www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বেজন্ম

পড়ন্ত বিকেল।
এক খণ্ড সোনালী রোদ পানির উপরে পড়ে ঝিকমিক করছে। নদীর উপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু বাতাস ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের সৃষ্টি করছে, যা রোদের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর নদীর পাশে দাঁড়িয়ে আনমনে পানির দিকে চেয়ে আছে দীপু। দীপু সবেমাত্র বার বছরে পা দিয়েছে। এই বারো বছরে দীপু তার জীবন থেকে সব হারিয়ে ফেলেছে। দীপুর বেচে থাকার একমাত্র সম্বল তার দাদী| পানি আর রোদের এই খেলার সাথে সাথে দীপুও খেলেই চলেছে। বার বার হাঁটু পানিতে নেমে যাচ্ছে আর রোদটাকে ধরার চেষ্টা করছে। এমনি করে কখনোবা নদী, কখনোবা ক্ষেতের ধারে, আবার কখনোবা আমের মুকুলের সাথে খেলা করে দীপুর দিন কাটে। গায়ে কাদামাটি করে সেদিনকার মত সন্ধ্যার দিকে দীপু বাড়ী ফিরল। দীপুর এই অবস্থা দেখে দাদী তো রেগে আগুন। চিৎকার করে বলতে থাকলেন-

এই পোলাডার লগে আমি আর পারুম না। সারাডা দিন আমার জানডারে পাগল কইরা দিল। ক্যান যে ওর বাপ-মায়ে…। বলেই থেমে যায়|তারপর কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকে। এবার কোন রকমে উঠে এসে, সবকিছু খুলে দিয়ে দীপুকে গোসল করানো শুরু করে দিলো। বয়সের কারনে তেমন একটা কাজ-কাম করতে পারে না। আজ এ-গ্রাম কাল ও-গ্রাম ঢু মেরে সেদিনকার মত নিজেদের জন্য কিছু জোগাড় করতে পারলেই হলো। এভাবে চলে যাচ্ছে দীপুদের সংসার।

সন্ধ্যা হলেই দীপুকে নিয়ে ওর দাদী খেতে বসে আর পুবের স্মৃতিগুলো বার বার আওড়াতে থাকে। দীপুও অনেক আগ্রহ নিয়ে শোনে সেই সব কথাগুলো। গোসল শেষে আজও ওরা খেতে বসেছে। দীপু খেয়েই চলেছে। কিন্ত দাদী খাচ্ছে না, ভাত গুলোর মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে শুধু এদিক ওদিক নাড়াচ্ছে। দীপু বলে উঠল-
দাদী তুমি খাইতাছ না ক্যান?
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দাদী জবাব দিল-
তুই বুঝবার পারবি নারে দীপু। যুদ্ধের সময় এই ভাতের লাগি, তোর বাপ-দাদায় কত যে কষ্ট কইরাছে। আর ওহন তুইও করতাছস।
দীপু অনেক আশা নিয়েই বলল-
যুদ্ধের সময় দাদাগো খাওন দিত না দাদী?
বুকভরা কষ্ট নিয়ে দাদী জবাব দিল-
তহন সক্কলেই নিজেগো জান লইয়া পালাইত। খাওন দিবো কেডায়?
হঠাত হাসি ভরা মুখ নিয়ে দাদী বলল-
একদিন অনেক রাত্তিরে তোর বাপ-দাদায় আইলো। আশা করছিল খাইয়া আবার চইলা যাইবো। হাড়িতে কোন খাওন না পাইয়া আমারে ডাইকা উঠাইলো|তোর দাদায় কইল-আমাগো একটু ভাত খাওয়াইবা। যহন তোর বাপেগো ভাত দিলাম, ওগো আনন্দ দেহে কেডা। তোর বাপে কইল-মারে কত্তদিন যে এমন ভাতের মুখ দেখি নাই। পাত্থর খাই না ভাত খাই কিছু বুঝবার পারি নারে মা। মনে হয়, এই বারে দেশডা স্বাধীন হইব। আমি ওগো কইলাম- আমি সারাডা রাইত তোগো লাইগা খাওন লইয়া বইসা থাকুম। তোরা আইসা খাইয়া যাস বাপ আমার। পোলাডায় হাসে আর কয়-মারে, ভাত খাইতে আইলে যুদ্ধ করবো কেডা। দেশডারে স্বাধীন করবো কেডা। খাওনের সময় নাইরে মা। দেশ স্বাধীন কইরাই তোর হাতের খাওন খামু|রাগ করিস না মা।

দাদীর গাল বেয়ে পানি ঝরছে। দেশও স্বাধীন হইল। তোর বাপ-দাদাও গেল। লগে লগে আমাগো কপাল থাইকা ভাত কাপড়ও লইয়া গেল। দীপু কথাগুলো শোনে আর চোখের পানিতে বালিশ ভেজায়। আর একটা সময় দাদীর আদর পেয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে দাদীও সেটা বুঝতে পারে না।

সকাল থেকে চারিদিকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আজ দীপুর দাদী বাইরে যেতে পারেনি। দীপু তার দাদীর কোলে বসে বৃষ্টি দেখছে। একটা সময় দীপু বলে উঠল-
দাদী খিদা লাগছে, একটু খাওন দিবা।
দাদী কি বলবে বুঝতে পারছে না। দীপু আবারও বলে উঠল-
ও দাদী, খিদায় যে পেট জ্বলে।
ঘরে কোন খাবার নেই। দাদী নিরুপায় হয়ে বলল-
আইজগা না খাইয়া থাকবার পারবি নারে দীপু। তোর আগুন আমি নিভাইমু কি দিয়া।
দীপু আনন্দের সাথে বলে উঠল-
দাদী না হয় আইজগা আমিই যায়। তুমি তো প্রতিডা দিনই যাও।
দাদী কোন কথা বলতে পারলো না। অবাক হয়ে তিনি দীপুর দিকে চেয়ে থাকলেন। কৌতহলবশত দীপু বলে উঠল-
আচ্ছা, দাদী আমাগো কিছু আছিল না|
দীঘশ্বাস ছেড়ে দাদী জবাব দিল-
বহুত কিছুই আছিলরে বাপ।
হঠাত আগুন মাখা চোখে তিনি বলে উঠলেন-
আল্লা ওরে ধংস করুক, জাহান্নামি হ, সব্বাই বেইমান।
দীপু বলে উঠল-
কারে কও দাদী?
দীপুর দাদী বলতে শুরু করলো-
তহন যুদ্ধ শেষ। সব্বাই যার যার বাড়ী ফিইরা আইলো। কয়ডা দিন চইলা গেল, তোর বাপ-দাদায় আর আহে না|পরে জানবার পারলাম, ওরা আর বাইচা নাই। বুক চাপড়াইয়া কত কানলাম, কেউ আগাইয়া আইলো না।
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। আবার আগুন মাখা চোখে বলে উঠলেন-
সুযোগ বুইঝা সিকদার আমাগো সক্কল জমিগুলান দহল কইরা লইলো। আমি একলা মানুষ সক্কলের দ্বারে দ্বারে গিয়া কইলাম, কোন কাম হইল না|সিকদার কইলো- যুদ্ধে যাওনের আগে রহমত মিয়া আমার কাছ থাইকা পাচ হাজার টাহা লইয়া গেছে। আমি কইলাম এত টাহা দিয়া কি করবা? রহমত কইলো, যুদ্ধে যাইতাছি, দেশডারে স্বাধীন করুম। যুদ্ধে যাইয়া থাকতে খাইতে টাহা লাগবো না। কত্তদিন বাদে দেশডা স্বাধীন অইবো সেডা তো আর কওন যায় না। কইলো, জমিগুলান রাইখা টাহাটা দেন। দেশ না বাচলে জমি দিয়া কি করুম। আগে নিজের দেশ তারপরে জমিন।
দীপুর দাদীর চোখে পানির থেকে এখন ক্রোধের পরিমানটা অনেক বেশি|দা্দী বলতে থাকলেন-
সব বজ্জাত। ওই হারামীর ব্যাটার লাগি আইজগা আমার দীপুর এত কষ্ট। আল্লায় সইবে নারে, আল্লায় সইবে না।
কিছুক্ষণ থামার পর আবার শুরু করলেন-
মইরা যাওনের পর আল্লার কাছে গিয়া কমু, হে আল্লা এই জন্যই কি সহল সুখ আল্লাদ ছাইড়া, বুকে পাত্থর বাইন্দা স্বামী-সন্তানেরে যুদ্ধে দিছিলাম|কাগো জন্য ওরা যুদ্ধ করলো। সব বেইমান। পরনের কাপড় কারলো, জমি কারলো সব কাইরা নিল ওই বেইমানেরা। তুমি ওগো বিচার কইরো।

কথাগুলো শুনতে শুনতে খাবারের কথা এখন আর দীপুর মনে নেই। এমন কতদিন না খেয়ে কেটেছে সে্টা মনে নেই দীপুর। সেদিন অবিরাম ধারায় বৃষ্টি পড়তে থাকলো।
দীপু এখন বুঝতে শুরু করেছে। এখন সে বেজন্মা শব্দটির অথ বুঝে। দীপুর বেজন্মা হবার ইতিহাসটা তার দাদীর কাছ থেকে শোনা। একদিন রাতে পাকিস্তানী বাহিনী দীপুর বাপ-দাদাকে খুজতে ওদের বাড়ীতে আসে। ওদের না পেয়ে দীপুর মাকে তুলে নিয়ে যায়। তখনও দীপুর জন্ম হয়নি। বেশকিছু দিন নির্যাতনের পর দীপুর মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে সবাই তাকে পাকিস্তানিদের দেহরক্ষিতা বলে ডাকা শুরু করে। দীপু জন্মের আট মাস পরে দীপুর মা মারা যায়। দেহরক্ষিতা বলে গ্রামের মুসলিম সমাজ কবর পর্যন্ত দিতে বাধা দেয়। তাদের মতে-এসব নষ্টা, দেহরক্ষিতার কবর এই বাংলার মাটিতে দিয়ে বাংলার মাটিকে কলংকিত করা যাবে না। তখন দীপুর বাপ-দাদার কোন খবর নেই। দীপুর দাদী অনেক ধরাধরির পর মাঠের মাঝখানে পুতে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। সে জন্যই সবাই ধরে নেয় দীপু পাকিস্থানী দোসরদের ফসল। তাই দীপুকে সবাই বেজন্মা বলে ডাকে। দীপুকে সেটা শুনতেই হবে। কারন, আজ তার স্বাধীন বাংলার আকাশ আছে কিন্ত বাংলার বুকে তার স্বাধীনতা নেই।

দীপুর পড়াশোনা শেখার খুবই স্বাধ ছিল। যখন দীপুর সমবয়সীরা স্কুলে পড়তে যেত, কেবল তখনই দীপুর নিজেকে অনেক দুঃখী মনে হত। স্কুলে কি পড়ায়, কিভাবে পড়ায় তা দেখার এবং শোনার জন্য প্রায়ই দীপু স্কুলের পেছনটায় দাঁড়িয়ে থাকত। আর বাকী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিজের পড়ার চর্চাটা করে ফেলতো। এভাবে দীপু অনেক কিছুই শিখেছিল। একদিন স্কুলের মনোরঞ্জন নামের এক হিন্দু মাষ্টার দীপুকে দেখে ফেলল। সাথে সাথে দীপুকে ধরে আনা হলো। এই দুনিয়াতে দীপুর বলার মত কেউ নেই বলে, দীপুকে সমানে বেত্রাঘাত করা হল। আর বলতে থাকলেন-
ছিঃ, ছিঃ, এত্তদিনে দেবতারা স্কুলে আওন-যাওন করতো। এই বেজন্মার আওনের ফলে দেবতারা সব চইলা গেল রে। কারন ওযে অপবিত্র রে। এহন মহাগুরু মহাদেব মুখ ফিরাইয়া লইবে যে, ধংস নামবো এহানে। সক্কলে স্কুলডারে তাড়াতাড়ি গোবর দিয়া ভাল কইরা ছাপ কইরা ফেল। আবার যদি তোরে এই স্কুলের ধারে দেহি, তোরে আর আস্ত রাহুম না।
মার খেয়ে রাতে তেড়ে জ্বর এলো দীপুর। জ্বরের প্রকোপে দীপু প্রলাপ বকতে থাকতে-
মারে, তুমি আমারে নিয়া চলো। আমারে ক্যান একলা রাইখা চইলা গেলা। সক্কলে আমারে বেজন্মা কইয়া গালি দেয়। খালি মারে, আর পারি নারে মা। বাবারে পাঠাও না মা। বাবার কোলে চইড়া আমি আবার তোমার কোলে ফিরা যাই।

এভাবে প্রায় পনের দিন পর দীপুর জ্বর ভালো হইলো। দীপুর সেবা করতে গিয়ে দাদীর শরীরে হাড় ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। দীপুকেও ঠিক চেনা যাচ্ছে না।

আজ অনেকদিন বাদে দীপু আবার খেলতে বাইরে এসেছে। আজ তার খেলার সাথী ক্ষেতের ফসল। মাঠের মাঝখান দিয়ে দীপু পাখির মত ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে। হঠাত পায়ে হোচট খেয়ে দীপু পড়ে গেল। পেছন ফিরে তাকাতেই দেখতে পেল একটা মাথার খুলি। দীপু খুলিটাকে কোলে নিয়ে পরম স্নেহে নিজের জামা দিয়ে মুছতে থাকে। একটা সময় খুলিটা নিয়ে দীপু বাড়ী ফিরল। দীপুর হাতের খুলিটাকে দেখে এবং দীপুর বর্ণনা শুনে দীপুর দাদী কাঁদতে শুরু করলো। বলতে লাগলেন-
ফিরা আইলি আবার। কি দেখনের লাগি ফিরা আইলি। দেখ বউ তোর পোলা কেমন বড় হইতাছে। বাপের কোলে চইড়া বাপকে দেখতে আইলি বউ।

দীপুর আর বুঝতে বাকি রইল না। এটা দীপুর মায়ের খুলি। আবার মাকে কাছে পেয়ে দীপুর খুশির অন্ত নেই। দীপু প্রতিদিন খুলিটাকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে রাখে। দীপু মনের মত করে মায়ের খুলিটাকে সাজিয়েছে। কপালে টিপ, মাথার উপরে একখণ্ড লাল রঙয়ের কাপড় আরো কত কি। প্রতিদিন মায়ের কপালে চুমু দেয় আর হাসে। যখনই কেউ বেজন্মা বলে গালি দেয়, তখনই মায়ের খুলিটাকে কোলের উপর বসিয়ে নিয়ে মায়ের সাথে কত কথাই না বলতে থাকে।

আজ কয়েকদিন হলো দীপুর দাদী বিছানায় পড়ে আছে। নাওয়া-খাওয়া সব বন্ধ। দীপু দিন-রাত দাদীর সেবা করে যাচ্ছে। এখন সন্ধ্যা নেমেছে। দীপুর দাদীর চোখের কোনায় পানি জমে উঠেছে। দাদী দীপুর হাত ধরে পাশে বসালো। দাদীর কণ্ঠে আজ অন্যরকম সুর। দাদী কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলতে শুরু করলেন-
আমি আর বাচুম নারে বাপধন। তুই আর এইহানে পইড়া থাহিস নারে দীপু। দুরে বহুত দূরে চইলা যাস। যেহানে কেউ তোরে আর বেজন্মা কইয়া গালি দিব না। এহানে তুই বাঁচবার পারবি নারে জানের ধন। চইলা যাস। তোর লাইগা কষ্ট হইতাছে। তোরে এহন কেডায় দেখবো।

এমনিই আরো অনেক কথাই বলতে থাকলেন। সকাল হবার অনেক আগেই সবাইকে ছেড়ে দীপুর দাদীও চলে গেল। এখন এ পৃথিবীতে কাদবার জন্যও দীপুর আর কেউ রইল না। দীপু তার কয়েকটা ছেড়া জামা আর প্যান্ট একটা পুটলিতে গুছিয়ে নিল। এবার দীপু বাড়ীর বাহির হল। এক হাতে তার কাপড়ের পুটলি আর অন্য হাতে মায়ের মাথার খুলি। দীপু গ্রামের মাঝপথ বেয়ে হেঁটে চলেছে। গ্রামের শেষ মাথায় পা দিয়ে পেছন ফিরে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিল তার বেড়ে ওঠা গ্রামটার দিকে। এবার মায়ের মাথার খুলিটাকে উপরে তুলে বলতে থাকলো-
মারে তোমরা সক্কলে আমারে একলা রাইখা চইলা গেলা। আমি এহন কোনখানে যামু, কার কাছে থাকুম, কি খাইয়া বাচুম, আমারে কইয়া দেও মা। আমি কি দোষ করছিরে মা। একটু খাওনের লাগি সক্কলেই আমার পেটে লাথি মারে। বেজন্মা কইয়া বাড়ী থাইকা বাইর কইরা দেয়। আমি আর সইতে পারি নারে মা।
শুধু দীপুর মা নয়। দীপুর মায়েদের মত লক্ষ নারীর কণ্ঠ থেকে চারিদিকে ধ্বনিত হতে লাগলো-
আমরা ভুল কইরাছিরে বাজান, ভুল কইরাছি। আমরা কাগো লাইগা যুদ্ধ করলাম, কাগো লাইগা মাসের পর মাস নিযাতন সহ্য করলাম। শুধু এই দেশডারে বাচামু বইলা। কি যে কষ্ট সহ্য কইরাছিরে বাজান। সব্বাইরে বলবার চাই-
মরনের আগে কেউ কি জাহান্নাম দেইখাছ, আমরা দেইখাছি, আমরা সহ্য কইরাছি সেই জাহান্নামের কষ্ট। শুধু এই দেশডার লাগি, আমাগো সন্তানের লাগি। তবুও তোমাগো মাটিতে আমাগো জায়গা হয় না। হ, আমরা নষ্টা, আমরা দেহরক্ষিতা খালি এই দেশডার লাগি।

লক্ষ কণ্ঠের এই ধ্বনিগুলোকে বাতাস এপাশ থেকে ওপাশে ছড়িয়ে দিছিলো। কারন, এই বাংলার বাতাসও যে চিরঋনি দীপুর মায়েদের মত লক্ষ নারীর কাছে।
এবার দীপু মাথার উপর মায়ের খুলিটাকে নিয়ে অজানার পথে খালি পায়ে হাঁটতে থাকলো।

http://www.shobdoneer.com/saidur-rahman/73813
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১০৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৯/১০/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • রইসউদ্দিন গায়েন ০৪/১১/২০১৪
    প্রিয় লেখক-বন্ধু সাইদুর রহমান,
    গল্পটি 'ভাল','অসাধারণ','খুব সুন্দর' ইত্যাদি ব'লে মন্তব্য করলে মন্তব্য করার দায়ভার থেকে হয়তো হয়তো সাময়িক মুক্তি পাওয়া যায়,কিন্তু গল্পটির সঠিক মূল্যায়ণ করা হয় না। দীপুর মা-বাবা-দাদির বিদেহী আত্মার প্রশ্ন: 'সিকদার নামের ওই মানুষ-শিকারীদের বিচার করবে কে বা কা'রা? রহমতের আত্মত্যাগ, দীপুর মায়ের মৃত্যুর পরে বাংলা মাটিতে কবর না দিতে দেওয়া ধর্মপশুরা এবং দীপুকে 'বে-জন্ম' আখ্যা অস্পৃশ্যতার দোহাই দিয়ে তার প্রতি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ করা স্বদেশী নরপশুদের বিচার করবে কে বা কা'রা?...এসব প্রশ্নের সদুত্তর প্রত্যাশিত।...আরও লিখুন, এমন নির্যাতিত মানুষদের কথা। ভাল থাকবেন!
  • আফিয়া খাতুন মলি ৩১/১০/২০১৪
    অসাধারণ
  • পঞ্চাশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুজছি। ভালাে লাগলো লেখাটা।
  • রেনেসাঁ সাহা ২৯/১০/২০১৪
    অসাধারণ। ভীষণ ভালো লাগল।............শুভকামনা নিরন্তর।
  • শিমুল শুভ্র ২৯/১০/২০১৪
    খুব সুন্দর - সাহিত্যে শব্দ বিন্যাসে দারুণ লাগলো ভাব টা । ভালো থাকুন ।
 
Quantcast