www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৫৫)

আমাদের হাট
আগে আমি হাটে যেতে খুব ভালবাসতাম। হাটে গিয়ে কোন দ্রব্য বিক্রি করে ক্যাশ টাকা হাতে পেতাম। এই ক্যাশ টাকা হাতে পাওয়ার অনেক আনন্দ ছিলো। এই টাকা পেয়ে মুড়ুলি কিনে খেতাম আর রিক্সা দিয়ে বাড়ী আসতাম। যেন ভাবই আলাদা আর কি! আমরা বেশী যেতাম কালীগঞ্জ হাটে। সপ্তাহে দুইদিন হতো এই হাট। যেতাম সাধুর হাটে, বট গাছের নীচে। সাধুর হাট হল রেল লাইন পেরিয়ে একটু উত্তরে, বাঙ্গালহাওলায়। ঐ দিকে নয়া বাজারও ছিলো। নয়া বাজার অকেটা রাঙ্গামাটিয়া পড়েছে। সাথে রয়েছে নাগরী। হাটের জায়গাগুলো হয় নদীর পাড়, না হয় খালের পাড়। নদীমাতৃক বাংলাদেশ। আগে পণ্য পরিবহণে জলপথ বেশী ব্যবহার করা হত। এই জন্য ভৌগলিকগত কারণে বেশীরভাগ হাট বা বাজার নদী বা খালের কাছে অবস্থিত ছিলো। যেমন- কালীগঞ্জ হাট শীতলক্ষ্ম্যা নদীর ধারে অবস্থিত। মাঝে মধ্যে পূবাইল হাটেও যেতাম। তবে বছরে একবার বা দুইবার উদুর মেলায় যেতাম। আমাদের চারিদিকে মোটামুটি এই কতগুলো হাট/বাজার ছিলো যেখানে আমরা যেতাম। সেকালে আমাদের একটি বদ্ধমূল ধারণা ছিলো যে, সকালে প্রতিদিন উল্লিখিত স্থানে বাজার হয় এবং সপ্তাহের নির্দিষ্ট দুই দিন বিকালে হাট হয়। অর্থাৎ সকালে বাজার ও দুপুরে হাট হয়। আমি জানি না এখন সেই বদ্ধমূল ধারনা আছে কি না?

তো যাই হোক, আমরা বেশী যেতাম কালীগঞ্জ হাটে। উদ্দেশ্য বিক্রি বা বিনিময়। আমরা হাটে নিয়ে যেতাম ধান, পাট, পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, রসুন, মুরগী ও হাসের ডিমসহ নানান কিছু। বিনিময়ে পেতাম কিছু ক্যাশ টাকা। খুবই ভালো লাগতো। একবার হাটে গিয়ে ডিম বিক্রি করেছিলাম। পরে ডিম বিক্রির পুরা টাকা দিয়ে কালীগঞ্জ হাট থেকে রিক্সা করে বাড়ী চলে এসেছি। বাড়ী আসার পর হাতে ছিলো শূণ্য টাকা! এই কথা মনে করে এখনও মনে মনে হাসি। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৩৩৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৬/০৪/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • সত্যই আগের সে দিন আর নেই,শৈশবের সে দিনগুলি আর সেদিনের বোকামি এতো সহজ তুলে ধরেছেন, সে দিনের মজাই আলাদা সুন্দর লেখা
 
Quantcast