শেষ ঈদ
ঈশান—একটা নাম, একটা স্বপ্ন, আর বাবা-মায়ের একমাত্র আশ্রয়। শহরতলির এক ভাঙাচোরা বাসায় জন্ম তার। বাবা আব্দুল কাদের একজন ছোট চাকুরে, প্রায় দিন গোনে মাসের শেষে টানাটানির হিসেব মেলাতে। মা সাহিদা বেগম সংসার সামলান কষ্ট আর ভালোবাসার জোড়া হাত দিয়ে। এই নিঃসন্তান দম্পতির জীবনে ঈশানই একমাত্র আলো।
ছেলেটা ছিল চটপটে, স্মার্ট, আর বাইকের প্রতি ছিল তার এক ধরনের পাগলামো। বন্ধুদের মাঝে সবচেয়ে আগ্রহী সে রাস্তায় গতি নিয়ে কথা বলতে। অনেক দিনের অনুরোধে আর বুকের রক্ত জল করে জমানো টাকায় অবশেষে ঈশানের জন্য একটা ১৫০ সিসি স্পোর্টস বাইক কিনে দেন তার বাবা।
ঈশান যেন আকাশে ওড়ার ডানা পেলো। রাস্তা তার জন্য খেলার মাঠ হয়ে উঠল। হেলমেট না পরা, হর্ণ বাজিয়ে স্লিপিং—সব ছিল দৈনন্দিন রুটিন। বন্ধুদের সামনে নিজেকে ‘হিরো’ প্রমাণ করতে গিয়ে সে ভুলে গিয়েছিল একটা ছোট্ট ভুলেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে।
ঈদের দিন। সকালের নতুন জামাকাপড় পরে ঈশান বাইক নিয়ে বের হলো। মায়ের চোখে জল, “বাবা, একটু সাবধানে যাস”—তবু হাসিমুখে বিদায় নিল সে। বন্ধুরা মিলে শহরের ব্যস্ত সড়কে শুরু হলো বাইকের রেস। গতি... আর গতি... যেন ঈশানের চোখে মৃত্যুও হেরে যাবে।
কিন্তু বাস্তব কখনো রঙিন গল্পের মতো হয় না।
একটা মোড় ঘুরতে গিয়ে, ঈশান হারিয়ে ফেলল নিয়ন্ত্রণ। এক টুকরো রক্তমাখা লোহা আর ভাঙা হাড়ের স্তুপ হয়ে রইল রাস্তায়। ঈদের সকালটা নিমিষেই রূপ নিল এক দুঃস্বপ্নে।
হাসপাতালের করিডরে ছুটে আসা বাবা-মা পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইল ঈশানের নিথর শরীরের পাশে। ভাঙা বাইকটা পুলিশ এনে রাখল বাসার বারান্দায়। সেই বাইকটা আজও পড়ে থাকে, আর পাশে বসে থাকে একজোড়া শোকগ্রস্ত চোখ—যাদের জন্য ঈদ আর আসে না।
---
শেষ বার্তা
আজকের তরুণদের কাছে ঈশান যেন একটা বাস্তব গল্প হয়ে ওঠে। বাইক রাইড একটা রোমাঞ্চ হতে পারে, কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ কখনোই নয়। গতি কখনো জীবনকে এগিয়ে নেয় না, বরং ভুলে গেলে তা শেষ করে দিতে পারে সব।
বাবা-মায়ের কষ্টের দাম দাও। হেলমেট পরো। নিয়ম মানো।
ছেলেটা ছিল চটপটে, স্মার্ট, আর বাইকের প্রতি ছিল তার এক ধরনের পাগলামো। বন্ধুদের মাঝে সবচেয়ে আগ্রহী সে রাস্তায় গতি নিয়ে কথা বলতে। অনেক দিনের অনুরোধে আর বুকের রক্ত জল করে জমানো টাকায় অবশেষে ঈশানের জন্য একটা ১৫০ সিসি স্পোর্টস বাইক কিনে দেন তার বাবা।
ঈশান যেন আকাশে ওড়ার ডানা পেলো। রাস্তা তার জন্য খেলার মাঠ হয়ে উঠল। হেলমেট না পরা, হর্ণ বাজিয়ে স্লিপিং—সব ছিল দৈনন্দিন রুটিন। বন্ধুদের সামনে নিজেকে ‘হিরো’ প্রমাণ করতে গিয়ে সে ভুলে গিয়েছিল একটা ছোট্ট ভুলেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে।
ঈদের দিন। সকালের নতুন জামাকাপড় পরে ঈশান বাইক নিয়ে বের হলো। মায়ের চোখে জল, “বাবা, একটু সাবধানে যাস”—তবু হাসিমুখে বিদায় নিল সে। বন্ধুরা মিলে শহরের ব্যস্ত সড়কে শুরু হলো বাইকের রেস। গতি... আর গতি... যেন ঈশানের চোখে মৃত্যুও হেরে যাবে।
কিন্তু বাস্তব কখনো রঙিন গল্পের মতো হয় না।
একটা মোড় ঘুরতে গিয়ে, ঈশান হারিয়ে ফেলল নিয়ন্ত্রণ। এক টুকরো রক্তমাখা লোহা আর ভাঙা হাড়ের স্তুপ হয়ে রইল রাস্তায়। ঈদের সকালটা নিমিষেই রূপ নিল এক দুঃস্বপ্নে।
হাসপাতালের করিডরে ছুটে আসা বাবা-মা পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইল ঈশানের নিথর শরীরের পাশে। ভাঙা বাইকটা পুলিশ এনে রাখল বাসার বারান্দায়। সেই বাইকটা আজও পড়ে থাকে, আর পাশে বসে থাকে একজোড়া শোকগ্রস্ত চোখ—যাদের জন্য ঈদ আর আসে না।
---
শেষ বার্তা
আজকের তরুণদের কাছে ঈশান যেন একটা বাস্তব গল্প হয়ে ওঠে। বাইক রাইড একটা রোমাঞ্চ হতে পারে, কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ কখনোই নয়। গতি কখনো জীবনকে এগিয়ে নেয় না, বরং ভুলে গেলে তা শেষ করে দিতে পারে সব।
বাবা-মায়ের কষ্টের দাম দাও। হেলমেট পরো। নিয়ম মানো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৪/০৬/২০২৫বেশ সুন্দর
-
সুসঙ্গ শাওন ০৯/০৬/২০২৫সচেতনতামূলক লিখা। ভালো লাগলো। কলম চলুক।