www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পরিস্থিতির কাঁটাতারে ১ (তৃতীয় অংশ)

রেনু চঞ্চল প্রকৃতির ,সুশীলা , কালো হলেও মুখশ্রী ভালো । কথাবার্তায় , কাজেকর্মে , গান করা, পড়াশুনা করা সব বিষয়েই সে মোটামুটি চৌকস । ওকে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ গর্ব সবার মনেই ছিল; সে কারনেই তাকে সবাই একটু বেশিই বিশ্বাস করত। সবাই জানত সে এমন কিছু কাজ করবে না যাতে সমাজের চোখে তাদের পরিবারের নাক কাটা যায় । কিন্তু এমন সৃষ্টিছাড়া ও করে বসতে পারে তা ছিল সবার কল্পনার বাইরে।

ভাবনা ক্রমশ দুর্ভাবনা , দুর্ভাবনা আশঙ্কায় পরিণত হল । বিয়ে বাড়ির আনন্দ ফিকে হয়ে এল সবার কাছে । বেশিক্ষণ অন্ধকারে খুঁজতে হলনা এবার খুঁজে পাওয়া গেল, তবে রেনুকে নয়; নীল কে । তাকে একা দেখে সবার মনে স্পষ্ট ধারনা জন্মাল এ কাজ ফিরোজের।

রেনু কে নিজ জিম্মায় শিলিগুড়ি নিয়ে আসা ,ফিরোজের সঙ্গে রেনুর অবাধ মেলামেশার বিরুদ্ধে কোনরূপ হস্তক্ষেপ না করা,রেনু-ফিরজের সবার অলক্ষে ঘর ছাড়া ; সমস্ত কারনের জন্যেই দোষী সাব্যস্ত করা হয় সুইটিকে ।বন্ধুর এরুপ আচরণ তাকে দিক্বিদিক জ্ঞান শূন্য করে তোলে ----সে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ।ফিরোজ কে সে ফোন করে , কিন্তু ফোনের নেটওয়ার্ক ও সঠিক টাইম এ বেইমানি করে "আপনি যে ভোডাফোন গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছেন তার সঙ্গে এই মুহূর্তে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না " এই কথাটি টেলিফোনে সে অনেকবার শুনেছে কিন্তু এইবার এই কথা টি তার রাগ কে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল।

ফিরোজের বাড়ির ফোন নম্বর সুইটির কাছে ছিল তাই অন্য কিছু না ভেবে তার বাড়িতে ফোন করে। ফিরোজের মা ফোনটা রিসিভ করে বলে -" হ্যালো কে বলছ?
--আমি সুঁইটি বলছি!
---বল মা !
ফিরোজ কোথায়?
সে তো তোমার জানার কথা ।
ন্যাকামি করেন না , ও কোথায় আছে তাড়াতাড়ি বলুন!
সুইটির কাছে এ ধরনের কথা শুনে ফিরোজের মায়ের মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়। তাহলে কি ফিরোজের কোন বিপদ হল ? এধরনের বিভিন্ন চিন্তা তাকে নিরব করে দিচ্ছিল তখন আবার সুঁইটি বলে --তোমার ছেলে এতটা নমক হারাম আগে জানতাম না ; একটা অসভ্য ইতর !
তোমরা সামাজিকতার শিক্ষা পর্যন্ত তাকে দিতে পারনি, যে থালায় খায় সেই থালায় ফুটো করে । অমানুষ একটা ।
আজ সুইটির মুখে এধরনের কথা শুনে ফিরোজের মায়ের আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছে যতটা ,তার চেয়ে বেশি অবাক হএছে এটা দেখে যে --এর আগে যে মেয়েটি ফিরোজের গুণগান নিয়ে ব্যস্ত থাকত তার কি এমন হল! তাই সে বলে উঠল --"কি হয়েছে বলবি তো ! --"ফিরোজ আমার বোন রেনুকে নিয়ে পালিয়েছে !

শিলিগুড়ির সেই জোয়ার এসে ধাক্কা দিল ফিরোজের গ্রামে। সেখানে বেঁধে গেল হুলস্থুল কাণ্ড । গ্রামের সমস্ত লোকই তাকে খুব ভালবাসে, বিশ্বাস করে --------------------- তারা সকলে শোকাহত । ফিরোজের মায়ের বিশ্বাস যে এই অভিযোগ মিথ্যা । কিন্তু যদি এটা সত্যি হয় তাহলে সে কি করবে !



------------------- চলবা-----------------------------
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৩৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/১০/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast