www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এই বসন্তে প্রেম প্রলাপ

প্রায় একযুগের রিলেশনশিপ!
তাকে পছন্দ থেকে শুরু করে লাস্ট অবধি চলে আসলে,শেষ সিগন্যালে বাসের পেছনের সিটের মতই ঝাক্কি লাগবে। কিডনিজনিত সমস্যা কিবা কোমড়ের অবস্থা ভেবেই প্রেমের গাট্টি টানা উচিত।
মূলতঃ লেখাটা লিখছি ১৪ ই ফেব্রুয়ারী,ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে। এই এত মূলকে কখনো এই দিনে কোলাস করেছি বলে মনে হয় না! প্রেম নিয়ে আমার মানসিক দৌরাত্ম্যে ক্ষেমা নেই,যা আছে তাহা উধুর পিন্ডি বুধের ঘাড়ের মত।
চাপিয়ে দেয়া মাটনের অংশ ঘি ছাড়া গোবরের দুনিয়ায়,ঐ যে বলে না, গোবরে পদ্মফুল। প্রেম মাঝে মাঝে ঐ পদ্মফুলের মত, তুলতে যাওয়া যায় না,গন্ধ হয়ে যায়। অনেকাংশে পাটকাঠির মত মাছের টোপের সাংকেতিক চিহ্ন হয়, নিচে টেনে নিয়ে গেলে তুমি মরবে আর টেনে উপরে তুলতে পারলে ভালোবাসা পাবে!
আমি এসব নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার শৃঙ্খলা খুঁজে পাই না বরং পা উঁচিয়ে চিহ্ন রেখে যাওয়ার মত আলখাল্লার ঢপ কেতন ওড়ে।
বরাবরই আমি নিজ পছন্দে ভীড় এরিয়ে চলা মানুষ, সম্পূর্ণ নিজের মানুষের সাথে কোলাহলে হট্টগোল বাধিয়ে ক্লান্ত হওয়া পছন্দ না। সেও অবশ্য আমার মতই ছিলো। হ্যাঁ, বন্ধুদের সাথে উরাধুরা কনসার্ট নাচ করতে সিদ্ধ পা! আমি এমনই, স্যান্ডো গেঞ্জি কে গেঞ্জি ই আর শার্টকে শার্ট ই মানি, স্যান্ডো কখনো শার্টের বিকল্প হতে পারে না। তাই অতি নিজের সুরক্ষিত কিছু লুকিয়ে রাখাই ভালো। ভালোবাসা লুকিয়ে হ্যালো বলুক,এটাই দপ্তর পরিপূর্ণ হওয়ার মত অনুভব।
আমি এই দিবস টিবস আসলেই কিছু মানুষের হাপিত্যেশ ছিটাতে দেখি অনলাইন মাধ্যমে, এসব চুলকানির সমতুল্য! লক্ষ্য করলে দেখবেন, নিজের বার্থডে সেলিব্রেশন এ হুইস্কি ফুইস্কি নাচায় বাট অপরের কেক কাটাও আদিখ্যেতা লাগে!
ডে আসলে মানুষকে পুরাতন কিছু নতুন করিয়ে মনে করিয়ে দিতে সক্ষম। এসব ক্যালেন্ডারের পাতায় গোল্লা করে রেখে দেওয়া মানুষটাই গোছানো মানুষ,হয়তো প্রেমিক-প্রেমিকা।
প্রেম ১২ বছর বরশী বাওয়ার মত হোক,ধরা তো দিবেই মৎসকন্যা। ছিপ নিও না জলে সইগো,নামিও না ডুবতে বসা নিঃশ্বাসের শেষ বুদবুদ উসকে দিতে,কে আছো জলের তলায়!
আমাদের দেশে ভ্যালেন্টাইন্স ডে মানে কারগিল সীমান্তে যুদ্ধ লেগে যাওয়া অবস্থা, মনে হচ্ছে রাত ১২ টা বাজতেই কামান লাগিয়ে দেয়ার মত। বিশেষ করে মোবাইলের নেটওয়ার্কের দৌড়াদৌড়ি তো অবাক করা কান্ড! কার প্রেম কার ঘরে ফুসকি দিয়ে পৌছে দিয়ে যাবে তার প্রতিযোগিতা। এইসব মোবাইল অপারেটরদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
গত ভ্যালেন্টাইন্স থেকে আমি রাত ১২ টা হলেই ছাদে উঠি, আশপাশ চোখ বুলিয়ে নেমে যাই।ঘটনা একটা ঘটেছিল,আমার বাড়িওয়ালার পিচ্চি মেয়ে কেমনে কেমনে যেন মোবাইল নিয়ে ছাঁদে তো এত রাতে আমাকে দেখে সেও অবাক আমিও অবাক। তার থেকেও অবাক করার ঘটনা হলো মেয়ের বড় বোন ভাবছে পিচ্চি আমার সাথেই প্রেম করে!  কড়া শাসন!!
পরে ভাবলাম এই জন্যই ছাদে ওঠা নিষেধ নোটিশ বিভিন্ন জায়গায় জারি করা হয়।
এই জন্য বর্তমানে আমি রাস্তায় হাটছি আর স্ট্যাটাস লিখছি তবে বরাবর অন্য দিন থেকে আজ রাস্তা অনেকটা শান্ত এমনকি কুকুরগুলোর আনাগোনাও নেই,ওরাও মে বি সেলিব্রেশনে গেছে।
অনেকে বন্ধু কিংবা পরিচিতজন আমার লেখা পড়ে বিভ্রান্তিমূলক ভাবনা ভাবেন আমি তাও এড়িয়ে চলি। তবে এর একটা সুবিধাজনক দিক হলো,নিজেকে আবিষ্কার করা,আমি তাতেই তৃপ্ত হই।
ইদানীং কালে আমার একজন মানুষকে ভীষণ পছন্দ লাগে,এই দীর্ঘ স্ট্যাটাসের মানেটা এই পছন্দ হওয়াও হতে পারে তবে তাহা উদ্দেশ্য নয়,পরিবেশটা উপভোগ করাই মুখ্য উদ্দেশ্য,কারণ আমি তার উদ্দেশ্য জানি না। একটা চায়ের দোকান খোলা এবং নাইটগার্ড মামাটাও পরিচিত, এদের আমার রাত প্রেমিক মনে হয়।
সখ্যতার রং আলো বা অন্ধকারে পার্থক্য করা যায় না,চোখ যাহাতে তৃপ্ত হয়,মন তাহাতে অস্মদ্দেশের পথিক হয়!
এই চরকার ঘূর্ণন ঘূর্ণিঝড় নাহি বয়,সাবধানে কদম ফেলো প্রেমিকা, গরম চায়ের চুমুকে একাকীত্ব খায় প্রেমিক!

ভালো থাকুক বেঁচে থাকুক সব প্রেম।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৩২৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/০২/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast