www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পরিস্থিতির কাঁটাতারে ১ (শেষ অংশ)

অবশেষে সুইটি ফিরোজ কে ফোনে পেল। হ্যালো , ইতর কোথাকার !ফিরোজ ফুরফুরে মেজাজে উত্তর দেয় -- অভিনয় সিখছিস, ঠিক আছে-- বেশ রাগি দেখাচ্ছে ,আগামি তে উন্নতি করবি !--- বাঁদরামি করিস না , মানবিকতা বিন্দুমাত্র বেঁচে থাকলে রেনু কে দিয়ে যা ! আর ভবিষ্যতে কোনোদিন আমাকে মুখ দেখাবি না!এবার ও ছরিত্রসুলভ উত্তর দেয় ---রেনু কি আমার পকেটে ভরা আছে, যে তোঁকে বের করে দেব। সুঁইটি এবার ক্ষেপে গিয়ে----আমাদের সমাজ ও পরিবারের মুখে চুনকালি দিয়ে আমার বোন কে নিয়ে পালিয়ে এখন মজা পাচ্ছিস! জানোয়ার কোথাকার! এবার ফিরোজ নিশ্চল পাথরের মত নির্বাক হয়ে যায় , সে কোন এক্সকিউজ না দিয়ে ফোনটা কেটে দেয় !


পরদিন সকাল ৯ টায় সবাই কে চমকে দিয়ে রেনু উপস্থিত হল ঠাকুরগোপাল ভবনে। সঙ্গে অপর্ণার ছেলে সুজয়। রেনুর পরনে লাল শাড়ি ,সিঁথি তে সিঁদুর , চোখে জল। আজ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে রেনু কে! রাগ অভিমান মুছে গেল সবার এক নিমিষে, শুধুমাত্র অপর্ণার মুখে কালো মেঘের ঘনঘতা। সুজয় একজন ইঞ্জিনিয়ার , খুব ভালো ছেলে,রেনুর উপযুক্ত পাত্র সেই বটে ! পরিবারের সকলেই চেয়েছিল সুজয়ের সঙ্গেই রেনুর বিয়ে হউক।

অপর্ণা কাউকে কিছু না বলে মুখ গোমড়া করে ভবনের কোনের নির্জন ঘরটিতে গিয়ে নিজেকে এই গোলযোগ পরিবেশ থেকে একাকীত্ব করতে চায়; কিন্তু তার একাকীত্ব অন্য একজনের একাকীত্বে বাধা সৃষ্টি করে। ঠাকুরগোপাল ভবন ও তাকে আশ্রয়শূন্য করে তোলে !
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৮৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/১০/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast