মাতৃভাষায় কথা বলা ২
ওপর দিকে থুতু ফেললে সেটা কোথায় পড়ে? খুব সোজা উত্তর- নিজের গায়ে। বাঙালি ভাবে যে সে যত বাংলা ভাষাকে অপমান করবে, সে তত বড় হবে। বাঙালিদের এটা ভালচার (শকুন), কালচার (সংস্কৃতি) নয়। অন্য সকল জাতি নিজেদের মাতৃভাষাকে দারুণ মর্যাদা দেয়। মাতৃভাষাকে বড় করে দেখানোই তাদের সংস্কৃতি। কথায় বলে, নিজের সম্মান নিজের কাছে- অন্য সকল জাতি নিজের সম্মান নিজের কাছে ধরে রাখতে জানে, যা আমরা জানি না। প্রবাসী বাঙালি বাংলা ভাষায় কথা বলেই না, বাংলা ভাষা পড়া তো দূরের কথা! তাই আমরা নিজেদের কাছে নিজেরাই ছোট হই। মাতৃভাষাকে অসম্মান করে কখনোই বড় হওয়া যায় না।
শ্রমিকরা যখন মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য বন্দি হচ্ছে, তখন প্রবাসী বাঙালির দল কি চোখে কাপড় বেঁধে ঘুমোচ্ছে? অন্য জাতিকে এমন করা হলে পুরো রাজ্য জ্বলে উঠবে। শ্রমিকদের বন্দি দশাকে হাতিয়ার করে আমাদের রাজারানীরা নিজেদের লাভক্ষতির হিসাব করছেন। এতে কি সাধারণের দুঃখ মুছে যাবে? সাধারণের পাশে সাধারণ না দাঁড়ালে, সাধারণের দুঃখ কোনো দিন যাবে না। আসলে আমরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করি আর অন্য জাতির কাছে মহান সাজি। অন্য সকল জাতির নিজেদের মধ্যে তলে তলে মিল, তারা অপরকে অহেতুক সহ্য করে না, তাই তাদের ভাষাকে ছোট করার সাহস কোনো রাজার নেই। তাদের ভাষাকে ছোট করলে, তারা রাজার মুখ বন্ধ করে দেবে, রাজা তখন কথা বলার কোনো ভাষাই খুঁজে পাবেন না।
আসলে আমরা কাঁকড়ার জাতি, একজন ওপরে উঠতে চাইলে, তিনজন মিলে তাকে টেনে নামিয়ে দেয়। নিজের লোকের ভালো আমরা নিজেরাই দেখতে পারি না, নিজের লোকের খারাপ দেখলেই আমাদের ভালো লাগে। এই কারণেই আমরা সব জায়গায় মার খাই- শিক্ষা থাকলেও সেই অনুপাতে সম্মান পাই না। এই কারণেই আমরা মনের দিক থেকে চাকর, মনের দিক থেকে মনিব হয়ে ওঠার আমাদের সৎসাহস নেই। আমরা চাকরি করতে ভালোবাসি আর নিজের ভাই বোনেদের পিছনে লাগতে ভালোবাসি।
মোট কথা নিজের মাতৃভাষাকে ভালো না বাসলে কোনো দিনও নিজের জাতিকে ভালোবাসা যাবে না আর জাতির মধ্যে মিল না থাকলে প্রবাসে গিয়ে কেবল শ্রমিক কেন আমাদের রাজারানীদেরও বিপদে পড়তে হবে। তাই আমাদের শ্রমিক থেকে মালিক, রাজা থেকে ভিখারি সকলে বাংলা ভাষার চর্চা করুন, বাঁচান বাংলাকে, বাঁচান বাঙালিদের।
সমাপ্ত
শ্রমিকরা যখন মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য বন্দি হচ্ছে, তখন প্রবাসী বাঙালির দল কি চোখে কাপড় বেঁধে ঘুমোচ্ছে? অন্য জাতিকে এমন করা হলে পুরো রাজ্য জ্বলে উঠবে। শ্রমিকদের বন্দি দশাকে হাতিয়ার করে আমাদের রাজারানীরা নিজেদের লাভক্ষতির হিসাব করছেন। এতে কি সাধারণের দুঃখ মুছে যাবে? সাধারণের পাশে সাধারণ না দাঁড়ালে, সাধারণের দুঃখ কোনো দিন যাবে না। আসলে আমরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করি আর অন্য জাতির কাছে মহান সাজি। অন্য সকল জাতির নিজেদের মধ্যে তলে তলে মিল, তারা অপরকে অহেতুক সহ্য করে না, তাই তাদের ভাষাকে ছোট করার সাহস কোনো রাজার নেই। তাদের ভাষাকে ছোট করলে, তারা রাজার মুখ বন্ধ করে দেবে, রাজা তখন কথা বলার কোনো ভাষাই খুঁজে পাবেন না।
আসলে আমরা কাঁকড়ার জাতি, একজন ওপরে উঠতে চাইলে, তিনজন মিলে তাকে টেনে নামিয়ে দেয়। নিজের লোকের ভালো আমরা নিজেরাই দেখতে পারি না, নিজের লোকের খারাপ দেখলেই আমাদের ভালো লাগে। এই কারণেই আমরা সব জায়গায় মার খাই- শিক্ষা থাকলেও সেই অনুপাতে সম্মান পাই না। এই কারণেই আমরা মনের দিক থেকে চাকর, মনের দিক থেকে মনিব হয়ে ওঠার আমাদের সৎসাহস নেই। আমরা চাকরি করতে ভালোবাসি আর নিজের ভাই বোনেদের পিছনে লাগতে ভালোবাসি।
মোট কথা নিজের মাতৃভাষাকে ভালো না বাসলে কোনো দিনও নিজের জাতিকে ভালোবাসা যাবে না আর জাতির মধ্যে মিল না থাকলে প্রবাসে গিয়ে কেবল শ্রমিক কেন আমাদের রাজারানীদেরও বিপদে পড়তে হবে। তাই আমাদের শ্রমিক থেকে মালিক, রাজা থেকে ভিখারি সকলে বাংলা ভাষার চর্চা করুন, বাঁচান বাংলাকে, বাঁচান বাঙালিদের।
সমাপ্ত
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৪/১০/২০২৫সঞ্জীবনী কলমে মাধুর্যমণ্ডিত লেখায় আলোকিত মন প্রাণ।
