আর হিংসা নয়
হিংসা কেবল অফিসের সহকর্মীদের মধ্যে অথবা ইস্কুলের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বাইরের থেকেও বেশি হিংসা ঘরে। সহকর্মীদের মধ্যে পদোন্নতির কারণে হিংসা আর বন্ধুদের মধ্যে লেখাপড়ার হিংসা, কিন্তু ঘরের ভিতর ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পত্তি লোটার হিংসা আর বোনে বোনে গয়না পাওয়ার হিংসা। ঘরের হিংসা বাইরের হিংসার থেকেও সাংঘাতিক। কথার আছে রক্তের সম্পর্ক ঠকায়। ঠিক তাই, বাইরের হিংসা দেউলিয়া করে দেয় না, যা ঘরের হিংসা করে দেয়। রক্তের সম্পর্কের থেকে যত দূরে থাকবেন, ততই মঙ্গল। বন্ধু বাড়ান, সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন, এতে আপনারই লাভ। ছোট বেলার লেখাপড়ার হিংসা বড় বেলাতে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসায় দাঁড়িয়ে যায়। এটা ঘরের হিংসার মতো সাংঘাতিক না হলেও ভয়ংকর। হ্যাঁ, মা বাবা পরম বন্ধু। তাদের সব আঙুল কাটলে একই ব্যথা লাগে, তবু তাদের পাঁচটা আঙুল সমান নয়।
কলি যুগে হিংসা ছাড়া মানুষ বাঁচে না। আমি আপনি হিংসা ছাড়া বেঁচে কি করবো? ভয় হয় যদি নিজেকে হিংসা করতে শিখি, তাহলে নিজের হিংসার আগুনে নিজেই জ্বলে ছাই হয়ে যাব!
আমি নয়, আমরা- এই বোধ থাকাটা এ যুগে বিশেষ দরকার। আমি-তে নিজের প্রতি অতি বিশ্বাস প্রকাশ পায়, এটা অহংকারের ফল। 'আমরা' শব্দটা বিশ্বাসের ফল, এতে গর্ব বা অহংকার প্রকাশ পায় না, যেটা প্রকাশ পায়, সেটা ভ্রাতৃত্ব।
আমি তুমি করেই মানুষ মরে। আমি এটা পেয়েছি, তুমি ওটা পাওনি; তুমি ওটা পেয়েছো, আমি এটা পাইনি। আরে আমি খালি হাতে এসেছি, খালি হাতেই যাব; তুমিও তাই। তাহলে তফাৎ কি থাকলো?
আমরা সবাই ভালো। আমরা সবাই এক দলে। চলো আমরা তোমাদের দলে নাম লেখাই, এসো তোমরাও আমাদের দলে নাম লেখাও। তখন সবাই 'আমরা' হয়ে যাবে, 'তোমরা' বলে কিছু থাকবে না। এতে হিংসা কমবে, বাড়বে ভ্রাতৃত্ব। বিশ্বকে বাঁচাতে গেলে এটার সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আমি মারা গেলেও 'আমরা' শব্দটা কখনও মরবে না; 'আমরা' শব্দটা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে 'তুমি' ও 'তোমরা' শব্দ গুলো আপনিই হারিয়ে যাবে।
সময়ের নিরিখে বিচার করলে জীবন কতটুকু! তার মধ্যে এত রক্ত মানুষকে দেখতে হচ্ছে কেন? চারদিকে কেবল হানাহানির খবর। বহু জায়গায় রক্ত ঝরে না, কিন্তু নোংরা রাজনীতির শিকার হয় মানুষ। মনে রাখবেন রাজনীতির উৎস কিন্তু ঘরেই, ঘর থেকেই তার ময়দানে পা রাখা। ঘরে বাইরে যেখানেই বলুন, দলাদলি বন্ধ করতে হবে। আমরা একটাই দল, মানুষের দল, আর কোনো পরিচয় আমাদের নেই। বেঁচে থাকার জন্য সকল মানুষকেই মানুষের দলে নাম লেখাতে হবে। কিন্তু বাস্তব এটাই বলে, মানুষ বেঁচে থাকতে চায় মানুষের দলে নাম না লিখিয়ে। এর কারণে একদিন মানুষই মানুষের বিপদ হয়ে দাঁড়াবে!
কলি যুগে হিংসা ছাড়া মানুষ বাঁচে না। আমি আপনি হিংসা ছাড়া বেঁচে কি করবো? ভয় হয় যদি নিজেকে হিংসা করতে শিখি, তাহলে নিজের হিংসার আগুনে নিজেই জ্বলে ছাই হয়ে যাব!
আমি নয়, আমরা- এই বোধ থাকাটা এ যুগে বিশেষ দরকার। আমি-তে নিজের প্রতি অতি বিশ্বাস প্রকাশ পায়, এটা অহংকারের ফল। 'আমরা' শব্দটা বিশ্বাসের ফল, এতে গর্ব বা অহংকার প্রকাশ পায় না, যেটা প্রকাশ পায়, সেটা ভ্রাতৃত্ব।
আমি তুমি করেই মানুষ মরে। আমি এটা পেয়েছি, তুমি ওটা পাওনি; তুমি ওটা পেয়েছো, আমি এটা পাইনি। আরে আমি খালি হাতে এসেছি, খালি হাতেই যাব; তুমিও তাই। তাহলে তফাৎ কি থাকলো?
আমরা সবাই ভালো। আমরা সবাই এক দলে। চলো আমরা তোমাদের দলে নাম লেখাই, এসো তোমরাও আমাদের দলে নাম লেখাও। তখন সবাই 'আমরা' হয়ে যাবে, 'তোমরা' বলে কিছু থাকবে না। এতে হিংসা কমবে, বাড়বে ভ্রাতৃত্ব। বিশ্বকে বাঁচাতে গেলে এটার সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আমি মারা গেলেও 'আমরা' শব্দটা কখনও মরবে না; 'আমরা' শব্দটা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে 'তুমি' ও 'তোমরা' শব্দ গুলো আপনিই হারিয়ে যাবে।
সময়ের নিরিখে বিচার করলে জীবন কতটুকু! তার মধ্যে এত রক্ত মানুষকে দেখতে হচ্ছে কেন? চারদিকে কেবল হানাহানির খবর। বহু জায়গায় রক্ত ঝরে না, কিন্তু নোংরা রাজনীতির শিকার হয় মানুষ। মনে রাখবেন রাজনীতির উৎস কিন্তু ঘরেই, ঘর থেকেই তার ময়দানে পা রাখা। ঘরে বাইরে যেখানেই বলুন, দলাদলি বন্ধ করতে হবে। আমরা একটাই দল, মানুষের দল, আর কোনো পরিচয় আমাদের নেই। বেঁচে থাকার জন্য সকল মানুষকেই মানুষের দলে নাম লেখাতে হবে। কিন্তু বাস্তব এটাই বলে, মানুষ বেঁচে থাকতে চায় মানুষের দলে নাম না লিখিয়ে। এর কারণে একদিন মানুষই মানুষের বিপদ হয়ে দাঁড়াবে!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০২/০৭/২০২৫অতুলনীয় কাব্যিক উপস্থাপন করেছেন।
-
জে এস এম অনিক ০২/০৭/২০২৫সুন্দর