আয়েশা নামা-৩
চাঁদরাত এলেই পাশের বাড়ির মেয়েরা খোঁজ নেয় আয়েশার। কেননা আয়েশার মতো এতো সুনিপুণ মেহেদীর ডিজাইন আশেপাশে কেউই দিতে পারেনা।
সে অবশ্য এই কাজে বেশ আনন্দ পায়।
আয়েশার কাছে ঈদ মানেই ব্যস্ততামুখর বাচ্চাদের হাতে মেহেদী লাগিয়ে দেওয়া, ভোরে উঠে বিছানায় নতুন চাদর বিছানো ও পছন্দের খাবার রান্না করা।
শৈশবের সেই ঈদের আড়ম্বরতা এখন আর নেই। তরুণীরা ঘুমিয়েই পবিত্র ঈদ পালন করে যা দেখছি
আয়েশাও এবারও তার ঈদ স্বভাবসুলভ বাড়িতেই কাটিয়েছে।।
বর্ষা বাদলের দিনে ঈদ মানেই ঘুরতে যাওয়ার আয়োজন সব পণ্ড। আয়েশার মামার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো তাও হলোনা। ইকটু পর গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি। বাড়িতে কোরবানি ও ঈদের নামাজে যার দরুন কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষ্যে মায়ের হাতের মাংস- রুটি খেয়ে আয়েশার দিনগুলো বেশ ভালোই কাটছিলো।।
ধীরে ধীরে মাংসের থেকে দূরে গিয়ে খাবারের মেনু পরিবর্তন হতে থাকে। আয়েশা বুঝতে পারে ঈদের ছুটি ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। নাফিসা হলের অপরাজিতা গাছটা তার শূণ্যতায় খানিকক্ষণের জন্য বেহুশ হয়ে পড়ছে বোধহয় ।
কেউ হয়তো তার যত্ন নিচ্ছে। পানি দিচ্ছে।
কিন্তু তার হাতের স্পর্শ তো আর পাচ্ছেনা তাই না।
এই ভেবে মাঝেমধ্যে আয়েশার বেশ মন খারাপ হয়ে যায়।
সেই সুবাদেই আয়েশা তার প্রয়োজনীয় বই পত্র, ব্যক্তিগত ডায়েরিটা, কাপড়গুলো গোছাচ্ছে ;
নিজ গন্তব্যে ফিরে যাবে নতুন করে অগোছালো জীবনটাকে আবারো গুছানোর জন্য।
আয়েশা ফিরবে কাল নাফিসা হলের অপরাজিতা গাছের নিকট; শহরে যে তার একমাত্র সখা।
ব্যস্ত কলেজ রোড, মুখরিত সন্ধ্যার কলেজ মাঠ।
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে খোলাচুলে আয়েশা।
মাঝেমধ্যে চাঁদের আলো এসে পড়ছে তার মুখাবয়বে। স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছেনা।
আয়েশা🌸
সে অবশ্য এই কাজে বেশ আনন্দ পায়।
আয়েশার কাছে ঈদ মানেই ব্যস্ততামুখর বাচ্চাদের হাতে মেহেদী লাগিয়ে দেওয়া, ভোরে উঠে বিছানায় নতুন চাদর বিছানো ও পছন্দের খাবার রান্না করা।
শৈশবের সেই ঈদের আড়ম্বরতা এখন আর নেই। তরুণীরা ঘুমিয়েই পবিত্র ঈদ পালন করে যা দেখছি
আয়েশাও এবারও তার ঈদ স্বভাবসুলভ বাড়িতেই কাটিয়েছে।।
বর্ষা বাদলের দিনে ঈদ মানেই ঘুরতে যাওয়ার আয়োজন সব পণ্ড। আয়েশার মামার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো তাও হলোনা। ইকটু পর গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি। বাড়িতে কোরবানি ও ঈদের নামাজে যার দরুন কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষ্যে মায়ের হাতের মাংস- রুটি খেয়ে আয়েশার দিনগুলো বেশ ভালোই কাটছিলো।।
ধীরে ধীরে মাংসের থেকে দূরে গিয়ে খাবারের মেনু পরিবর্তন হতে থাকে। আয়েশা বুঝতে পারে ঈদের ছুটি ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। নাফিসা হলের অপরাজিতা গাছটা তার শূণ্যতায় খানিকক্ষণের জন্য বেহুশ হয়ে পড়ছে বোধহয় ।
কেউ হয়তো তার যত্ন নিচ্ছে। পানি দিচ্ছে।
কিন্তু তার হাতের স্পর্শ তো আর পাচ্ছেনা তাই না।
এই ভেবে মাঝেমধ্যে আয়েশার বেশ মন খারাপ হয়ে যায়।
সেই সুবাদেই আয়েশা তার প্রয়োজনীয় বই পত্র, ব্যক্তিগত ডায়েরিটা, কাপড়গুলো গোছাচ্ছে ;
নিজ গন্তব্যে ফিরে যাবে নতুন করে অগোছালো জীবনটাকে আবারো গুছানোর জন্য।
আয়েশা ফিরবে কাল নাফিসা হলের অপরাজিতা গাছের নিকট; শহরে যে তার একমাত্র সখা।
ব্যস্ত কলেজ রোড, মুখরিত সন্ধ্যার কলেজ মাঠ।
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে খোলাচুলে আয়েশা।
মাঝেমধ্যে চাঁদের আলো এসে পড়ছে তার মুখাবয়বে। স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছেনা।
আয়েশা🌸
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৩/০৭/২০২৩সু্ন্দর অনেক শুভ কামনা জানাই
-
ফয়জুল মহী ১২/০৭/২০২৩সুন্দর উপস্থাপন
-
অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী ১২/০৭/২০২৩দারুন
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১২/০৭/২০২৩বেশ সুন্দর