মাতৃভাষায় কথা বলা ১
মাতৃভাষায় কথা বলা কি পাপ? মার্তৃভাষা মানুষের রক্তে। কোনো মানুষ তার রাজ্যের বাইরে বা দেশের বাইরে, যেখানেই থাকুন না কেন মাতৃভাষায় তিনি কথা বলবেনই, যতক্ষণ তার শরীরে রক্ত বইছে। এতো মা আর মাটির টান। এর মধ্যে রাজার নীতি ঢুকলো কিভাবে? রাজার কি মা নেই? রাজার কি মাটির টান নেই? না, রাজার গায়ে রক্ত নেই? রক্তাল্পতা রোগে আক্রান্ত তিনি! রাজা কি নিজের মা ও মাটিকে অস্বীকার করেন? অনেক প্রশ্ন উঠে আসছে এখানে। এবার আসি কাজের কথায়।
মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য বহু জায়গায় শ্রমিকদের বন্দি করা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। তাদের পেটের ভাত, পরনের জামাকাপড়, মাথার ছাদ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি তৃষ্ণার জলও। কি তাদের অপরাধ? তারা মাতৃভাষায় কথা বলেছে। কোথাও কোথাও শ্রমিকদের সময় মতো বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও আবার তারা কাজ করে বেতন পাচ্ছে না। যত রকম ভাবে অত্যাচার করা যায়। এই অত্যাচার কেবল একটাই রাজ্যের শ্রমিকদের ওপর করা হচ্ছে। মানুষের ক্ষমতার লোভ নেকড়ের থাবার থেকেও হিংস্র। বলি হচ্ছেন অসহায় মানুষ। গণতন্ত্র এখানে নির্ভয়া অভয়াদের মতোই অসহায়।
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে- অর্থাৎ রাজার সাথে রাজার লড়াই। কিন্তু রাজাদের লড়াইতে জনতা শামিল হয় না। এটা মধ্যযুগের রাজাদের লড়াই নয় যে জনতাকে জোর করে শামিল করানো হবে, জনতা নিজে থেকে না আসতে চাইলেও। এখন জনতা চালাক- সে সুযোগ বুঝে দলে ঢোকে, আবার সুযোগ খুঁজে দল থেকে বেরিয়েও যায়। তাই বলছিলাম রাজাদের লড়াইটা যেন জনতার লড়াইতে পরিণত হয়, তা না হলে মায়ের অপমান, মাটির অপমান। যতক্ষণ না এই লড়াইটা জনতার লড়াই হচ্ছে, শ্রমিকদের দুঃখ কেউ মেটাতে পারবে না। কোনো রাজা কেন, স্বয়ং ভগবানও পারবেন না।
এবার প্রশ্ন হল, এই লড়াইটা কেন জনতার লড়াই হয়ে উঠতে পারেনি, কেবল রাজদরবারে সীমাবদ্ধ থেকেছে? এর কারণ আমরা কাঁকড়ার জাতি- একজন উঠতে চাইলে, তিনজন টেনে নামিয়ে দেয়। আমরা চাটুকার- আমাদের মধ্যে যে যত ওপরতলার পিছনে তেল দেয়, সে তত ওপরে ওঠে। আমাদের পেটের খিদের নাম পরনিন্দা ও পরচর্চা, আর মনের খিদের নাম হুজুগ ও গুজব। তাই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে এই আত্মঘাতী জাতির আসল রূপ জানতে হবে।
চলবে
মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য বহু জায়গায় শ্রমিকদের বন্দি করা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। তাদের পেটের ভাত, পরনের জামাকাপড়, মাথার ছাদ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি তৃষ্ণার জলও। কি তাদের অপরাধ? তারা মাতৃভাষায় কথা বলেছে। কোথাও কোথাও শ্রমিকদের সময় মতো বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও আবার তারা কাজ করে বেতন পাচ্ছে না। যত রকম ভাবে অত্যাচার করা যায়। এই অত্যাচার কেবল একটাই রাজ্যের শ্রমিকদের ওপর করা হচ্ছে। মানুষের ক্ষমতার লোভ নেকড়ের থাবার থেকেও হিংস্র। বলি হচ্ছেন অসহায় মানুষ। গণতন্ত্র এখানে নির্ভয়া অভয়াদের মতোই অসহায়।
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে- অর্থাৎ রাজার সাথে রাজার লড়াই। কিন্তু রাজাদের লড়াইতে জনতা শামিল হয় না। এটা মধ্যযুগের রাজাদের লড়াই নয় যে জনতাকে জোর করে শামিল করানো হবে, জনতা নিজে থেকে না আসতে চাইলেও। এখন জনতা চালাক- সে সুযোগ বুঝে দলে ঢোকে, আবার সুযোগ খুঁজে দল থেকে বেরিয়েও যায়। তাই বলছিলাম রাজাদের লড়াইটা যেন জনতার লড়াইতে পরিণত হয়, তা না হলে মায়ের অপমান, মাটির অপমান। যতক্ষণ না এই লড়াইটা জনতার লড়াই হচ্ছে, শ্রমিকদের দুঃখ কেউ মেটাতে পারবে না। কোনো রাজা কেন, স্বয়ং ভগবানও পারবেন না।
এবার প্রশ্ন হল, এই লড়াইটা কেন জনতার লড়াই হয়ে উঠতে পারেনি, কেবল রাজদরবারে সীমাবদ্ধ থেকেছে? এর কারণ আমরা কাঁকড়ার জাতি- একজন উঠতে চাইলে, তিনজন টেনে নামিয়ে দেয়। আমরা চাটুকার- আমাদের মধ্যে যে যত ওপরতলার পিছনে তেল দেয়, সে তত ওপরে ওঠে। আমাদের পেটের খিদের নাম পরনিন্দা ও পরচর্চা, আর মনের খিদের নাম হুজুগ ও গুজব। তাই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে এই আত্মঘাতী জাতির আসল রূপ জানতে হবে।
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১৬/১০/২০২৫অসাধারণ অনুভূতির প্রকাশ।