন)। একটা আলু দিয়ে মাংসের তরকারী, একটা মাসকলাই ডাল (মাংস দিয়ে) এবং একটা ডাল (আমিলা ডাল)। তাহলে মোট আইটেম হয়ে যায় ৪টি। প্রতিটা আইটেম অতিথিদের ২বার করে পরিবেশন করতে হত। একবার দেয়া কম পড়লে সাইদাররা ফাইনের পর্যায়ে পড়ে যেতেন। আর তখনকার রান্না খুবই সুস্বাদু ছিলো। গ্রামের মহিলারা মনের মাধুরী মিশিয়ে এই খাবার রান্না করতো। আহা! কি স্বাদ! যেন হাতে লেগে আছে আর কি! যারা বিয়েতে নানা দায়িত্ব পালন করতো তাদের বিয়ের পরের দিন দাওয়াত করে খাওয়ানো হত। এই গেল ৩ দিনের খাবার। তবে এর আগে পরে ও খাওয়া-দাওয়া হত যা এই লেখায় উল্লেখ করলাম না।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১২.৪.২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৩/০৪/২০২১Darun
-
মাহতাব বাঙ্গালী ১৩/০৪/২০২১স্বাদের অতীত; স্বাদের খাওয়া দাওয়া। নাকে এখনো সে সুগন্ধ আর জিহ্বায় এখনো সে স্বাদ লেগে রয়েছে বৈকি। তাইতো এখনো বেঁচে আছি!
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৩/০৪/২০২১অপরূপ। পূর্বাপর সুন্দর।