www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কোথায় কি চাওয়া জমে থাকে কোন পাড়ে

প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধের সাথে অনেক কল্পকাহিনী থাকে সেগুলো হয়তোবা পরিত্যক্ত অথবা শক্ত!
সিদ্ধান্ত গুলো তো অবশ্যই শেকড় থেকে আসে,এখন শিকড়ের অদ্যাবধি কেউ কি তল পেয়েছে?  হ্যাঁ পায়, তারাই যারা নিজেকে সপে দিতে পারে কিবা প্রস্তুত।
মঙ্গল সিদ্ধান্ত যদি শনিকে দিয়ে ফিক্সড করতে চাওয়া হয় তবে আক্ষরিক অর্থে সেটা কাঠির ভেলা হয়ে ভেসে থাকা ছাড়া অন্য কাজে অর্থহীন হয়ে পরে। মানুষ বাস্তুসংস্থান বোঝে না, রিলেট করে না! কাউকে আপনি ঠকালেন, সে কাউকে ঠকাবে,ঐ কেউ অন্য কাউকে,ঐ অন্য কেউ অন্য কাউকে............চলতে থাকলে শেষ অবধি খুঁটিটা আপনিই!
হ্যাঁ এটাই বাস্তব।
আমরা প্রত্যেকেই ঘুমন্ত অবস্থায় থাকবো জেনেও চারদেয়ালে বন্দি করি নিজেকে অথচ জেগে থাকতে খোলা সমুদ্রে আারামসে কাটিয়ে দিতে চাই। ভাবুন তো, বাতাস লাগবে না গায়ে,অনুভূত হবে না কি? সেই হাওয়া যদি ঝড়ো হয় তবে কই পালাবেন?  আবার সেই বদ্ধ ঘর!

রচনার বিষয়বস্তু যদি খিলি পানে শুরু করেন তবে তাহা আড্ডা আর যদি এয়ারকন্ডিশনে তবে তাহা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
ব্যাপারগুলো খানিকটা তালগোলে।
সামুদ্রিক মাছের যেমন প্রাননাশের হুমকি আছে তেমনটা কি কুমিড়ের নেই?
হরিণের যদি থেকে থাকে তবে বাঘের কি নেই?
আসলে সব ঘুরেফিরে রচনায় শেষ পাতায় স্থান নিতে হবে।
কতজনকে দেখেছি অস্থির খুশি নিয়ে ফিকে হয়ে যেতে আবার কেউ ফিকে হওয়া থেকে অস্তিত্ব হারিয়ে অস্থির কাণ্ড করে বসে।
এর মধ্যে প্রেম ভালোবাসার আক্কেল দাতটা বেশি জ্বালাতন করে। আমাদের বয়সের দোষ, ওপেন মিডিয়া,বক্ষ উন্মুক্ত বিশ্ব!  এসবের হাই তুলতে শেখায় না নিশ্চয়ই আবার একদমি যে এগুলো সাধুতা তাও নয়।
গত এবং আজ দিন নিশ্চিন্তে কাটাতে গিয়ে ভার্সিটি লাইফের এক ক্লোসড বন্ধুর, তার গার্লফ্রেন্ডের বার্থডে তে বিশাল আয়োজন করে পার্টি। সেই ছবি ভিডিয়োতে আমি নিজেকেও আবিষ্কার করলাম অতৃপ্ত হিসেবে!  ইশ যদি পাঁচ তারকায় আমিও গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে মধূর স্মৃতি জড়ো করতে পারতাম। আদতে এগুলো মধু নয় নিছক চিনি মেশানো মাছির ভনভন ,মৌমাছি নয়।

অতৃপ্তির কথা বলেছিলাম, সেক্ষেত্রে বাস্তব জীবনে এমন অনেককে দেখেছি সেইম জায়গায় থেকেও সে বেশি তুলছে, কাগজ! তবুও তারও অতৃপ্তি সেখানে আমার অতৃপ্তি দেখানোর সুযোগ কই।
আমি যখন মাদ্রাসা লাইফে ছিলাম, তখনকার বেশ কিছু ব্যাপার মনে পরে গেল। আসলে সিদ্ধান্ত তো সব উপরওয়ালার।
আমি অনেক সময় ফেসবুক ঘেটে দেখি যে, একটা বেশ উৎকৃষ্ট উদাহরণ। একজোড়া নৌকা,শুকনো মৌসুমে আটকে গেছে নদে। তো যদি এটাকে জোয়ার পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয় তবে মানব কারো না কারো সাহায্য লাগবে অথবা বর্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এখানে সাহায্য টা অনিশ্চিত কিন্তু বর্ষা নিশ্চিত।
কারন হলো বর্ষণের ব্যাপারটা আল্লাহর উপর ন্যস্ত আর সাহায্য টা মানুষের জন্য অপেক্ষা করা।
অতএব, আপনার আমার দূর্দিনে কেউ এগিয়ে না এলেও,কেউ সাহায্য না করলেও, আল্লাহ অবশ্যই করবেন শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা।

মাঝেমধ্যেই মানব হিসেবে আমাদের হতাশা চলেই আসে।
কাজকর্মে, জীবনধারণে, সামাজিক রীতিনীতি,সংস্কৃতিতে।
আমাদের স্ট্যাটাস নির্ধারিত হয় ছেলের ইনকামে, মেয়ে পছন্দ হয় তার সৌন্দর্যে,সুদুরপ্রসারী পারিবারিক অর্থনৈতিক সাহায্যে আসবে কিনা এসব বিবেচনায়।
আমার পরিচিত কয়েকজন মেয়ে বন্ধু আছে যারা অনেকটা শিক্ষিত,বিয়ের জন্য উপযুক্ত ছেলে পায় না কারণ ইনকাম আর ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতায় তারতম্য!
এদিকে তাদের বয়স ও বাড়ছে, শেষমেশ পূর্ববর্তীদের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় না, হনুমানের গলায় মালা বদলের মত হয়ে যাবে।
আবার বিবাহ উপযুক্ত ভাই,বন্ধু হতাশায় কাতর। কে দিবে ভবিষ্যৎ গ্যারান্টির খাম পুরে। এদের কেউ যদি উচ্চমার্গীয় চাকরী পেয়েও যায় তবে সে আবার কম বয়সী বাচ্চাকাচ্চার দিকে নজর পরে ভামবেড়াল হয়ে যায়! এসবই কালপরম্পরায়।
আসলে এসবের মূল কারনই আমাদের উচ্চাকাঙ্খা। 
আমার ধারণা উচ্চাকাঙ্খা দমানোর কোন শর্ট কোর্স চালু থাকলে মন্দের ভালো হয়ে যদি বিবেক জাগ্রত হয়!
তবে নৌকা সামনে চলতে বাধাপ্রাপ্ত হতো না, হতো না স্রোত আর সম্মুখ ভাগ সাংঘর্ষিক।
জীবন তো এমনই চায়।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৪৩৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০২/০৩/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast