www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এক বৃন্তে দুটি কুসুম ৩য় অংশ

-:১ম ও ২য় অংশের পরঃ-
---আমাকে ভুল বুঝো না স্বপ্না। তোমাকে নিজের বোনের মতই আপন ভাবি।আসলে মা কারও সাহায্য নিতে রাজি হবেন কিনা সন্দেহ।
---আমি মাসিমাকে বুঝিয়ে বলবো।
---দেখো,মা যদি রাজি হয়।
মা অবশ্য প্রথমে রাজি হন নি। স্বপ্না বলেছিল , মাসিমা, সরিফুলদা আমার জীবন বাঁচিয়েছে,তাই সরিফুলদার জন্য আমাকে এইটুকু অন্তত করার সুযোগ দিন। নইলে সারা জীবন ঋণী থেকে যাবো।
---দেখো,সরিফুল ওর কর্তব্য করেছে মাত্র,যে কেউ তা করতো,এর জন্য ঋণী থাকার কী আছে।
---কিন্তু মাসিমা,বোন কি দাদার জন্য এইটুকু করতে পারে না? আপনার মেয়ে হয়ে এই অনুরোধটুকু করছি,না রাখলে বড় দুঃখ পাবো।
     অবশেষে মা রাজি হলেন।বললেন,যা দেবে তোমার বাবা-মাকে জানিয়ে দেবে।
আনন্দে আমার মাকে জড়িয়ে ধরেছিল স্বপ্না, আপনি বড় ভালো মাসিমা। তারপর থেকে আমার লেখাপড়ার সমস্ত খরচ স্বপ্নাই বহন করতে লাগলো।

            আর একদিনের কথাও আমার আজ  মনে পড়ছে। সেদিন ছিল ্ভাইফোঁটা।পাড়ার সব মেয়েদের ভাইকে ফো্ঁটা দিতে দেখে স্বপ্নার মন খুব খারাপ হয়ে গেল। বাড়ি ফিরে মাসিমাকে বললো,মা আমি ভাইফোঁটা দেবো।
    মাসিমা অবাক হয়ে বললেন,্সে কি, তোর ভাই কোথায় যে ফোঁটা দিবি?
  স্বপ্না বললো---কেন, সরিফুলদা তো আমার দাদা হয়,আমি সরিফুলদাকে ফোঁটা দেবো।
---বেশ তো, তাই দে। মেয়ের জিদে অগত্যা রাজি হতেই হয় মাসিমাকে।
                               
                                        (আগামীকাল ৪র্থ ও শেষ পর্ব)
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৪১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৭/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • বেশ লেগেছে সহিদ ভাই
  • אולי כולנו טועים ২৭/০৯/২০১৩
    chhoto ...kintu hridoye gethe gelo !!
  • Înšigniã Āvî ২৭/০৯/২০১৩
    অনবদ্য........
    শেষটা জানার জন্য মন উতলা
    • সহিদুল হক ২৭/০৯/২০১৩
      আন্তরিক ধন্যবাদ।
 
Quantcast