আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৫৯)
বিয়ে বাড়ীতে বিয়াইন সাদর
গ্রাম বাংলার বিয়ে বাড়ীতে বিয়াইন সাদরের পর্বটি আমার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। আমার খুব ভালো লাগে এ পর্বটি। মাঝে মাঝে সেখানে কিছুটা হাসিরও খোরাক থাকে। বিয়ে বাড়ীতে এই অংশটা খুবই আবর্ষণীয় হয়। বিয়ে বাড়ীতে কনে পক্ষের অতিথিরা সাধারণত একটু পরে আসে। কনে পক্ষের অতিথিদের মধ্যে মধ্যমনি থাকে কনের মা অর্থাৎ বিয়াইন এবং কনের বাবা অর্থাৎ বিয়াই। এক্ষেত্রে বিয়াই-এর তুলনায় বিয়াইন এর মূল্যটা একটু বেশী থাকে বিধায় এই পর্বটাকে বিয়াইন সাদর বলে। কনে পক্ষের লোক অর্থাৎ বিয়াইন আসার খবর প্রচার হলেই বরের পিতা-মাতাসহ বিয়ে বাড়ী থেকে একদল লোক কনে পক্ষের লোকদের (বেয়াইনসহ) গ্রহণ করার জন্য বাড়ীর বাহিরে যায়। তাদের সাথে বাদ্যবাজনা থাকে অবধারিতভাবে। সাথে জুকার টাইপের কিছু লোক থাকে যাদের পরনে থাকে ’যেমন খুশি তেমন সাজ’ -এর পোষাক। সাথে আবশ্যিকভাবে থাকে একটা ভাঙ্গা হারিকেন, উল্টা ছাতাসহ হরেক রকম দ্রব্য সামগ্রী। ভাঙ্গা হারিকেন দিয়ে বিয়াইনকে খোঁজা হয় এবং উল্টা ছাতা দিয়ে বিয়াইনকে ছায়া দেয়া হয় যাতে তার গায়ে রোদ না লাগে। এমন অপূর্ব দৃশ্য বিয়েকে একটা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। এমন দৃশ্যে বিয়াইন সাময়িক রাগ করলেও অন্যান্য মানুষ কিন্তু নির্মল আনন্দ উপভোগ করে। এভাবে বিয়াইনকে বাড়ী পর্যন্ত নিয়ে এসে বেয়াইনসহ বাড়ীর উঠানে চলে একটা খেমটা নাচ। তখন যে মানুষ জীবনেও বিয়ে বাড়ীতে নাচে না সেও বিয়াইন-এর সাথে একটা খেমটা নাচ দেন। এর পর বিয়াইনকে একটা বিশেষ সাজানো ঘরে বসতে দেয়া হয়। পরে চলে মিষ্টি খাওয়া-খাওয়ী। বিয়াই খাওয়ায় বিয়াইনকে এবং বিয়াইন খাওয়ায় বিয়াইবে। এ সুন্দুর দৃশ্য! একেবারে ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার মত।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১১.০৩.২০২১
গ্রাম বাংলার বিয়ে বাড়ীতে বিয়াইন সাদরের পর্বটি আমার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। আমার খুব ভালো লাগে এ পর্বটি। মাঝে মাঝে সেখানে কিছুটা হাসিরও খোরাক থাকে। বিয়ে বাড়ীতে এই অংশটা খুবই আবর্ষণীয় হয়। বিয়ে বাড়ীতে কনে পক্ষের অতিথিরা সাধারণত একটু পরে আসে। কনে পক্ষের অতিথিদের মধ্যে মধ্যমনি থাকে কনের মা অর্থাৎ বিয়াইন এবং কনের বাবা অর্থাৎ বিয়াই। এক্ষেত্রে বিয়াই-এর তুলনায় বিয়াইন এর মূল্যটা একটু বেশী থাকে বিধায় এই পর্বটাকে বিয়াইন সাদর বলে। কনে পক্ষের লোক অর্থাৎ বিয়াইন আসার খবর প্রচার হলেই বরের পিতা-মাতাসহ বিয়ে বাড়ী থেকে একদল লোক কনে পক্ষের লোকদের (বেয়াইনসহ) গ্রহণ করার জন্য বাড়ীর বাহিরে যায়। তাদের সাথে বাদ্যবাজনা থাকে অবধারিতভাবে। সাথে জুকার টাইপের কিছু লোক থাকে যাদের পরনে থাকে ’যেমন খুশি তেমন সাজ’ -এর পোষাক। সাথে আবশ্যিকভাবে থাকে একটা ভাঙ্গা হারিকেন, উল্টা ছাতাসহ হরেক রকম দ্রব্য সামগ্রী। ভাঙ্গা হারিকেন দিয়ে বিয়াইনকে খোঁজা হয় এবং উল্টা ছাতা দিয়ে বিয়াইনকে ছায়া দেয়া হয় যাতে তার গায়ে রোদ না লাগে। এমন অপূর্ব দৃশ্য বিয়েকে একটা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। এমন দৃশ্যে বিয়াইন সাময়িক রাগ করলেও অন্যান্য মানুষ কিন্তু নির্মল আনন্দ উপভোগ করে। এভাবে বিয়াইনকে বাড়ী পর্যন্ত নিয়ে এসে বেয়াইনসহ বাড়ীর উঠানে চলে একটা খেমটা নাচ। তখন যে মানুষ জীবনেও বিয়ে বাড়ীতে নাচে না সেও বিয়াইন-এর সাথে একটা খেমটা নাচ দেন। এর পর বিয়াইনকে একটা বিশেষ সাজানো ঘরে বসতে দেয়া হয়। পরে চলে মিষ্টি খাওয়া-খাওয়ী। বিয়াই খাওয়ায় বিয়াইনকে এবং বিয়াইন খাওয়ায় বিয়াইবে। এ সুন্দুর দৃশ্য! একেবারে ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার মত।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১১.০৩.২০২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৩/০৪/২০২১Bah
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১২/০৪/২০২১বিয়ে বাড়ির সুন্দর একটি প্রথা । ভালো লাগল। আকর্ষনীয় ও বিয়াইকে বানান দুটি সংশোধন করতে হবে।
-
রেদোয়ান আহমেদ ১২/০৪/২০২১দারূণ ছিলো সেসব দিন।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/০৪/২০২১গ্রামের বিয়েশাদি দারুণ ফুর্তির ব্যাপার ছিল।