www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

অর্ধসত্য ক্ষুধা

আমি শরীর দিতে চাই,
একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে উঠে পালিত কুমারী রাজহাঁস।

কথা বলার সময়ে শতশত আহত হাসির কথা মনে হয়। কে কার গন্ধ নিয়েছে মৃত ভিখেরির হাতে কর্পূরের বুকে। এই শরীরে তারাই মেতেছে যারা বুঝেছে ধ্বংসের উল্লাস।

আমার কবোষ্ণ বুকের খাঁজে শতশত রাত ওম খেয়ে পড়ে থাকে।

অথিতি পাখিদের কান্না সবটুকু নিয়ে খেলা করে , হাততালি দেয় , একা একা শুয়ে পড়ে খালি পায়ের অক্ষম অস্ত্র। ওড়না বেয়ে যে নদী নেমে আসে তার বুকে ছুড়ি চালিয়ে কাছে যাও দেখবে জলে সাতার কাটার অনেক সমস্যা।

মানুষ একা কাঁদে না, তার সাথে কাঁদে শত শত ছায়া। কাঁদে কি শুধুই চোখ ? কাঁদতে দেখেছি পুরো শরীরকে।

মানুষ মারা যায়, ভিড় বাড়তে থাকে, কিন্তু জীবিত মানুষের ভিড়ে কাঁদে দেবদারুর ঝাঁক, ফুল, পাখি , আমার একান্ত ছিন্নপত্রের শুষ্ক আগুনের নিমন্ত্রণ ।কেউ কারো কান্নার গল্প বন্ধক রাখে না। অটল ঋষির মতো কান্না ছেড়ে মানুষ সত্য খোঁজে উশৃঙ্খল প্রেমির মতো , এমন হয়েছে কখনো ?

বারান্দা জমে উঠে , শীতের জমে যাওয়া বরফ হয়ে চুম্বন করি নখের শেকড়। মাছেরা ঘুমায়, আমি নেশা করি অবেলার। সূর্যাস্ত নামলে ক্ষুধার্ত শরীরের কান্না শুনি রূপসী নদীর নাভি জুড়ে ।

মানুষ লাটিম ঘোরার মতো ঘুরে, লাটিম ঘোরার মত কাঁদে, সেওতো নেশাই।

নেশার শরীরে দ্বিধা দেখি , মানুষ ছুটছে সেও দ্বিধাই।।



।। অনির্বাণ সূর্যকান্ত।।

১৪.০৯.২০১৭
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৯৪৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/১০/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast