ঈদ বিচিত্রা -০১
•▪◆☆শস্য ও জমিন:
এ ভরা বর্ষায় যেখানে শস্যডুবানো পানি চারিদিকে,
তারি উপর ভেলায় চড়ে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে একটি ভূমিহীন পরিবার;
তেমনি হয়তো পৃথিবীর অপর এক মরুর প্রান্তে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে আছে জনৈক বেদুইন। এক ফোটা পানি!
আহ! বুঝলে কমরেড!খোদার জমিন কতই না বৈচিত্র্যময়।।
তার পছন্দের উটটাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো সে কোরবানি দিবে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে খোদার কাছে ফরিয়াদ এক পশলা বৃষ্টির।।। হচ্ছে না।
কোরবান! বিসর্জন, পরিত্যাগ, শব্দগুলো খুবই কাছাকাছি। স্থান, অবস্থান ও ব্যক্তিভেদে খোদা একেকজনের কাছ থেকে একেক উপায়ে আদায় করে নেন। মাঝেমধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় মানুষদের।
•▪◆☆মাতৃত্ব :
বনমধ্যে তাড়কা রাক্ষসী যখনি বালকশিশুর রক্ত মাংসকে আহার্য ভাবিয়া নিজেকে মাংশাসীরূপে প্রমাণ করতে উদ্যত হবে, তখনি নবজাতকের নির্মোহ চাহনী দেখিয়া তাহার মাঝে সুপ্ত মাতৃত্ব জাগ্রত হইয়া পড়িবে একথাই বা কে জানিত। মাংশাসীমহলে কূলমান রক্ষার সংকট, নিন্দার ঝড়।
•▪◆☆ঈদ :
হাটে অবিক্রিত যে ছাগশিশু গোয়ালে রহিয়া গিয়েছে, তাহারিই মূলত কালকে ঈদ, আনন্দের সীমা নেই।।
আনন্দ করতে করতে একদিন তার গোয়ালের সামনে কোরবানি ঈদ চলে আসবে। সঙ্গে আসবে কসাই। বড় ঈদ! কোরবানির ঈদ!! বড়ই বিচিত্র তাইনা?
•▪◆☆আয়েশা :
আয়েশা! মনে পড়ে যায় তোমার কথা!
কোলাহল মোড়ানো নাফিসা হল ঈদের ছুটিতে শূন্যতায় হাহাকার। পাড়ার সব মেয়েদের মেহেন্দি দেওয়া শেষ হলে তোমার হাতে তুমি একাকী মেহেন্দি দিবে আপন মনে। বাড়িতে তোমার মায়ের ঈদ বলতে সারাদিন মেহমানদারি করা আর চুলোর কাছে দৌড়াদৌড়ি। রুটির খামির গোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একগুচ্ছ চুল
সিথি থেকে কর্ণছেদে নেমে যাওয়া।।।
তার নতুন শাড়ি এখনো সাজানো সিরামিকসের প্লেটের মতো পরিদৃশ্যমান আলমারিতে রাখা।।
কখন পড়তে পারবে ঠিক জানা নেই। ঈদ চলে যেতে থাকে। গোস্ত রুটির ঘ্রাণ শেষ হয়ে যায় যায়.....!
আয়েশার মায়ের নতুন শাড়ি পড়া আর হয়না।
•▪◆☆মাংশতত্ত্ব:
আমি শুধু ভাবি আমার মস্ত বড় গেইটের ফাকে
মুখঢাকা নারীদের মাঝে এক কিশোরের সফেদ হাত
চেয়ে আছে নতজানু হয়ে একটুকরো মাংসের আশায়.............! হায় খোদা আমার হাতকে প্রশস্ত করে দাও,পাষাণ হৃদয়, প্রস্তরময় নফসকে কোমল করে দিন,
তাদের নিকট যেন আমি তাদের মুখের ইকটু হাসির খোড়াক হতে পারি।।
মানুষ কতভাবেই না নিজেকে কোরবানি দিচ্ছে এই
পবিত্র ঈদে, পশুর সঙ্গে মানুষও কোরবানি হয়ে যাচ্ছে , মানুষের শখ, আহ্লাদ, সবকিছু।।
আল্লাহ্ ভালো রাখুন সবাইকে।
✍ সুসঙ্গ শাওন
সোমবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এ ভরা বর্ষায় যেখানে শস্যডুবানো পানি চারিদিকে,
তারি উপর ভেলায় চড়ে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে একটি ভূমিহীন পরিবার;
তেমনি হয়তো পৃথিবীর অপর এক মরুর প্রান্তে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে আছে জনৈক বেদুইন। এক ফোটা পানি!
আহ! বুঝলে কমরেড!খোদার জমিন কতই না বৈচিত্র্যময়।।
তার পছন্দের উটটাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো সে কোরবানি দিবে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে খোদার কাছে ফরিয়াদ এক পশলা বৃষ্টির।।। হচ্ছে না।
কোরবান! বিসর্জন, পরিত্যাগ, শব্দগুলো খুবই কাছাকাছি। স্থান, অবস্থান ও ব্যক্তিভেদে খোদা একেকজনের কাছ থেকে একেক উপায়ে আদায় করে নেন। মাঝেমধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় মানুষদের।
•▪◆☆মাতৃত্ব :
বনমধ্যে তাড়কা রাক্ষসী যখনি বালকশিশুর রক্ত মাংসকে আহার্য ভাবিয়া নিজেকে মাংশাসীরূপে প্রমাণ করতে উদ্যত হবে, তখনি নবজাতকের নির্মোহ চাহনী দেখিয়া তাহার মাঝে সুপ্ত মাতৃত্ব জাগ্রত হইয়া পড়িবে একথাই বা কে জানিত। মাংশাসীমহলে কূলমান রক্ষার সংকট, নিন্দার ঝড়।
•▪◆☆ঈদ :
হাটে অবিক্রিত যে ছাগশিশু গোয়ালে রহিয়া গিয়েছে, তাহারিই মূলত কালকে ঈদ, আনন্দের সীমা নেই।।
আনন্দ করতে করতে একদিন তার গোয়ালের সামনে কোরবানি ঈদ চলে আসবে। সঙ্গে আসবে কসাই। বড় ঈদ! কোরবানির ঈদ!! বড়ই বিচিত্র তাইনা?
•▪◆☆আয়েশা :
আয়েশা! মনে পড়ে যায় তোমার কথা!
কোলাহল মোড়ানো নাফিসা হল ঈদের ছুটিতে শূন্যতায় হাহাকার। পাড়ার সব মেয়েদের মেহেন্দি দেওয়া শেষ হলে তোমার হাতে তুমি একাকী মেহেন্দি দিবে আপন মনে। বাড়িতে তোমার মায়ের ঈদ বলতে সারাদিন মেহমানদারি করা আর চুলোর কাছে দৌড়াদৌড়ি। রুটির খামির গোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একগুচ্ছ চুল
সিথি থেকে কর্ণছেদে নেমে যাওয়া।।।
তার নতুন শাড়ি এখনো সাজানো সিরামিকসের প্লেটের মতো পরিদৃশ্যমান আলমারিতে রাখা।।
কখন পড়তে পারবে ঠিক জানা নেই। ঈদ চলে যেতে থাকে। গোস্ত রুটির ঘ্রাণ শেষ হয়ে যায় যায়.....!
আয়েশার মায়ের নতুন শাড়ি পড়া আর হয়না।
•▪◆☆মাংশতত্ত্ব:
আমি শুধু ভাবি আমার মস্ত বড় গেইটের ফাকে
মুখঢাকা নারীদের মাঝে এক কিশোরের সফেদ হাত
চেয়ে আছে নতজানু হয়ে একটুকরো মাংসের আশায়.............! হায় খোদা আমার হাতকে প্রশস্ত করে দাও,পাষাণ হৃদয়, প্রস্তরময় নফসকে কোমল করে দিন,
তাদের নিকট যেন আমি তাদের মুখের ইকটু হাসির খোড়াক হতে পারি।।
মানুষ কতভাবেই না নিজেকে কোরবানি দিচ্ছে এই
পবিত্র ঈদে, পশুর সঙ্গে মানুষও কোরবানি হয়ে যাচ্ছে , মানুষের শখ, আহ্লাদ, সবকিছু।।
আল্লাহ্ ভালো রাখুন সবাইকে।
✍ সুসঙ্গ শাওন
সোমবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৪/০৬/২০২৫নাইস
-
ফয়জুল মহী ১০/০৬/২০২৫লিখেছেন,, শুভ কামনা সতত
-
ইকরামুল শামীম ০৯/০৬/২০২৫চমৎকার উপলব্ধি। শুভেচ্ছা রইলো
-
রবিউল হাসান ০৯/০৬/২০২৫আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন।