আমার ছেলে বেলার কিছু না বলা কথা
আমার ছেলে বেলা কাটে গ্রামে। ছেলে বেলার কথা ভাবতে এখনও খুব ভালো লাগে আমার। মনটা যেন একেবারে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। তখনকার কিছু কথা মনে করলে এখনও মনটা পুলকিত হয়। কিন্তু এখনও এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা আমি পাই না। হয়তো বা নিছক আনন্দের জন্যই তা করেছি অথবা হয়তো বা নিছক বোকামীর জন্যই করেছি। তো যাহোক, আমি একজন কৃষকের সন্তান। আমাকে আমাদের অনেক উৎপন্ন দ্রব্য নিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে যেতে হতো তা বিক্রি করার জন্য। যেমন আমি অনেক বার দুধ বিক্রয় করে চেপা কিনে এনেছি যা বলাই বাহুল্য। ধান, পাট, সবজি, পেয়াজ, মরিচ ইত্যাদি বিক্রি করার জন্য আমি অনেক বার কালীগঞ্জ বাজারে গিয়েছি। একদিন ডিম নিয়ে কালীগঞ্জ হাটে গিয়েছিলাম। কালীগঞ্জ হাট থেকে আসার সময় আমার রিক্সায় চড়ার খুব ইচ্ছা হলো। আমি তখন ডিম বিক্রির টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে খালি হাতে বীরদর্পে বাড়িতে চলে এসেছিলাম। আমার তখন ভাবখানা এমন ছিলো যেন বিশ্ব জয় করে বাড়িতে চলে এসেছি আর কি।
ছেলে বেলায় আমার গাড়িতে চড়ার খুব শখ ছিলো। কোন গাড়িতে চড়তে পারলে আমার খুবই আনন্দ লাগতো। মনে হতো, আমি যেন স্বর্গ সুখ উপলব্দি করছি। তাই ছোট বেলায় কোন গাড়ি দেখলে ঐ গাড়ির পেছনে পেছনে দৌড়াঁতাম। যদি গাড়িটা একটু ধরা যায় এই লোভে। আশির দশকে আমাদের এলাকায় ট্রাক্টরের মত কিছু গাড়ি চলতো। এগুলোকে আমরা ইচার মাথা বলতাম। এই ইচার মাথার পিছনে কত যে দৌড়িয়েছি আমি তার কোন হিসাব নেই।
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা, ১৮/৮/২০
ছেলে বেলায় আমার গাড়িতে চড়ার খুব শখ ছিলো। কোন গাড়িতে চড়তে পারলে আমার খুবই আনন্দ লাগতো। মনে হতো, আমি যেন স্বর্গ সুখ উপলব্দি করছি। তাই ছোট বেলায় কোন গাড়ি দেখলে ঐ গাড়ির পেছনে পেছনে দৌড়াঁতাম। যদি গাড়িটা একটু ধরা যায় এই লোভে। আশির দশকে আমাদের এলাকায় ট্রাক্টরের মত কিছু গাড়ি চলতো। এগুলোকে আমরা ইচার মাথা বলতাম। এই ইচার মাথার পিছনে কত যে দৌড়িয়েছি আমি তার কোন হিসাব নেই।
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা, ১৮/৮/২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২০/০৮/২০২০সুন্দর
-
কুমারেশ সরদার ১৮/০৮/২০২০সাধুবাদ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৮/০৮/২০২০nostalgic...