www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

টোনাটুনির সংসার ০৩

হাসপাতালের দিনগুলি এভাবেই তিনশত ষাট ডিগ্রীর মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিলো।দেহের ক্ষত শুকিয়ে আসছে,আমিও অনেকটা সুস্থ্য বোধ করছি।সেই রোগীটি ঘুমাচ্ছেন,পাশে ওনার স্ত্রী বসে আছেন।আমি ফেসবুকে ব্যস্ত হয়ে আছি।আজ আমার ছুটি।হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে ছুটি পাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।কিন্তু আমি কেন জানি খুব একটা খুশি হতে পারছিনা।আমার আত্নীয় স্বজন ছুটির কার্য সম্পাদনে ব্যস্ত।রুমে আমরা তিনজন।ঘুমন্ত রোগী,রোগীর স্ত্রী,কন্যা আর আমি।ফেসবুক থেকে ফিরে এসে তাকালাম সেই মেয়েটির দিকে।দেখি গভীর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।চোখের নীরব ভাষাটা বুঝতে না পারলেও বুঝতে পারছি,এই চোখের একটা আকুতি আছে।কেমন যেন অদ্ভুত চাহুনি।চোখের দিকে তাকালেই মায়ায় পরে যাই।ভাবি,মেয়েটি কি চোখে জাফরানের কাজল পড়েছে নাকি?শুনেছি,জাফরানের কাজল পড়া চোখে চোখ পড়তেই নাকি মানুষ মায়ায় পরে যায়!ভাবনার মধ্যেই নিজেকে গুছিয়ে নিলাম।আজ আমার অনাকাঙ্খিত ছুটি।
এবার আমি মেয়েটির মাকে বললাম,আন্টি,আমি তো চলে যাচ্ছি।আমার জন্য দোয়া করবেন।আন্টি আমাকে অনেক দোয়া করে দিলেন।অতঃপর, ঠিক করলাম যে মেয়েটিকে একটা সুযোগ দেওয়া দরকার।মেয়েটির সাথে কথা বললাম।নতুনকরে আবারও পরিচিত হলাম।ফেসবুকে ফ্রেন্ডশিপ হল। ফেসবুক ফ্রেন্ডশিপ অবশ্য আমার ইচ্ছাতেই হল।একটা বিষয় বুঝতে পারলাম,ফেসবুক ফ্রেন্ডশিপ পেয়ে মেয়েটি ব্যপক খুশি হয়েছে।
ইতিমধ্যে,আমি ছাড়পত্র হাতে পেয়ে গেলাম।চার পাঁচজন এসেছে আমাকে রিলিজ করতে।সবার মধ্যে একটা উদ্বেগ,যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল থেকে বেড় হয়ে যাওয়া।যথারীতি আমরা চলে এলাম।শুধু মায়া পরে রইলো।
(চলবে...)
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১০০৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৬/১১/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • খালেদ আহমদ ৩০/১১/২০১৬
    ভালো উপস্তাপন করেছেন
  • ফয়জুল মহী ২৯/১১/২০১৬
    হে পরমেশ্বর তুমি জীবনভর লেখার ক্ষমতা দাও
  • জহির রহমান ২৬/১১/২০১৬
    চমৎকার! চালিয়ে যান...
 
Quantcast