www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

চিড়িয়াখানা

সংসার অর্থে চিড়িয়াখানা!

কত রকমের জীব আটকে চার দেওয়ালের মধ্যে।
কত রকমের জীব হেঁটে বেড়ায় কংক্রিটের জঙ্গলে।
কত রকমের জীব খেলা দেখায় দিনে রাতে।
কত রকমের জীব চিৎকার পাড়ে সময়ে অসময়ে।

জঙ্গলের বাঘ এক প্রকার হিংস্র,
খাঁচায় বন্দি বাঘের চরিত্র আলাদা-
যেমন আদিম মানুষ ও সভ্য মানুষের মধ্যে ফারাক।

সিংহ দেখলে মায়া লাগে-
রাজ মহিমা থেকে সদা বঞ্চিত।
গুণীর মান নেই।

হাতি নিজের শরীরটা দেখতে পায় না-
দেখতে পেলে হয়ত অত ছোট জায়গায় থাকত না।
চার দেওয়ালের পায়রার খোপ এক নিমেষে
ভেঙ্গে করে দিত খানখান।

হরিণ নিশ্চিন্ত,
বাঘ তাকে কখনোই শিকার করবে না।
কিন্তু এই সুখ কজনের আসে!

গণ্ডারের সারা গায়ে কাদা-
খড়্গের ব্যবহার না থাকলে যা হয়।

জিরাফের লম্বা গলা বৃথা-
তাকে মানুষ ভালবেসে পাতা খাওয়ায়,
মাথা তুলে বাঁচার অবকাশ কোথায়।

জেব্রা ডোরা কাটা,
তবু সাদা বাঘ সে নয়।

জলহস্তীর এক কোমর জলে সাঁতার!
সুস্থ জীবনে কী ভাবা যায়?

উটের পায়ে বালু লেগে নেই,
কংক্রিটের মেঝের ওপর দাঁড়িয়ে।
সুস্থ মানুষের চিন্তার বাইরে!

বাঁদর যতই সভ্যতার আলো দেখুক,
সে বাঁদরই, তার বাঁদরামির সীমা নেই।
অতি সভ্য গায়ে জামা কাপড় রাখে না ।

ঘরিয়াল চাতালে শুয়ে
ছাউনির তলে রোদ পোহায়।
চাতালের পাশে অল্প একটু প্রাণের জল,
তাতে খেলে বেড়ায় কয়েকটা জীবন্ত মাছ।
গঙ্গার বাহন দূষণের শিকার।

সাপেদের ঘর আলাদা-
কাঁচের ভিতর তারা থাকে।
বিষাক্ত জ্ঞান সবার টনটনে।

কত পাখী আসে যায়,
রেখে যায় না কোনও সমৃদ্ধি মাখা সুখের চিহ্ন।
স্বাধীন মানেই বেপরোয়া।
বন্দি পাখির খাঁচায় মরা মাছের আঁশটে গন্ধ!
বর্ষায় ময়ূর পেখম মেলে না!

সকল জীবকে নিয়ে লেখা হল না
কারণ এখনও সকল মানুষের সাথে পরিচয় হয়ে ওঠেনি।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৬৩৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০২/১২/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast