আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৪৬)
সম্মানবোধ
আগে মানুষের প্রতি মানুষের সম্মানবোধ ছিলো অনেক। আমরা গুরুজনদের দেখলে দূর থেকে সালাম/নমস্কার দিতাম। শ্রদ্ধা করতাম। ভক্তি করতাম। সম্মান করতাম। মাঝে মাঝে পায়ে ধরেও সালাম করতাম। আমার মনে পড়ে, একবার আমি সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম। রাস্তার মধ্যে গনেশ স্যারকে ( প্রয়াত গনেশ চন্দ্র দাস, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, তুমিলিয়া বালক উচ্চ বিদ্যালয়) দেখে সাইকেল থেকে নেমে গিয়েছিলাম। স্যারকে সম্মান জানানোর জন্যই কাজটি করেছিলাম। যাদের বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার একটু অভ্যাস ছিলো তারা গুরুজনদের সামনে তা খেত না। আমরা গ্রামে অনেক ধরনের খেলা খেলতাম। যেমন- ফুটবল, দারিয়াবান্দা , কানামাছি, তাস, ছুক্কি ইত্যাদি। এর মধ্যে তাস ও ছুক্কি খেলাকে নেশা জাতীয় খেলা/নেগেটিভ খেলা হিসেবে বিবেচনা করা হত। তাস ও ছুক্কি খেলা দেখলে বয়োবৃদ্ধরা আমাদের রীতিমত দৌড়ানী (অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য তাড়া দেয়া) দিত। আর আমরা দৌড়ে পালাতাম এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। অন্যান্য খেলাগুলোও সময়ের চেয়ে বেশী সময় ধরে খেললে পুরস্কার হিসেবে মিলতো দৌড়ানী খাওয়া। এখানেও সম্মানের একটা জায়গা আছে। আমরা যদি বয়োবৃদ্ধদের সম্মান না করতার তাহলে তাদের ভয়ে দৌড়াতাম না। এখন দৌড়ানীর বিষয় তেমন একটা নেই বললেই চলে। তাহলে ছোটরা কি একেবারে ভদ্র হয়ে গেছে? তা কিন্তু নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল- বয়োজেষ্ঠ্যরা সমাজে অন্যায় হতে দেখলেও দুচোখ বন্ধ করে থাকে। এটা বড় একটা দু:খের জায়গা। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে দিতে আমাদের সমাজটা বিষে আক্রান্ত হয়ে গেছে। সমাজের শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বয়োজেষ্ঠ্যেদের দায়িত্ব পালন করতেই হবে। যেখানে অন্যায়, সেখানেই তা রুখে দিতে হবে। তা না হলে এ গুনে ধরা সমাজকে আর বাঁচানো যাবে না।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
19/03/21
আগে মানুষের প্রতি মানুষের সম্মানবোধ ছিলো অনেক। আমরা গুরুজনদের দেখলে দূর থেকে সালাম/নমস্কার দিতাম। শ্রদ্ধা করতাম। ভক্তি করতাম। সম্মান করতাম। মাঝে মাঝে পায়ে ধরেও সালাম করতাম। আমার মনে পড়ে, একবার আমি সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম। রাস্তার মধ্যে গনেশ স্যারকে ( প্রয়াত গনেশ চন্দ্র দাস, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, তুমিলিয়া বালক উচ্চ বিদ্যালয়) দেখে সাইকেল থেকে নেমে গিয়েছিলাম। স্যারকে সম্মান জানানোর জন্যই কাজটি করেছিলাম। যাদের বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার একটু অভ্যাস ছিলো তারা গুরুজনদের সামনে তা খেত না। আমরা গ্রামে অনেক ধরনের খেলা খেলতাম। যেমন- ফুটবল, দারিয়াবান্দা , কানামাছি, তাস, ছুক্কি ইত্যাদি। এর মধ্যে তাস ও ছুক্কি খেলাকে নেশা জাতীয় খেলা/নেগেটিভ খেলা হিসেবে বিবেচনা করা হত। তাস ও ছুক্কি খেলা দেখলে বয়োবৃদ্ধরা আমাদের রীতিমত দৌড়ানী (অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য তাড়া দেয়া) দিত। আর আমরা দৌড়ে পালাতাম এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। অন্যান্য খেলাগুলোও সময়ের চেয়ে বেশী সময় ধরে খেললে পুরস্কার হিসেবে মিলতো দৌড়ানী খাওয়া। এখানেও সম্মানের একটা জায়গা আছে। আমরা যদি বয়োবৃদ্ধদের সম্মান না করতার তাহলে তাদের ভয়ে দৌড়াতাম না। এখন দৌড়ানীর বিষয় তেমন একটা নেই বললেই চলে। তাহলে ছোটরা কি একেবারে ভদ্র হয়ে গেছে? তা কিন্তু নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল- বয়োজেষ্ঠ্যরা সমাজে অন্যায় হতে দেখলেও দুচোখ বন্ধ করে থাকে। এটা বড় একটা দু:খের জায়গা। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে দিতে আমাদের সমাজটা বিষে আক্রান্ত হয়ে গেছে। সমাজের শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বয়োজেষ্ঠ্যেদের দায়িত্ব পালন করতেই হবে। যেখানে অন্যায়, সেখানেই তা রুখে দিতে হবে। তা না হলে এ গুনে ধরা সমাজকে আর বাঁচানো যাবে না।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
19/03/21
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২০/০৩/২০২১আজ যেন সব শুধুই স্মৃতি।
-
ফয়জুল মহী ১৯/০৩/২০২১অসাধারণ লিখেছেন । পড়ে অনেক ভালো লাগলো৷