www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বারমাস্যা

গ্রীষ্মের তপ্ততা ছাড়িয়ে একটু ভিজেছিলাম সেকালে
শরৎের আকাশে কাশফুলের ছেয়ে যাওয়া দৃষ্টিতে,
আমি অনুভবি হই হেমন্তে,বসন্তের গা ছোয়া রূপে
শীত আমায় চাদর মুড়িয়ে আক্ষেপ করে,
কেন এত গলাগলি করে নিপাতনে সিদ্ধ হলো না ভালোবাসা!
পূবে আলোকরশ্মি দেখার আগেই আমি সন্ধ্যাের বাতি জালিয়ে রেখেছি; চাইনি তুমি আঁধারে ঢেকে যাও।
এত জলাঞ্জলি দিয়ে মরুতে ফোটানো কলি প্রস্ফুটিত হল প্রাচুর্যে ভরা পুকুরে,
নিরামিষাশী আমি!
মতানৈক্য ছিলো নিশান কোনে,তবে আপেক্ষিক ভেবে উড়িয়ে দিয়েছি দক্ষিণা বাতাসে,
ভ্যাপসা হয়ে ছিলো দু'কূল,পাথারে নাহি মিলে বাঁশির সুর!
আজকাল ভায়োলিনে বসন্ত উৎসব হয়,
ছনের গোছায় গোছায় গড়ে ওঠা কুঠিরে চান্দের আলো নামে না।
স্বাভাবিক পরিক্রমায় ঋতুরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আর তুমি বিষের বাঁশি রচনা করলে এককাল ধরে,
না শেষ হয় নি সে কালবাতাস!
আমি কাবু হয়ে যাই ছলনায়,মোহ কাটে না!
আটকে রই শিশিরের ঝুলন্ত ফোটায়,হয় শুকিয়ে যাই নয় পরে যাই গহ্বরে।
চক্রাকারে ঘুর্নায়মান জীবন,তুমি চক্রের উপরিভাগ আমি তলদেশ থেকে তাকিয়ে তোমায় দেখি,
এ বারমাস্যা যে সমাপ্তি জানে না।



নিরিবিলি, নবীনগর
৯-৫-২০২০
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ২৪৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/০৫/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast