দুর্ঘটনা
নিজের চোখে দেখা নয়, কানে শোনা। পাড়ায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা। তার বর্ণনা দেওয়ার আগে বলি হঠাৎ দুর্ঘটনা নিয়ে লিখতে বসলাম কেন? যা শুনেছি, তা না বললে হালকা হতে পারছি না। শুনেছি বাবার মুখে- বাবা আমাকে বলে হালকা হয়েছেন, আমি আপনাদের বলে হালকা হতে চাই।
আমাদের গড়িয়ার তালতলার কাছে অবস্থিত বাসনা কালী বাড়ির সামনে ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। বাসনা কালী বাড়ির থেকে আমাদের বাসা হাঁটা পথে পাঁচ মিনিট। বাবা তখন বাজার করে ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে আটটা হবে। ঘটনা স্থল থেকে বাবা তখন প্রায় দশ হাত দূরে। একদিক থেকে রিক্শা চালক যাত্রী নিয়ে আসছে, অপর দিক থেকে ছুটে আসছে বাইক আরোহী। ব্যাস্ মুখোমুখি সংঘর্ষ। বাসনা কালী বাড়ির পাশেই বাঁধানো পুকুর, নাম আদি গঙ্গা। রিক্শা চালক ও যাত্রী সমেত পুকুরের বাঁধানো সিঁড়ি দিয়ে গড়াতে গড়াতে সোজা গিয়ে পড়ে পুকুরের জলে। সে এক রক্তারক্তি কাণ্ড। বাইক আরোহীর কোনো আঘাত লাগেনি। তার তো বাইকের গতি কমানো উচিত ছিল।
ভিড় জমতে বেশি সময় লাগে না। বাইক আরোহীকে ঘিরে ফেলল জনতা। তাকে কোনো মতেই ছাড়া যাবে না।
বাবাকে ফোনে একটার পর একটা প্রশ্ন করতে লাগলাম। বাবাও উত্তর দিতে লাগলেন।
"জল থেকে চালককে আর যাত্রীকে লোকে তুলল"?
"আমি ওদিকে আর তাকাই নি, বয়স হয়েছে, ওসব দেখা যায়"।
"বাইক আরোহীকে লোকজন কি মারছিল"?
"ধরে রেখেছিল, তারপর আর জানি না, ওদিকেও দেখিনি"।
"পুলিশে খবর দেয়নি"?
"বলতে পারবো না, আমার ঘাম দিচ্ছিলো, আমি বাসার দিকে পা বাড়াই"।
সাংঘাতিক ব্যাপার! যে রাস্তা দিয়ে সাইকেল ও রিক্শা চলে, সেই রাস্তা দিয়ে বাইক বা অটো না চালানোই উচিৎ কিন্তু কোনো উপায় নেই- মানুষ বেশি, রাস্তা কম, যানবাহন প্রচুর, ফলে একই রাস্তায় সবাই ভিড় করে। উপায় নেই জানা সত্ত্বেও কেন কোনো সচেতনতা নেই? যতদিন না মানুষ সচেতন হচ্ছে, ততদিন কড়া আইন করেও কোনো লাভ নেই। বাইক আরোহীকে আটকে না রেখে নিজেদের অহেতুক বীরত্বকে আটকে রাখা উচিত, তাতে বেশি ফল পাওয়া যাবে।
মা কালী রিক্শা চালক ও যাত্রীকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তুলুন। বাইক আরোহীকে জনতা নয়, কেবল আইন শাস্তি দিক। এই প্রার্থনাই করি।
আমাদের গড়িয়ার তালতলার কাছে অবস্থিত বাসনা কালী বাড়ির সামনে ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। বাসনা কালী বাড়ির থেকে আমাদের বাসা হাঁটা পথে পাঁচ মিনিট। বাবা তখন বাজার করে ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে আটটা হবে। ঘটনা স্থল থেকে বাবা তখন প্রায় দশ হাত দূরে। একদিক থেকে রিক্শা চালক যাত্রী নিয়ে আসছে, অপর দিক থেকে ছুটে আসছে বাইক আরোহী। ব্যাস্ মুখোমুখি সংঘর্ষ। বাসনা কালী বাড়ির পাশেই বাঁধানো পুকুর, নাম আদি গঙ্গা। রিক্শা চালক ও যাত্রী সমেত পুকুরের বাঁধানো সিঁড়ি দিয়ে গড়াতে গড়াতে সোজা গিয়ে পড়ে পুকুরের জলে। সে এক রক্তারক্তি কাণ্ড। বাইক আরোহীর কোনো আঘাত লাগেনি। তার তো বাইকের গতি কমানো উচিত ছিল।
ভিড় জমতে বেশি সময় লাগে না। বাইক আরোহীকে ঘিরে ফেলল জনতা। তাকে কোনো মতেই ছাড়া যাবে না।
বাবাকে ফোনে একটার পর একটা প্রশ্ন করতে লাগলাম। বাবাও উত্তর দিতে লাগলেন।
"জল থেকে চালককে আর যাত্রীকে লোকে তুলল"?
"আমি ওদিকে আর তাকাই নি, বয়স হয়েছে, ওসব দেখা যায়"।
"বাইক আরোহীকে লোকজন কি মারছিল"?
"ধরে রেখেছিল, তারপর আর জানি না, ওদিকেও দেখিনি"।
"পুলিশে খবর দেয়নি"?
"বলতে পারবো না, আমার ঘাম দিচ্ছিলো, আমি বাসার দিকে পা বাড়াই"।
সাংঘাতিক ব্যাপার! যে রাস্তা দিয়ে সাইকেল ও রিক্শা চলে, সেই রাস্তা দিয়ে বাইক বা অটো না চালানোই উচিৎ কিন্তু কোনো উপায় নেই- মানুষ বেশি, রাস্তা কম, যানবাহন প্রচুর, ফলে একই রাস্তায় সবাই ভিড় করে। উপায় নেই জানা সত্ত্বেও কেন কোনো সচেতনতা নেই? যতদিন না মানুষ সচেতন হচ্ছে, ততদিন কড়া আইন করেও কোনো লাভ নেই। বাইক আরোহীকে আটকে না রেখে নিজেদের অহেতুক বীরত্বকে আটকে রাখা উচিত, তাতে বেশি ফল পাওয়া যাবে।
মা কালী রিক্শা চালক ও যাত্রীকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তুলুন। বাইক আরোহীকে জনতা নয়, কেবল আইন শাস্তি দিক। এই প্রার্থনাই করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
